🆁🅴🆅🅸🅴🆆 SMILE

🆁🅴🆅🅸🅴🆆

=======================                          
SMILE
=======================
সাল - ২০২২
প্লট – হরর, রহস্য, থ্রিলার
======================
ভাষা – ইংরেজি
দেশ – ইউনাইটেড স্টেট
=======================
আই এম ডি বি – ৬.৭ / ১০
নিজস্ব রেটিং –   ৭ / ১০
=======================
©SamiranSamanta

অনেকটা ব্যাস্ততা কাটিয়ে একটা ফিল্ম দেখলাম, বেশ অনেকটা সময় পর। হু, রিভিউ না করলে আমার পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা আমায় ছেড়ে কথা বলবে না। তাই আজকের রিভিউ এই বছরের একটা দারুন মুভি। একটু আলাদা, কিন্তু বেশ বেশ বেশ।
যেখানে রয়েছে ভয়, থ্রিল আর হালকা মাপের সাসপেন্স। তবুও রেটিং আমি একটু বেশি দিয়েছি,তার কারন পরে আসছি।

সিনেমার নামটা দারুন। তবে নামের সাথে সিনেমার ভাব ধারনা, পুরোটাই ১৮০ ডিগ্রি। হাসি তো পরের কথা, ভয় টা যে কখন আসবে, কোন পথে আসবে সেটা বুঝে ওঠার আগেই আঁতকে উঠতে হতে পারে।


ডক্টর রোজ, একজন সাইক্রিয়াতিসট। সেদিন নার্সিং হোমে একজন রোগী আসে। কোন ভাবে সে ভয় পেয়েছে, এক কথায় ট্রমার মধ্যে রয়েছে। ডক্টর রোজ তাকে দেখতে যায় ঠিকই, কিন্তু তারপরই ঘটে যায় ভয়ংকর দুর্ঘটনা। যেটা রোজের মত আমরা দর্শকরাও বুঝে উঠতে পারবো না। হাতে ধারালো জিনিষ, সেটা গলায় বসিয়ে এদিক থেকে ওদিকে টান মারবে। ফিনকি দিয়ে রক্ত, ব্যাস। সব শেষ, নতুন রোগী মৃত।
চোখের সামনে সুইসাইড দেখে ডক্টর রোজের মাথা খারাপ হয়ে যায়। উল্লেখ্য বিষয়, সেই রোগী যখন নিজেকে নিজে খুন করছিল, মুখে দারুন একটা হাসি লেগে ছিল। এমন হাসি, যেটা ঠিক আনন্দের নয়, যেটা অন্যকে ভয় পাওয়ানোর। হ্যাঁ, রোজ তাতে খুব ভয় পেয়েছে।
কিন্তু তারপর ?
তারপর থেকে রোজ নিজের চারিদিকে দেখতে পায় সেই মেয়েকে, যখন তখন। মুখে সেই খতরনাক হাসি লেগে।
কেন ?
ডাক্তার কি নিজেই রোগী হতে চলেছে ?
পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস অর্ডার, সাইকোলজির ভাষায়। এটা অনেক সময় ভারী কোন অঘটনের পরে প্রত্যক্ষদর্শীর ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।
কিন্তু যেখানে ডক্টর রোজ নিজে এই সব ব্যাপারে নিজেই অবহিত রয়েছে, আসলেই কি ওনাকে এই ডিস অর্ডার ধরল ? হ্যালুসিনেসন বা ডিলিউসন এর বাইরে এই কেস ?
নাকি এর পেছনে অন্য কিছু রয়েছে ? আর কাহিনীর শেষ পর্যন্ত হাসি অর্থাৎ জল কোন দিকে গড়াবে ?

অনেকেই বলবে বা মনে মনে প্রশ্ন করবে, হরর ফিল্ম যখন ভূত আছে, কড়কড়ে। না বন্ধু, ভূত আছে, কিন্তু সেই ভাবে নয় যেভাবে তোমরা দেখে আসছ। এখানে প্রধান উদ্দেশ্য, ভয়। সেটা কখনও ফিজিক্যালি, কখনও সাইকলজিক্যালি। কখনও সেটা ফবিয়া, কখনও সেটা ভ্রান্ত মাত্র।  
শুধু শুধু ভয় পেতে পেতে সেটা যখন বড় আকার ধারন করে, সেটা কি মাত্রায় বিকৃত মস্তিষ্কের জন্ম দেয়, সেটার একটা চরম রূপ, এই সিনেমা।

আমার ভালো লাগার বিষয় হল, এই সিনেমার ঘটে যাওয়া ঘটনার ক্রম। খুব সিম্পল ভাবে বোঝানো অথচ ঘটনার গভীরতা বেশ। এছাড়াও ভয়ের জন্য ব্যাকগ্রাউন্দ কালার গ্রেড যখন তখন পরিবর্তনীয় এবং অবশ্যই উপভোগ্য। সিনেমাতে যেটা ঘটছে, সেটা বোঝা এমন কিছু কঠিন নয়। মজার বিষয় হল, জানা সত্ত্বেও এই সিনেমা এক ভাবে দেখতে মন চাইবে। হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে সিন কাট করা যেতে পারতো। তখন অবশ্য সিনেমার রেশ ভেতরে ধরাতে গিয়ে একটু সমস্যা হতো বইকি।

নিজের মনের ওপর নিজের জোর থাকা দরকার। নিজের বশ না থাকলে, নিজের কন্ট্রোল যদি অন্য দিকে চলে যায়, তাহলে সেই কন্ট্রোলার নিয়ে যে যেমন খুশি তোমাকে কন্ট্রোল করতে পারে। আর যদি সেক্ষেত্রে কোনরকম অভিশাপ এসে জুড়ে বসে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।   

যারা টুইস্ট নিতে পছন্দ করো, তাদের জন্য বলবো, হুম। কখন টুইস্ট শুরু হয়েছে বুঝতে পারবে, কিন্তু কখন শেষ হবে… সিনেমার শেষাংশের টাইটেল নেম না আশা পর্যন্ত বোঝা দুষ্কর।  
আর তার ঠিক আগে এমন ধরনের দৃশ্য সহ্য করতে হবে, যেটা শুধু অদ্ভুত নয়, অভাবনীয়।


দেখা হবে পরের রিভিউ তে অথবা অন্য কোন গল্প নিয়ে।
ধন্যবাদ সব্বাইকে।

 
#SMILE
#BengaliReview
#SamiranSamanta
©SamiranSamanta