সাল - ২০২১
প্লট – হরর
অডিও – ইংরেজি
আই এম ডি বি রেটিং – ৫.২ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৫.৫ / ১০
মেয়েটি নিজের জন্মপরিচয় জানে না। তাকে তার মা ফেলে চলে গিয়েছিল, এতোটাই নিষ্ঠুর।বড় হয়ে সেই মেয়ে তার মা র পরিচয় পেতে চায়, আর তাই সে চলে যায় সেই স্থানে, যেখানে তার মা আছে, অথবা বলা যায় ছিল। কারন অনেক কাল আগেই সে মারা গিয়েছে।
মেয়েটি এই প্রথম এমন মানুষগুলো সাথে সময় কাটায়, যারা প্রত্যেকেই তার মা কে চিনতো। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কেও তার মা কে নিয়ে তেমন ভাবে আগ্রহী নয়। কাউকে জিজ্ঞেস করলেও এড়িয়ে যেতেই বেশি পছন্দ করছে।
বলতে মনে ছিল না, মেয়েটির সঙ্গে প্রথম থেকেই ওর বয়ফ্রেনড ছিল, সঙ্গে ছিল একটা পুরো ক্যামেরা সেট আপ।
অনেকদিন পর নিজের মানুষদের সাথে আলাপ হলে কেমন লাগে ইত্যাদি ইত্যাদি রেকর্ড করতে করতে একটা ডকুমেন্টারি বানাতে আগ্রহী সেই ছেলে।
ফিল্মের নিয়ম হোক বা গল্পের খোরাক, সেদিন রাত থেকেই কিছু অস্বাভাবিক ব্যাপার লক্ষ্য করে মেয়েটি। তারা নিজেদের আমিস গোষ্ঠী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন । তবে কার্যকলাপ বড্ডই অদ্ভুত।
একটি ছোট্ট মেয়ের সাথে পরিচয় ঘটে। জানতে পারে, তার মা নাকি এখনও রয়েছে।
তাক লেগে যাওয়া কথা বেফাঁস হয়ে গেছে হয়তো, এমন মনে হতে লাগল, যখন মেয়েটি দৌড়ে পালিয়ে গেল। আসল কাহিনি কি ?
তার মা কি আসলে মৃত, আর এখন সব্বাই কে বিরক্ত করছে ?
অথবা তাকে কোথাও বন্দী করে রাখা হয়েছে।
এই চিন্তা দুটোই মাথায় এসেছিল আমার। কিন্তু গল্পের মুহূর্তে পরিবর্তন সমস্ত কিছু তছনছ করে দিয়ে সামনে দাড় করিয়ে দিল একটি জীবন্ত ভয়ানক স্মৃতি।
বাকি কাহিনির জন্য ওয়ান টাইম সিনেমাটি দেখা নিতে হবে একবার।
দমবন্ধ করা কিছু শট রয়েছে। একটু খানি নয়, বেশ অনেকটা সময়ের জন্য। জায়গাটা কিন্তু বেশ বেশ বেশ।
“ অসমোড্যাস “ নামক একটি শয়তানের উল্লেখ পাই। প্রথম ফিমেল শয়তান “লিলিথ” এর স্বামী।
লুসিফার এর তৈরি ৭টি শয়তানের মধ্যে “ অসমোড্যাস “, চার নম্বরে। লালসার রাজা বলা হয়ে থাকে। সময়ে রূপ ও গলার স্বর পরিবর্তনে সক্ষম এই শয়তান, অমর। এক স্থান থেকে আর এক স্থানে টেলিপোর্ট হওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে।
উপরে যতগুলো গুন লিখেছি, তার মধ্যে একটাও এখানে দেখতে পাইনি, খুব সত্যি কথা বলছি। নাম উল্লেখ করেও, কামের কিছু দেখা তো পাইলাম না। নিঃসন্দেহে এটা একটা ভয়ের বই, তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু “কিন্তু” আমার ভেতরে রয়েছে। ফাস্ট হাফ বেশ স্লো। কাহিনি টানটান হতে গিয়ে ৩৫ মিনিট লাগিয়ে দিলে হয় ? বিশেষ করে যখন সিনেমার ট্যাগ প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি। ওহ, আর একটা বিশেষ কথা না বললেই নয়, যারা “ প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি “ এর সাথে পরিচিত, তারা জানবে, ফাউন্দ ফুটেজ আর সাধারন ভিডিও এর ওপর বেস করে কতটা ভয় তৈরি করা যায়। পুরানো সিরিজে দেখা গিয়েছে। এটা ৭ নম্বর পার্ট,আরও জমকালো হওয়া উচিৎ। কিন্তু ফাউন্দ ফুটেজ কই ? শুধু স্টিল ক্যামেরার একটু এদিক ওদিক।
বেসিক্যালি আমি প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি সিরিজের পার্ট ১ ২ ৩ বেশি পছন্দ করি। তারপর থেকে বেড়ানো সিনেমা গুলোয় আসল খেই হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছিল এই ট্যাগ। এই সিনেমাও তার ব্যাতিক্রম নয়। আগের গল্প না জানা থাকলেও অসুবিধে হবে না এই সিনেমা দেখতে, কারন এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। তবে যারা ভূতখোর, তাদের কাছে সিনেমার গপ্পো একটু পরিচিত হলেও হতে পারে।
সিনেমার ইঙ্গিত, পরবর্তী সিকয়েল এর।
আমার কিন্তু অন্য চিন্তা মাথায় আসছে। প্রথম ১ ২ এর অনেকটা সল্ভ ৩ এ করেছে। বাকি সিনেমা গুলোয় বেশ কয়েকটা প্রশ্ন রেখেই সিনেমা শেষ করে দিছে, পরে আর সেটা নিয়ে কোন ফিল্ম তৈরি করছেই না। এরাও কি একটা ইউনিভার্স তৈরি করছে নাকি ? যেখানে শেষ অর্থাৎ ১০ নম্বর কিস্তি তে সব ফিরিস্তি দেবে। যদি সেটা হয়, তাহলে জাস্ট কিছু বলার নয়। আমিও অপেক্ষার লিস্টে নাম লেখাবো।
ভাল থাকবে সব্বাই।
Comments
Post a Comment