পুস্তক পরিচয় - যেখানে আঁধার নামে





 =====================

পুস্তক পরিচয়
=====================
#রিভিউ

#review

#পাঠপ্রতিক্রিয়া
©সমীরণ
==================================
   যেখানে আঁধার নামে
==================================

লেখক – সায়ন্তনী পূততুণ্ড

প্রকাশক – দেব সাহিত্য কুটীর

প্রকাশকাল – জানুয়ারি, ২০২১

মুল্য – ৩০০টাকা
==================================

লেখিকার পড়া প্রথম বই আমার কাছে। শুরু করলাম তাই, ছোট্ট গল্প দিয়ে। মোট উনিশটি ছোট্ট গল্প অন্ধকার কে কেন্দ্র করে লেখা, যেমনটা বইয়ের টাইটেল রয়েছে। আমি এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন মত দেবো, সমস্তটাই ব্যাক্তিগত, বরাবরের মত।

প্রথমেই বলি, লেখিকার সাহিত্যগুন সঙ্গে লেখনী, এক কথায় নমনীয় এবং পাঠকপ্রিয়। যেকোনো রকম সম্ভাবনা রয়েছে গল্প পড়ার মধ্যে। হঠাৎ করে কিছু না ঘটলেও ঘটবে বলে মনে হবে। অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ, খুব নিপুনতার সাথে টেনে গল্প ছলে আসল কাহিনী ব্যাক্ত হয়েছে। প্রতিবার গল্পের স্বাদ যদিও আলাদা নয়, বেশ কিছু সময়ে কাহিনীর প্রেক্ষাপট একই লেগেছে ( হাতে গোনা কয়েকটি ), তবে একবার পড়া শুরু হয়ে গেলে, যে যার মত লাইন ধরে বেড়িয়ে গিয়েছে রহস্যের নতুন দিকে।
অনেক গুলি গল্পে কাহিনীর শেষ মোচড় বেশ ভালো। নতুন গল্প বই পড়ুয়া হলে আরও বেশি উপভোগ করবে। ডার্ক, হোয়াইট মিলিয়ে এই বই, মোটামুটি বেশ লাগলো। মাঝে মধ্যে থাকা নতুন ইনফো গল্পের আরও এক মাত্রা যোগ করে।

অনেক দিন পর আমি একটা সংকলন পড়তে গিয়ে একটা কাণ্ড করে বসি। আর সেখানেই উৎপাত শুরু হয় ভেতরে। আসলে সব্বাই গল্পের বইয়ের শুরু থেকে পড়তে শুরু করে। আমিও তাই করে ছিলাম। প্রথম দুটো গল্প পড়লাম, মুগ্ধ হয়ে। তারপর বেশ কিছুদিনের বিরতি হয়ে পড়েছিল, ব্যাক্তিগত কিছু কারনে। কিছুদিন পর আবার পড়া শুরু করলাম যখন, ধন্দে পড়ে গেলাম। বুকমার্ক করা ছিল না, তাই বুঝতে পারিনি কোথায় শেষ করেছিলাম। তারপর ঠিক করে নিলাম, হোক শেষ থেকে শুরু। আর তারপরই একটু দমে গেলাম, গল্প পড়তে পড়তে। প্রথমের দিকের গল্প গুলো যতটাই ভালো লাগলো, শেষের শুরুটা তেমন ভাবে মনে ধরল না। এমনকি বেশ কিছু গল্প পড়ে মনে হোল, সেগুলো আর যাইহোক এই টাইটেল এর সাথে যাচ্ছে না। আশাহত হয়েছি আমি। নিজেকে মনে হোল, ঠকে গেলাম। জানিনা এতোটা খারাপ কেন লাগলো। হয়তো বেশি আশাবাদী ছিলাম।
একটা পাণ্ডুলিপি হতে পারে অনেক ছোট্ট, হয়তো বই করার মত হয়নি। তার জন্য অন্য ধাঁচের গল্প ( আমার মনে হয়েছে ) এভাবে ঢুকিয়ে, পৃষ্ঠা সংখ্যা বড় করে বই প্রকাশের যোগ্য করাটা সঠিক নয়। রসগুন এতে নষ্ট হয়। পরবর্তী সময়ে এই আঁচড় মাথায় দাগ কেটে যায়। এর থেকে অল্প অথচ ভালো মানের গল্প ( উনিশটি না করে সেরা দশ গল্প ) সংযোজন করলে হয়তো বেশি ভালো লাগতো।
এক্ষেত্রে দায়িত্বটা হয়তো অনেকটা প্রকাশনার ওপর বর্তায়। লেখিকার আরও একটি বই কিনেছি, আশা করছি হতাশ হবো না কারন সেটা অন্য প্রকাশনী থেকে এসেছে এবং বহুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। আসবে, তার রিভিউও আসবে। হয়তো এই প্রথমবার রিভিউ লিখতে বসে কোয়ালিটি কম, গালগল্প লিখছি বেশি। কিন্তু কিছু করার নেই, যেটা মনে হোল, জাস্ট ঢেলে দিলাম।
 

  স্কোরবোর্ড – ২ / ৫
#সমীরণসামন্ত

#
যেখানে_আঁধার_নামে
#রিভিউ
#পাঠপ্রতিক্রিয়া
©বাতাসবাবুরপাতা
©সমীরণসামন্ত

 

Comments