নিমহান্স হসপিটাল , নিউরো ডিপার্টমেন্ট এর শেষ কথা


#নিমহান্স_সম্পর্কে_কিছু_তথ্য
#পাঁচমিশালি


দিন কয়েক আগে আমি বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছি। একটা মেডিক্যাল এমারজেন্সির জন্য যেতে হয়েছিল, নিমহান্স এ। কমবেশি সব্বাই এই নামের সাথে পরিচিত হয়তো, তাও আমি একটু বলে রাখি। 
আজকের পোস্টটা যদিও ভ্রমণ মূলক নয়, তবুও কোলকাতা ছাড়িয়ে একটা বিশেষ জায়গার কিছু তথ্য দিতে চলেছি, যেটা আমাদের কারোর না কারোর কাজে লাগতে পারে। ভগবান না করুক কারোর যাওয়ার দরকার পড়বে, কিন্তু বিপদ না বলেই আসে।

নিমহান্স , পুরো নাম ন্যাশনাল ইন্সিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্স। আমরা অনেকেই নিউরো ডিপার্টমেন্ট হিসেবে এই স্থান কে শেষ কথা বলে জানি। এখানের ব্যাপার নিয়ে কিছু কথা বলবো, আশা করছি অনেকেরই এতে উপকার হবে, সেই কথা মাথায় রেখেই শুরু করছি । পোস্টটা যতটা সম্ভব শেয়ার করতে পারেন, যাতে যার দরকার তার হাতে এই পোস্টটা ঠিক পৌঁছে যায়।

 






আমি ধরে নিছি, যারা যেতে চায় তারা মোটামুটি জানে এখানে কি ব্যাপারে ট্রিটমেন্ট হয়। প্রথম ভিজিট হিসেবে রোগীকে আউটডোর ( ও পি ডি ) তে দেখাতে হবে। এই ও পি ডি ডিপার্টমেন্ট এ দেখাতে হলে, নাম লেখাতে হবে আগে থেকে।
দুটি প্রক্রিয়া আছে, অনলাইন আর অফলাইন। এখানে বলে রাখি, ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে রোগীর সাথে ওখানে এক জন কেই আলাউ করবে। সেক্ষেত্রে সেই ব্যাক্তির যাওয়াটাই কাম্য, যে রোগীর ব্যাপারে সমস্ত কিছু জানে। সেই ব্যাক্তিকে অবশ্যই ইংরেজি অথবা হিন্দি জানতে হবে, নয়তো ওখানে গিয়ে বিপদে পড়বেই।



অনলাইন প্রক্রিয়া  – নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাস্ট ২ মিনিটেই ভিজিটের ডেট ফিক্স করে নেওয়া যায়, আর সঙ্গে সঙ্গে একটা ২০ টাকার পেমেন্ট করে দিতে হয়। ডেট এর সাথে কখন সেখানে যেতে হবে সমস্ত কিছু লেখা থাকবে। সেই দিনে শুধু পৌঁছে গেলেই হোল, তবে আমি বলবো লিখিত সময়ের এক  কি দুই ঘণ্টা আগে গেলে খুব ভাল হয়। কারন একেই নতুন জায়গা, ভাবতে বুঝতে একটু লেট হতেই পারে। কীভাবে অনলাইন এ নাম লেখাতে হয়, তার প্রসেস যদি মনে করেন দরকার, তাহলে কমেন্ট করবেন অবশ্যই।

অফলাইন প্রক্রিয়া – একটু লং প্রসেস এ চলতে চাইলে, বা একান্ত কারোর উপায় নেই অনলাইন ডেট নেওয়ার, তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই পন্থা বেস্ট। দিনের দিন গিয়েই ভিজিট ডেট পাওয়া যায়। লাইন দেওয়ার জন্য আমি বলবো যতটা পারেন, সক্কাল সক্কাল গিয়ে দাড়িয়ে পড়েন, সেটা ভোর ৫টা হলেও তাই। সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হলেও ওখানে ঠিক ঠাক ভাবে ফর্ম ফিল আপ এর মাধ্যমে এবং লাইন এ দাড়িয়ে ব্যাপারটা সম্পন্ন করতে হবে। কোনও রকম সাহায্য করতে ওদের লোকরা সবসময় প্রস্তুত ওখানে। শেষে গিয়ে ঐ ২০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে নির্দিষ্ট কাউন্তারে।







** অনলাইন এর ক্ষেত্রেও লাইন এ দাঁড়াতে হবে , কিন্তু সেটা খুব কম সময়ের জন্য। আমার মতে একটু ম্যানেজ করে যেভাবে হোক, অনলাইন এ কাজটা মিটিয়ে নেওয়াই ভাল, কারন এর পরের প্রসেস কিন্তু যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। সেক্ষেত্রে রোগী বা তার বাড়ির লোকদের ধৈর্য হারালে চলবে না।

দুটো তিনটে কাউন্তার ঘোরা শেষ ? রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট। এই মুহূর্তে রোগীর কাছে একটা ইউ এইচ আই ডি রয়েছে, নিমহান্স এর তরফ থেকে।
এবার শুরু হবে আসল ধাপ, ডাক্তার দেখানোর, যেটা হবে বিভিন্ন রাউন্ডে, অনেকটা সময় ধরে।






শেষ কাউন্তার থেকে একটা কাগজ আর একটা সিরিয়াল নাম্বার দেওয়া হবে, যেটা নিয়ে সামনেই একটি জায়গায় রোগীকে নিয়ে চলে যেতে বলা হবে। বসার জায়গা আছে, সেখানে বসে পড়তে হবে। আর যারা রোগীর নাম ধরে ডাকছে, তাদের হাতে সেই বড় কাগজটা ধরে দিতে হবে। সময়মত ওরা নাম ডাকলে , ঢুকে পড়তে হবে একটা নির্দিষ্ট রুম নাম্বারে। শুরু হবে প্রাইমারী ইনভেস্টিগেশন।




রোগীর আগের সমস্ত প্রেসক্রিপশন, রিপোর্ট গুলো খুব গুছিয়ে নিয়ে গিয়ে যে ডাক্তারবাবু দেখছেন, তাকে দিতে হবে। ডাক্তারবাবু সমস্ত কিছু খুব চটজলদি দেখে বুঝে যাবেন, যে আসলেই রোগীকে কোন ডিপার্টমেন্ট এ এর পর পাঠানো উচিত হবে। ব্যাপারটা খুব তাড়াতাড়ি হবে, তাই আমি বলবো রিপোর্ট আর যাবতীয় কাগজ পত্র যেন খুব ভাল করে সিরিয়াল অনুযায়ী গোছানো থাকে। ডাক্তারবাবু যেটা লিখে দেবেন সেটা নিয়ে বেড়িয়ে আসতে হবে।








কাগজে লেখা আছে পরবর্তী কোন রুমে দেখাতে হবে। লেখা বুঝতে না পারলে ওখানে সেবাকর্মী সবসময় থাকে, হেল্প করে দেওয়ার জন্য। তাদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে নেওয়াই ঠিক হবে।





দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়ে গেল এখান থেকে।
সিরিয়াল নাম্বারটা নিয়ে ঠিক ঠাক জায়গায় চলে যাওয়ার পর, আবার বসতে হবে।
প্রসেস অনেকটাই সময় সাপেক্ষ। আমি বলবো, এই রুমে ঢোকার আগে কিছু খেয়ে নেওয়াটা ভাল। কারন কতক্ষণ সময় নেবে সেটা কেও জানেনা। ঐ চত্বরে একটা ক্যান্টিন একটা আছে। সেখানে গিয়ে মোটামুটি পেট ভরার মত কিছু খেয়ে নিলেই আপাতত চলে যাবে। ধোসা ইডলি মোটামুটি আছে। 






যাইহোক, সেই রুমে ঢোকার পর নাম ডাকা না পর্যন্ত অপেক্ষা। সঠিক সময়ে যখন রোগীর নাম আসবে, চলে যেতে হবে তাদের বলা কক্ষে।
সেই কক্ষে যাওয়ার পর কিন্তু আবারও বসতেই হবে। কারন হয়তো সেই মুহূর্তে ডাক্তারবাবু হয়তো পুরনো রোগী দেখেছেন, যারা অলরেডি রেজিস্টার্ড। সে যাইহোক, কি ঘটছে অতও না ভেবে নিজের নাম না ডাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
( এত বার বসার প্রক্রিয়া শুনে অনেকে হয়তো বিরক্ত বোধ করবেন, কিন্তু আমি বলবো এটাই ভাল। এত গুলো মানুষ আসেন, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ভিড় ঠেলাঠেলি থেকে রেহাই ও সুস্থ ভাবে ডাক্তার দেখানোর এটাই একমাত্র রাস্তা। এত দূর গেলেন, একটু ধৈর্য ধরতেই হবে )

একটা বিরাট সময় এখানে কেটে যাবে, মোটামুটি ধরে রাখছি। নাম আসার পর এবার পৌঁছে যাবেন বলে দেওয়া কক্ষে। খুব যদি ভুল না হই, ডাক্তারবাবু নিজেই এসে আপনাকে আর রোগীকে নিয়ে চলে যাবেন নির্দিষ্ট কক্ষে।






এবার আসছি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।
রোগীর যা যা সমস্যা রয়েছে, শুরু থেকে শেষ কোনও কিছুই বাদ রাখবেন না ওনার কাছে। কোনও কিছু যদি নগণ্য মনে হয়, সেক্ষেত্রেও সেটা বলে দিতে হবে সঠিক ভাবে। চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণের জন্য ডাক্তারবাবু বসেই আছেন, যতটা সম্ভব হবে ডিটেল দিতে থাকবেন। প্রয়োজনে তার সাথে কোনও রিপোর্ট থাকলে সেটাও সাবমিট করুন। ডাক্তারবাবু যা বোঝার বুঝে নেবেন। কি কি ওষুধ খেত কি না খেত, কবে বন্ধ করেছে সমস্ত কিছু মানে সমস্ত কিছু।
সোজা কথায় ওনার সাথে সহযোগিতা করুন।
উনি যখন মনে করবেন, সমস্ত ডিটেল নেওয়া হয়েছে, তখন আপনাকে আবার বাইরে বসতে বলবেন, ঠিক যেখানে আপনি বসেছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর অপেক্ষা করতে আবার।

সঠিক সময়ে আবার ডাক্তার আসবেন, আর নিয়ে যাবেন আর একটা কক্ষে।
হতে পারে সেখানে বসে আছেন, সিনিয়র ডাক্তার, আসলে আপনি যার আন্ডারে চেকআপ করাতে চলেছেন। হয়তো এতক্ষণ পর অপেক্ষার শেষ হতে পারে। যেটা পরামর্শ দেওয়ার সেটা উনি দেবেন।




তাতে আপনাকে হয়তো কোনও রিপোর্ট করতে হতে পারে, বা হতে পারে ওষুধ চেঞ্জ। যেটাই বলুক, ঠিকঠাক হবে আশা রাখছি।
এমনও হতে পারে, উনি কিছু টেস্ট দিলেন করাতে। সেটা যথাযথ ভাবে সম্পূর্ণ করে আবার দেখাতে বলতে পারেন। দ্বিতীয় ভিজিটে এ সেটা করে দেখিয়ে নিলেন। সেক্ষেত্রে আসার সময় জিজ্ঞেস করে নেবেন ঠিক কবে কটার সময় আসতে হবে।

যদি পরবর্তী সময়ে আসতে হয়, তাহলে এরপর থেকে রেজিস্ট্রেশন এর ঝামেলা নেই। কারন এই মুহূর্তের পর থেকে আপনার রোগী ওখানে পুরনো হয়ে গেছে। নেক্সট ডেট এর তারিখে এসে সময়মত লাইন দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ১০ টাকার একটা টিকিট কাটতে হবে, ব্যাস।
তারপর খুব তাড়াতাড়ি ওরা সেই তৃতীয় ঘরে সরাসরি যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে দেবেন ( যেটা গত দিনের শেষ কক্ষ ছিল )। অবশ্যই আপনাকে সেখানে বসতে হবে, কিন্তু আগের দিনের মত অতও সময় লাগবে না।
  


কিছু ওষুধ দিয়ে থাকলে, ওখানে থাকা ওষুধ দোকান থেকে নিয়ে নেওয়া দরকার। কারন এই ওষুধ কিন্তু আপনার রাজ্যে নাও পাওয়া যেতে পারে। কর্ণাটক নিবাসী একজনের সাথে ওখানে আমার পরিচয় হয়, উনি অনেকটাই দূরে থাকেন। ওখানে পর্যন্ত ওষুধ পাওয়া যায় না, নিমহান্স ছাড়া। তাই রিস্ক না নেওয়াই ভাল।


কীভাবে যাবেন ?

ট্রেন – বেঙ্গালুরু রেলস্টেশন এ হাওড়া থেকে যেতে তাও মোটামুটি ৩৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। বাকি লেট হওয়াটা যারা অভিজ্ঞ ট্রেন যাত্রী, তাদের বলে দিতে হবে না। ওখান থেকে নিমহান্স এর দূরত্ব প্রায় ১০ কিমি।




প্লেন –কোলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে যেতে মোটামুটি ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের ফ্লাইট রয়েছে। নামার পর প্রায় ৩৬ কিমি রাস্তা আপনাকে আসতে হবে, শহরে ঢুকতে হলে। সেক্ষেত্রে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট মত সময় লাগবেই। আর হ্যাঁ, এখানের রাস্তায় সিগন্যাল খুব বিখ্যাত। তাই যেখানেই যান, হাতে সময় নিয়ে বেরবেন।



থাকবেন কোথায় ?
থাকার জায়গা অনেক আছে। অনলাইন এ অনেক অপশন পাওয়া যাবে। কমবেশি ৫০০টাকার রুম থেকে শুরু করে। তবে আমার মতামত হোল, থাকার জন্য নিমহান্স থেকে কাছাকাছি কোথাও রুম বুক করুন। সক্কাল বেলা শুধু নয়, যেকোনো সময়েও দরকার পড়লে যাওয়া খুব সুবিধে।






আমি কোথায় ছিলাম ? কোথায় খেলাম ?

অনলাইন এ মোটামুটি দেখে নিয়ে আমি একটা জায়গা বুক করলাম, যেটা ঠিক নিমহান্স রোডেই রয়েছে। হাঁটাপথে দূরত্ব প্রায় দশ মিনিট। খুব অসুবিধে হলে অটো আছে, ৩০টাকা ভাড়া নেবে, যদিও মিটারে গেলে ২৫ উঠবে।
হোটেলের নাম “সাফায়ার” । সত্যি কথা বলবো ? ব্যবহার যেমন ভাল, তেমনি খুব হেল্পফুল উনি। অনলাইন এ বুক করার পরের দিনই ওনাকে কল করে কনফার্ম করে দিলাম, আর উনি আমাদের আশ্বস্ত করলেন, কোনও সমস্যা হবে না।









রুম গুলোও খুবই পরিষ্কার, অবশ্যই বাথরুম একদম যথাযথ। লিফটের ব্যাবস্থা আছে। গরম ঠাণ্ডা জল ব্যাবস্থা আছে প্রতিটা রুমে। আমরা তো প্রায় ১০ দিন ছিলাম, ওখানে বেশ ভাল ভাবেই থেকেছি। যদি ওখানে কেও থাকতে চান, আমাকে বলতে পারেন। আমি কিন্তু বলে এসেছি, কোলকাতা থেকে কেও যদি বলে আমরা সমীরণদার কাছে কন্টাক্ট পেয়ে আপনাকে ফোন করেছি, তাহলে উনি চিনবেন আশা রাখছি।





খাওয়া দাওয়ার দিক থেকে কিন্তু একটু আধটু অসুবিধে হবেই। তবে আমরা বেশ ছিলাম। প্রায় রোজ একটু একটু করে নতুন খাবার টেস্ট করেছি বিভিন্ন জায়গায়।




মোটামুটি বাঙালি খাওয়া আমরা পেয়েছি আমাদের লোকেশনে, নাম “ কলকাতা রেস্টুরেন্ট” । বাঙালি খাওয়া হিসেবে ওখানে মোটামুটি সবই ঠিকঠাক। তবে সত্যি কথা বলতে, যদি নিজে একটু বাজার করে রান্না করা যায়, তাহলে কিন্তু কোনও কথা হবে না।




সত্যি বলতে ওখানে খাওয়া ভালই হয়েছে, দাম মোটামুটি ঠিকঠাক। অনেকেই বলবেন,
বেঙ্গালুরুতে অনেক মাছ ভাতের জায়গা আছে, বাঙালি খাবারের অভাব নেই। হ্যাঁ, কথাটা ঠিক। কিন্তু আমি যেখানে ছিলাম, ওখানে খুব বেশী অপশন পাইনি।


যদি আরও ভাল রেস্টুরেন্টে খেতে চান, একটু প্রিমিয়াম কোয়ালিটি আর কি, তাহলে পাশাপাশি দুটো রেস্টুরেন্ট এর কথা বলে দেবো। একটার নাম “ আরফা “ , আর একটা “এম্পারক “।








একদিন টিফিনের খোঁজে একটু হাটতে বেড়িয়ে পড়েছিলাম। কিছু দূরে একটা কাবাব এর দোকানের সন্ধান পাই। ওহ, কিছু বলার নেই। স্বাদ অপূর্ব।
আল - ফাহাম এই প্রথমবার ট্রাই করেছি, দারুণ। বাকি কাবাব তো ঠিকঠাক। দাম কিন্তু ঠিকঠাক একদম। নাম “ নবাব’স কাবাব “।







তবে দুটো জিনিস আপাতত খেতে মানা করছি। ফুচকা আর রোল।
রোল এতটা খারাপ হতে পারে ? এতটা ? একটা সামান্য রুমালি রুটির মধ্যে জিনিস পত্র সমস্ত কিছু ঢুকিয়ে ৬ ইঞ্চির কম মাপের একটা রোল। প্রথমত স্বাদ, খুব খারাপ লেগেছে। চিকেন, এগ দুটোই চেখেছি, সেটাই আমার ভুল হয়েছে। মনে মনে ভাবছিলাম, আসিস একদিন কোলকাতায়, রোল কাকে বলে দেখিয়ে দেবো। দামটাও খুব বেশী। ঔটুকু পুঁচকে রোলের দাম ৫০ – ৬০ টাকা, ফালতু।

আলু ভাল করে মাখিয়ে সেটা তোয়াজ মেরে টক জলের সাথে দেওয়াই ফুচকার সার্থকতা। কিন্তু ওখানে ? আলু নেই, পরিবর্তে আছে পেয়াজ কুচি আর একটু ভুজিয়া মেশানো কিছু একটা। ছোট্ট দুটো কাপের মত দেওয়া, একটায় একটু টকজল দেওয়া, আর একটায় ছিল মসালা পানি। কোনও দিন খাইনি, তাই ওটাই এক চামচ নিয়ে মুখে দিতেই... ধোঁকা । গরম বলে কে জানত ? জিভটা পুরো গেলো বেস্বাদ হয়ে। খাওয়ার ইছেটা যায়নি যদিও, তাও যেটা মুখে দিলাম...  ধুত ! ১০ পিস ৩০ টাকা নিয়ে নিল। কি অবস্থা সত্যি !   






তবে এখন একটা জায়গার সাথে পরিচয় করিয়ে দি। একটা চা এর দোকান, “ সাভেরা “।



প্রতিদিন মোটামুটি আমি চা খেতে গিয়েছি। শুরুর দিন থেকেই ওনার ব্যবহার দেখে আমি মুগ্ধ। এতটা আপন করে নিতে পারেন কেও, অনেক দিন পর এমন একটা মানুষের সাথে দেখা হোল। এতটা নিবিড় বন্ধুত্ত আমাদের মধ্যে হয়ে গেছিলো, যেটা আলাদা করে বলতে পারবো না। তবে আসার সময় মন একটু ভার হয়ে গেছিল, অস্বীকার করবো না।





আশা করছি মোটামুটি ভাবে একটু হলেও হেল্প হবে এই পোস্ট এর মাধ্যমে। যদি কিছু জিজ্ঞাস্য থাকে, তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। চেষ্টা করবো সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে যতটা পারি সাহায্য করা যায়।


ইউটিউব এর লিঙ্ক রইল, সময় করে দেখার অনুরধ রইল। সমস্ত কিছু আর বেসি ভালভাবে বুঝে নেওয়ার জন্য। 

https://www.youtube.com/watch?v=qNFxA6hqWoE

 
 
  

Comments

  1. Replies
    1. Most Welcome. Follow my channel https://youtu.be/qNFxA6hqWoE fore more info.

      Delete

Post a Comment