🆁🅴🆅🅸🅴🆆 - God’s Crooked Lines

🆁🅴🆅🅸🅴🆆

=======================                          
God’s Crooked Lines
=======================
সাল - ২০২২
প্লট – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, রহস্য  
======================
দেশ - স্পেন
ভাষা – স্প্যানিশ, ইংরেজি, হিন্দি
=======================
আই এম ডি বি – ৭ / ১০
নিজস্ব রেটিং –   ৮.৫ / ১০
=======================
©SamiranSamanta

বেশ অনেক দিন পর, বলতে গেলে প্রায় একমাস। পুষিয়ে গেল সিনেমা দেখতে বসে। মাঝে মধ্যে নিজেকে একটা ঘোরের মধ্যে মনে হয়েছিল। যেটা দেখছি সেটা সঠিক, নাকি যেটা ভাবছিলাম সেটা ঠিক ছিল। টানটান ব্যাপার বলতে যা বোঝায়, ২০২২ সালের ওয়ান অফ দা বেস্ট মুভির রিভিউ করতে চলেছি। যদিও এটা বিদেশী এবং ১৯৭৯ সালের প্রেক্ষাপটে কোন একটি নভেল থেকে অ্যাডাপট করা। এখন আমার মনে হয়, কেন এই ফিল্মটা আগে দেখিনি। থ্রিলার তো অতিমাত্রায় আমার পছন্দের, তার ওপরে যদি ‘ সাইকিক ‘ শব্দটা যুক্ত হয়ে যায়, তাহলে জাস্ট, এঞ্জয়।

পাগলা গারদ বলি বা সাইকিয়াত্রিক ওয়ার্ড, এই ফিল্মের অন্তরকেন্দ্র। যত সমস্যা এখানেই তৈরি হয়। কোন পাগলই নিজেকে পাগল বলে না। কিন্তু যে পাগল বলে, হ্যাঁ সে পাগল, তাহলে সে কোন লেভেলের মানসিক সমস্যা নিয়ে এসেছে এখানে ?
অ্যালিস বলে একজন মাঝবয়সী মেয়ে কে এখানে আনা হয়েছে। সে নাকি নিজের স্বামীকে বিষ দিয়েছে। বারংবার দিয়ে তাকে মারতে চেষ্টা করেছে।
কিন্তু অ্যালিস বলছে অন্য কথা। সে এখানে এসেছে একটি মার্ডার এর ইনভেস্তিগেট করতে। এখানে একটা খুন হয়েছিল। সরি, আত্মহত্যা করেছিল কেউ, বেশ কয়েক বছর আগে, একজন রোগী। মৃতর বাড়ির লোকের বক্তব্য, খুন কে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কেসেরই ভেতর থেকে প্রমান জোগাড় করতে আসা অ্যালিস এর। আসলে সে একজন প্রাইভেট ইনভেস্তিগেটার। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুগী সেজে ওখানে ঢোকা আর আসল সত্যিটা বার করা।

চেনা চেনা লাগছে না ?
কিছুটা সাটার আইল্যান্ড এর ছোঁয়া আছে না ? আমারও তাই মনে হয়েছিল, তারপরই ভাবনা পরিবর্তন করে ফেলি। সিনে প্লে তখন মোটামুটি ১ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট। একটা লেয়ার খোলস ছাড়ল। ভাবলাম এবার সব ঠিকই আছে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত জানতাম না, কাহিনী আরও প্যাঁচালো হতে শুরু করেছে, ব্রেইন এর সাথে খেলা অলরেডি শুরু করে দিয়েছে।
ঠিক দশ মিনিট পর, আবার একটা মোচড়। যার পরিনতি ঠিক যেমনটা ভাবছিলাম, তার থেকে আরও আলাদা, এবং অসাধারন। এটা না থাকলে আমার ততটা ভালোলাগা হয়তো আসত না। এই সব সিনেমা দেখি আসলেই এমন কন্টেন্ট এর স্বাদ পাওয়ার জন্য। নিজের ভাবনার থেকেও যখন দেখি, সিনেমা নিজের সমীকরণ খুব ভালো করেই মিলিয়ে দিল নিজের পয়েন্ট গুলো কে বজায় রেখে, তার থেকে বেশি খুশি আর কিসে আছে। কিন্তু সিনেমা এখানেও শেষ নয়। ঠিক শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে, শেষ মোচড় টা দিয়ে দেয়, রেখে যায় ওপেন এন্ড ক্লাইম্যাক্স। দর্শক তখন থ, কি দেখলাম, কি ভাবলাম । আর ভাবার আছে টা কি ? কিভাবে ভাবলে ভালো হতো ? কিছুই মাথায় আসবে না কারন, ততক্ষণে ব্রেইন ঘুমিয়ে পড়েছে শান্তি পূর্ণ ক্লাইম্যাক্স পাওয়ার আনন্দে।

সিনেমাটির প্রেক্ষাপট ১৯৭৯, তাই অনেক দিক থেকে সেফ সাইডে খেলেছে। কারন আজকের দিনে দাড়িয়ে এই সিনেমা অনেক প্রযুক্তির সামনা সামনি হতে হতো, যার ফলে সহজ সরল কোন কিছু হয়ে যেত বেশ জটিল। এতোটা সাবলীল ভাবে গল্পটা হয়তো তৈরি হতো না, মানুষের মনে ছাপ ফেলত না।
কোন কিছু নিয়েই বেশি কথা বলার নেই। কারন এগুলো জাস্ট মাস্টার পিসের এক ধাপ নিচে রয়েছে।
ব্যাকগ্রাউন্দ মিউজিক যথাযথ এবং চমকপ্রদ। কালারগ্রেদিং একেবারেই ঠিকঠাক যেটা হওয়া দরকার ছিল।
অভিনয় ? খাঁটি খাঁটি খাঁটি। ছোট বড় যে কোন ক্যারেক্টার, অভিনয় করেছে নিজের সম্পূর্ণটা দিয়ে। অল্প বা বড় সিন, কোনটাই কম যায় না গুনমানে।

মাস্ট ওয়াচ সিনেমা লিস্টে ফেলছি তাদের, যারা মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার দেখতে পছন্দ করে, যারা সিনেমা শেষ হওয়ার পর ভাবতে পছন্দ করে, যারা সিনেমার শেষ পাতে চমক বারবার পেতে পছন্দ করে। আর যারা আমার লেখা পছন্দ করেন। কারন কোন সিনেমার বায়াসড রিভিউ আমি কখনোই করিনি, খারাপ লাগলে খারাপ বলি। যেমন এটা আমার তফা লেগেছে।
১৮টি নমিনেশন পেয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড শো তে, যার মধ্যে ৩টি ঝুড়িতে ঢুকেছে।


   


#God’s_Crooked_Lines
#BengaliReview
#SamiranSamanta
©SamiranSamanta