🆁🅴🆅🅸🅴🆆 What the Peeper Saw

 🆁🅴🆅🅸🅴🆆

=======================                          
What the Peeper Saw
=======================
সাল - ১৯৭২
প্লট – ক্রাইম, রহস্য, থ্রিলার ( প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য )
======================
ভাষা –  ইংলিশ ( সাবটাইটেল )
=======================
আই এম ডি বি – ৫.৮ / ১০
নিজস্ব রেটিং –   ৭ / ১০
=======================
©SamiranSamanta

( শুরুতেই বলি, সিনেমাটি একটি ট্যাবো।
অর্থাৎ সিনেমাটি এমন বিষয় নিয়ে, যেটার ওপর নিষেধ রয়েছে )

মহিলাটি বয়সে ২২। একজন বিখ্যাত লেখকের দ্বিতীয় স্ত্রী। ওনার প্রথম স্ত্রী মারা গিয়েছেন, বেশ অনেক দিন আগেই। লেখকের একজন সঙ্গী প্রয়োজন, সে হোক না নিজের হাঁটুর বয়সী। তবে এই ফ্যামিলিতে আরও একজন রয়েছে, একটি ১২ বছরের ছেলে। ছেলেটির বর্ণনা সিনেমা দেখলেই বোঝা যাবে। তাও বলে রাখি, খুব ফর্সা দেখতে, দারুন সুন্দর। নিষ্পাপ একটা ছোঁয়া রয়েছে ওর মুখের মধ্যে।
ছেলেটি কে নিয়ে মানিয়ে থাকতে পারলেই হোল। লেখকের আর কিছুই চাই না।
কিছুদিনের মধ্যেই ছেলেটি কে সন্দেহ করতে শুরু করলেন ঐ মহিলা। সন্দেহ এটাই যে, ছেলেটি কে সব্বাই ছোট বলে, সে আসলেই যথেষ্ট বড়। কথা বার্তা বলতে গিয়েও সেই মহিলা অনেক সময় অপ্রস্তুত মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু কেন ? কি এমন ঘটছে সেই মহিলার সাথে, যেটা দোষ হিসেবে ছেলেটির প্রতি চাপাতে উঠে পড়ে লেগেছে ?
এক প্রকার প্যারানয়া কাজ করছে সেই ছেলেটির প্রতি। তার লেভেল এতোটাই সাঙ্ঘাতিক। আগের পক্ষের স্ত্রী মারা যাননি, ছেলেটি তাকে হত্যা করেছে, এমন অভিযোগ মহিলা টি করেছেন।
এতোটাই মস্তিস্ক বিভ্রম ঘটতে পারে এক যুবতীর ?


দারুন মানের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার এর মত পরিবেশন করে দেখানো এই ফিল্মটি আমার দারুন লেগেছে। গুটি কয়েক ক্যারেক্টার মাত্র। তাদের মধ্যেও অনেকটা সময় জুড়ে বিভিন্ন শেড দেখা গিয়েছে।
তার মধ্যেই এতোটা ওঠা নামা, হঠাৎ করে তৈরি হউয়া ডিলেমা, সাসপেন্স তৈরি করে। একটা থ্রিলিং ব্যাপারের শুরু বা শেষ নিয়ে ভাবতে হয় না। যখন তখন যেকোনো একটা স্ক্রিনে ফুটে ওঠে।
খুব সুন্দর ভাবে ফিল্মটির গল্প এগোতে এগোতে ঠিক কোন পরিনতি তে পৌছাতে পারে, সেটা আগে থেকে ভাবা যাবে না।

ছেলেটি ও মহিলার কথোপকথন এর দৃশ্য গুলো দারুন উপভোগ্য। তীর নিক্ষেপ কে করছে, আর কার লাগছে, বোঝা দায়।

তবে একটা সতর্কতা আবারও করছি।
বিশেষ কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে, যেটা অত্যন্ত ভাবে বোল্ড। এতোটাই সেই ব্যাপার রয়েছে যে সিনেমা রিলিজের পর ১৯৭৮ সালে অনেক গুলো দৃশ্য কেটে দেওয়া হয়েছিল, প্রোটেকশন অফ চাইল্ড অ্যাক্ট এর কথা মাথায় রেখে।
সেক্ষেত্রে, সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা মাথায় রাখা জরুরি।

হুস করে যেন একটা সুন্দর সিনেমা শেষ হয়ে গেল। সত্যি বলতে বেশ কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাইনি। সিনেমার লেন্থ আরও একটু বড় হলে ভালো হতো। তবে আমার এখন মনে হয়, একটা রিমেক যদি এটার হয়, তাহলে কেমন হবে ? এই সব সিনেমার রিমেক করলেও দারুন চলবে বলে আমার ধারনা।
যদিও ২০১৭ সালে “ ভয়েস ফ্রম দ্যা স্টোন “ ফিল্মটি নাকি এই ফিল্মের অনুকরণে বানানো হয়। যদি সময় হয়, নিশ্চয়ই দেখার চেষ্টা করবো।

আর হ্যা, সিনেমার শেষ দৃশ্য দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না মানসিক ভাবে। ভেবেছিলাম সিনেমা এখানেই শেষ। কিন্তু ঘটে গেল অন্য কিছু...  

অনেক দিন পর প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে তৈরি হওয়া ফিল্ম দেখলাম। দেখতে খুব ভালো লাগছিল। আগে কার দিনের ক্যামেরা মুভিং, কালার গ্রেড পুরোটাই আলাদা এবং অসাধারন। আমার পাঠক বন্ধুরা যদি পুরনো ফিল্ম এর রিভিউটি পছন্দ করে, তাহলে কমেন্ট করতে পারো। পরবর্তী সময়ে এমন মুভির খোঁজ দেওয়ার চেষ্টা করবো অবশ্যই, বরাবরের মত।
 
#WhatthePeeperSaw
#BengaliReview
#SamiranSamanta
©SamiranSamanta