Eyes of Crystal - 🆁🅴🆅🅸🅴🆆

🆁🅴🆅🅸🅴🆆

=======================                          
Eyes of Crystal
=======================
সাল - ২০০৪
প্লট – ক্রাইম, রহস্য, থ্রিলার ( প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য )
======================
ভাষা – ইংলিশ ( সাবটাইটেল )
দেশ - ইটালি
=======================
আই এম ডি বি – ৬.৪ / ১০
নিজস্ব রেটিং –   ৭ / ১০
=======================
©SamiranSamanta

এই কদিনে সিনেমা দেখিনি যে তা নয়। মাসে অন্তত একটি করে রিভিউ সব্বাই চেয়েছে, সেটাই রাখার চেষ্টা করি ব্যাস্ততার ফাঁকে। কিন্তু বিশ্বাস করো বন্ধুরা, একটাও পাতে দেওয়ার মত মোক্ষম সিনেমা আজ আর তৈরি হয় না। যেটা হয় সেটা গ্রাফিক্সের মোড়কে বাজার ধরার একটা চেষ্টা মাত্র। গল্পের মধ্যে ভুলে ভরা উপত্যকা, পাশাপাশি যোগ করতে বিরতি আসে। অভিনয় তো পরের কথা, ঠিকঠাক কন্টেন্ট সঙ্গে দারুন একটি গল্প, তবে না রিভিউ করার যোগ্য হয়।

কিন্তু এর মধ্যেই দারুন একটা ফিল্ম হাতে এলো। আপাতত অনেক দিন পর এমন একটা কিছু দেখলাম। মনের খিদে সঙ্গে জানার খিদেও মিটিয়েছে বইকি।
প্রথমেই বলে রাখি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ফিল্মটি তৈরি হয়েছে, যেখানে নগ্নতা, যৌনতা এর নৃশংস কিছু দৃশ্যপট চোখে পড়বে।

‘ ট্যাক্সোডারমি ’ শব্দটার সাথে অনেকেই পরিচিত। তবু বলে রাখি,এটা জীবন্ত প্রাণীর দেহ কে বাঁচিয়ে রাখার কৌশল এর নাম। শরীরের ভেতরের সমস্ত কিছু বার করে কেমিক্যাল, তুলো, গজ কাপড় ইত্যাদি জিনিষ শরীরের ভেতরে স্টাফ করে রাখা হয়।

সিনেমায় এই প্রসেস প্রয়োগ করতে দেখা যায় একটি সাইকোপ্যাথ কে। শুরুতেই সেই দৃশ্য বেশ গায়ে কাঁটা দেওয়া রেশ তৈরি করবে।
এটা পর্যন্ত ঠিক ছিল কিন্তু এদিকে যে শহরে খুন হতে শুরু করেছে। যেমন তেমন নয়, শরীরের কোন না কোন অঙ্গ কেটে সেই খুনি নিয়ে চলে যায়, বাকি অংশ ফেলে রেখে। কিন্তু কেন ? খুন টা করার আসল উদ্দেশ্য নাকি কোন রকম প্রতিশোধ নাকি...

পুলিশ লেগে যায় এই কাণ্ড কারখানার পেছনের আততায়ী কে ধরার চক্করে। আর একটাও খুন হতে দেবে না ভেবে পুলিশ যত না এগোয়, তার মধ্যে আবার দুর্ঘটনা নাকের ডগা দিয়ে হয়ে যায়।
একজন ইন্সপেক্টর কে আমরা দেখতে পাই, পার্টনারের সাথে দারুন জুরি।  মাঝরাতে ফোন করে শুধু মাত্র থাঙ্কস জানানর জন্য।

তারা দুজনে দ্বারস্থ হয় এমন একজনের কাছে, যে কিনা শয্যাশায়ী, মৃত্যুর সাথে লড়ছে। অরফান এ বড় হওয়া সেই লোক মানসিক ভাবেও অসুস্থ। যখন তখনই হালুসিনেট করছেন। বলে রাখা ভালো, ওনার হালুসিনেসন কিন্তু মূল কেসের সাথে ইন ডাইরেক্ট ভাবেই জড়িত।

গল্পে একজন নায়িকার খোঁজ পাই কিছু সময় পরে। কলেজে পড়া সেই মেয়েকে কেও খুব বিরক্ত করছে ফোনের মাধ্যমে। লিডিং ইন্সপেক্টর তাকে হেল্প করতে এগিয়ে আসেন, এবং জড়িয়ে পড়েন ঘনিষ্ঠ ভাবে।

ব্যাস এই হোল গপ্পো। কার সাথে কিসে লিঙ্ক আছে, খুনি আসলে কে ? আসলেই পুরো ব্যাপারটা কি। সম্পূর্ণ টানটান উত্তেজনা পূর্ণ এই সিনেমা, একবার বসে শুধু শুরু করতে হবে। শেষ না করে যাওয়াটা বেশ কষ্টকর মনে হয়।

সমগ্র সিনেমা স্লো গতিতে যখন তখন হাইপ নিয়ে নেয়। বোঝার আগেই খুন হয়, এবং সেটা হয়তো পুলিশের আগে দর্শকের সিক্স সেন্স বলে দেবে।
রহস্য থ্রিলার সিনেমার একটা এক্সট্রা পাওয়া, খুনি কে ? আমরা দর্শকরা কিন্তু ওটা মাথায় নিয়ে আলাদা ভাবে ক্যাল্কুলেট করি, আর সিনেমার ধারায় ভেসে যাই। শেষমেশ মিললে ভালো, নয়তো অবাক হউয়ার পালা। এই সিনেমায় কিন্তু অবাক হতে হবে শেষে যাওয়ার পর। তবে যারা থ্রিলার সিনেমা দেখে দেখে চিন্তা ভাবনা প্রখর করে ফেলেছে, তারা কিন্তু গেস করতেই পারবে, খুনি ঠিক কে ? বা কারা ?

সিনেমার পছন্দের জায়গা, প্রত্যেকের অভিনয়। একেই তো ফ্রেস লুক, সব কিছুই যেন নতুন, একদম চাবুকের মত ডায়লগ ডেলিভারি এবং ভাবনার প্রেক্ষাপট।
সিনেমায় ব্যাকগ্রাউন্দ মিউজিকের অভাব ছিল। আরও কিছু অ্যাড করা যেতে পারতো। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী ন্যাচারাল শব্দ গুলো বেশ।
একটা দুটো প্রশ্ন মনের ভেতর খটকা দিয়েছে। সেখানেই অসম্পূর্ণটা কোথাও পেয়েছি। তবে সেটা নিজের জন্যই তোলা থাক, অন্যের কাছে সেটা নাও মনে হতে পারে। আসলে বিদেশি ভাষায় ফিলিম, অনেক ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থটা বুঝতে পারাটাও বেশ চাপের হয়ে ওঠে। এগুলো হয়তো তারই অঙ্গ।

সিনেমার নামকরণের বিশেষ সার্থকতা রয়েছে। ‘ ট্যাক্সোডারমি ‘ যারা করে, তারা প্রাণীদের আসল চোখের পরিবর্তে ক্রিস্টাল বা পাথরের কিছু ব্যাবহার করে। সিনেমায় সেটার একটা বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।

রবার্ট ডাওরি জুনিয়র কে কে না চেনে, ওনার শারলক হোমস এর সিনেমা যদি কেও দেখে থাকে, তাহলে ওনার সেখানে যে কচি লুক টা ছিল,  মূল ইন্সপেক্টর কে ঠিক তেমনই লাগছিল। আর নায়িকা কে দেখছিলাম, আমাদের বলিউডের পুনম পাণ্ডের কথা মনে পরে গিয়েছিল, বারংবার।

রিসেন্টলি মুক্তিপ্রাপ্ত  ‘Cadaver’ ফিল্ম এর থেকে অনেক গুনে ভালো এই ফিল্ম। আর একটা দারুন খবর দেবো ? ফিল্মটি ইউটিউব এ রয়েছে। লিঙ্ক দিলাম না , একটু কষ্ট করে খুঁজে নিতে হবে সব্বাই কে। ( লিঙ্ক দিলে অনেকেই আবার চ্যানেল এর প্রমোশন করছি ভেবে বসবে )

রিভিউ কেমন লাগল জানিও।
আজকের ফিল্মের থেকে পুরনো আগেকার বানানো সিনেমা গুলি যথেষ্ট আন্ডাররেটেড। সেজন্যই নতুনের আগে পুরনো ফিল্মে বুঁদ হয়ে থাকতে পছন্দ করি। বলা যায় না, কোনটা আবার মাস্টারপিস বেড়িয়ে পড়ে। ভয় একটাই, রিভিউ কোন ডিরেক্টরের চোখে পড়ে গেলে, সেটা না আবার রিমেক করে গুষ্টির ষষ্টি পূজা করে বসে। যেমন ‘ কাঠপুতলি ‘। সিনেমাটি আমি দেখবো হয়তো, তবে রিভিউ দেবো না এটুকু কনফার্ম।
আর একটি নাম, ‘ হিট ‘। এগুলো এক একটা বেস্ট ক্রিয়েশন।
আর একটা, মুখোশ। আসল নাম আনজাম পাথিরা, ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট।


চললাম আজ !








  

 
#EyesOfCrystal
#BengaliReview
#SamiranSamanta
©SamiranSamanta