=====================
পুস্তক পরিচয়
=====================
#রিভিউ
#review
#পাঠপ্রতিক্রিয়া
©সমীরণ
===========================
রহস্য গল্প ১
===========================
লেখক – শেখর বসু
প্রথম প্রকাশ – ২০২২,
সেপ্টেম্বর
প্রকাশক – দ্যা
ক্যাফে টেবিল
২৭৫/- টাকা
==========================
গত মাসে প্রকাশিত এই বইটি চোখে পড়া মাত্রই কিনতে
দ্বিধাবোধ করিনি। লেখকের নাম আমার চেনা, কিন্তু এতদিন পর্যন্ত কোন গল্পই পড়া হয়নি।
তাই শুরুটা রহস্য গল্প দিয়েই হোক।
গল্পের শিরোনামে রহস্য। মোট ছয়টি গল্প নিয়ে
প্রথম খণ্ড।
প্রতিটা গল্প বেশ সুন্দর ভাবে তুলে ধরা। বার্তালাপ অথবা কাহিনীর বুনন, মোটের
ওপর বেশ সরল। হোঁচট খাওয়ার মত কোথাও ব্যাক্যবিন্যাস নেই। গল্প ধরা মাত্র নিজের
গতিতে শেষ হয়ে যায়। টানটান ব্যাপারটার অভাব থাকলেও পাঠক উপভোগ করতে পারবে।
রহস্য গল্প বলার থেকে এটাকে গোয়েন্দা গল্প বলাই
শ্রেয়। প্রথম পাঁচটি গল্পে আমরা পরিচিত হই, শৌখিন গোয়েন্দা কৌশিক মিত্রের সাথে।
কেমিস্ট্রি অনার্স এ ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে বেড়িয়েছে এই তরুন। আশ্চর্যের বিষয়, ওনার
দেখার ভঙ্গি অথবা ব্যখা করার ধরন এই বয়সে এতোটাই বেশি, যে গল্পের ইনস্পেক্টর তার
কাছে প্রায় প্রতিবারই হেল্প চাইতে আসে। ব্যাপারটা একটু চোখে লাগার মত, কারন বয়স
অনুযায়ী যে ব্যাখা করা হয়েছে গোয়েন্দার ব্যাপারে, সেটা নিতান্তই গল্পেই মানায়।
করমনডল এক্সপ্রেস, সুন্দরবন, পকোরা, চা এই শব্দ
গুলো একাধিক গল্পে বারংবার থাকায়, একটু বিরক্তি বোধ লেগেছিল। লেখকের কল্পনায়
প্রতিবার নতুন নাম, নতুন চমক কোন পাঠক না আসা করে। এক্ষেত্রে সেটা না থাকলেও গল্প
এগোতে সমস্যা হয়নি।
অপরাধী কে ? এই প্রশ্ন খুঁজতে গিয়ে পাঠকই
গোয়েন্দা রূপে অবতীর্ণ হয়। এটাই একটা ভালো গল্পের নিয়তি, যেখানে শেষ পর্যন্ত নিজের
গোয়েন্দাগিরি পুষিয়ে নেওয়া থেকে বঞ্চিত হয় না, পাঠক বা পাঠিকা। তবে এই গল্প গুলোড় ধরন অনেকটা মিল খায় একে ওপরের সাথে।
একটা দুটো পড়লেই বোঝা যাবে, লেখক যে গোলক ধাঁধার রচনা করে সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা
করছেন, সেটা প্রতিবারই গোলমেলে হয়। অর্থাৎ কেন্দ্র বিন্দু তে অপরাধী নেই, তাকে জোর
করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে গল্প কে লম্বা করার জন্য।
কৌশিক মিত্র প্রায় সব ক্ষেত্রেই, সত্য খোঁজার কাজ ভেতরে ভেতরেই করে ফেলেন। আর হঠাৎ করে কোন ভূমিকা ছাড়াই বলে দেন, অপরাধী ধরা
পড়েছে।
পাঠক এতে খুশি হয়, যে তার অগোচরেই গোয়েন্দা তার কাজ করে ফেলেছে। এবার আসবে যবনিকা
পতন।
কিন্তু না। ইনভেস্টিগেশন এর কারন ও তিল থেকে তাল বার করার কৌশল,অতীব সহজ। একটা
গোয়েন্দা নয়, একটা ক্ষুরধার মস্তিষ্কের অধিকারীও এটা করে ফেলতে পারে। আমি অবাক
হয়েছি, পুলিশ কে এতোটা মাথা মোটা বানিয়ে কাজ করানো হয়েছে দেখে।
প্রতিটা গল্পের শুরু হয় এমনই এমনই। মূল প্লট
অত্যন্ত ছোট অথবা গল্পের মাঝ পথে শুরু। আর তৎক্ষণাৎ শেষ।
কিশোর সাহিত্য বলাটাই শ্রেয়। প্রথম হাতেখড়ি করতে
চাইলে এই বই পড়া যায়। বইটি আমি গত কাল ধরে ছিলাম, মোটের ওপর চব্বিশ ঘণ্টা লেগেছে।
স্কোরবোর্ড - ২.৫ / ৫
#সমীরণসামন্ত
#শেখরবসু
#রহস্যগল্প১
#রিভিউ
#পাঠপ্রতিক্রিয়া
Comments
Post a Comment