প্লট – ভয়, নৃশংসতা
ভাষা – কোরিয়ান
আই এম ডি বি রেটিং – ৫.৬ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৫ / ১০
বেশ ভালই ছিল স্কুল জীবনটা। না ছিল অন্য ভাবনা, না আলাদা কোন প্রেসার। ফোকাস শুধু মাত্র কীভাবে নাম্বার পাওয়া যায়, কীভাবে সবার থেকে বেশি নাম্বার যোগ করা যায় নিজের নম্বরপত্রে।
পরীক্ষার হল, চাপা উত্তেজনা। সমস্ত কিছু পড়ে এলেও, প্রশ্ন পত্রে কি ছাপা থাকবে আর উত্তর লিখতে গিয়ে সেই মুহূর্তেই যদি মাথায় না আসে সঠিক উত্তর টা ? পাশের ছেলেটা চিটকোড নিয়ে এসেছে টুকবে বলে, আর পেছনের ছেলেটা এসেছে আমার ভরসায়, যতটা পারব ওকে দেখাব। মোটামুটি পাশ করিয়ে দিলেই আমাকে বাইরে গেলে খাইয়ে দেবে।
অনেক দিন পর কোরিয়ান এই ফিল্মটা দেখতে দেখতে মনে ভীর করে আসছিল ছোট বেলার এই সকল স্মৃতি গুলো। তবে এই ভালোলাগা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হওয়ার আগেই হুরমুরিয়ে কাহিনীতে ঢুকে পড়ে চাপ চাপ রক্তের নৃশংসতা।
হাইস্কুল এর ফাইনাল পরীক্ষার আজ শেষ দিন। কেও পড়েছে, কেও বা ক্লান্ত আজকের দিনে। পরীক্ষা কম বেশি সবার ভালো কাটলেও, তার পরে তাদের জন্য যেটা অপেক্ষা করছে, সেটা তারা কখনই ভাবতে পারেনি।
আর একটি পরীক্ষা শুরু হয়, যদিও সেটা স্কুল ডিপার্টমেন্ট এর তত্ত্বাবধানে নয়। কেওই জানেনা, এক্সজামিনার আসলেই কে...
প্রশ্ন দেওয়া আছে, উত্তর দাও। না হলে টিভি স্ক্রিনে যে ছাত্র ছাত্রী কে দেখানো হছে, তাকে মেরে ফেলা হবে।
আর শেষ মেশ যেটা হওয়ার সেটাই হল...
কিন্তু কেন ?
কেন এই নৃশংসতা ?
স্কুল ছাত্র অথবা ছাত্রীদের ওপর কিসের আক্রোশ ? কাউকে জলে ডুবিয়ে, কাউকে গরম মোম দিয়ে বা কাউকে... এতটা নৃশংস কেও তখনই হতে পারে যখন... থাক সে কথা।
মোটের ওপর সিনেমাটি আমার মোটামুটি ভালই লাগল।
তবে সত্যি কথা বলতে, এমন ভাবে টর্চার করা বা দেখানোর প্রক্রিয়া বড়ই সাঙ্ঘাতিক। কোরিয়ান মুভি তে অবশ্য বরাবর এমন ভাবেই নিজের বিশেষত্ব প্রকাশ করেছে। কিন্তু তাও বলবো, একটু বেশি বেশীই দেখানো হয়েছে।
পাপ করল কে, দণ্ড পাছে কারা।
গল্পের গতি বড্ড তাড়াহুড়ো করেছে মনে হল। মাঝে মধ্যে মনে হছিল, পাজেল সল্ভ করে উত্তর খোঁজার থেকে ছাত্র ছাত্রীদের বর্বরতার মাধম্যে মারার দৃশ্য দেখানতেই ফোকাস করেছেন ডিরেক্টর বাবু।
আর একটা কথা, যে প্রক্রিয়া গুলো দেখানো হল, তেমন ভাবে নতুনত্ব পেলাম না। বা বলা যায়, তেমন ভাবে দেখাতে পারল না এবারে অন্তত। কিছুটা হতাশ কিছুটা উৎসাহে ফিল্ম দেখা শেষ করলাম আর কি।
Comments
Post a Comment