=====================
পুস্তক পরিচয় 18
=====================
#রিভিউ
#review
#পাঠপ্রতিক্রিয়া
©সমীরণ
===========================
===========================
==========================
তাই আজও এই বিষয়ে লেখালিখি যদি দেখতে পাই, সেটা যদি গল্পের আকারে হয়, তাহলে হাতছাড়া করতে পারি না।
মনবিজ্ঞানের অনেক কিছুই ডক্টর অর্ক এর পেশার মধ্যে পড়ে। উনি ঘড়ি দেখে সময় বেঁধে পেসেনট দেখেন না, কারন মনোবিজ্ঞান অন্যান্য চিকিৎসা থেকে একদমই আলাদা।
রোগী হোক অথবা অপরাধী, কি ভাবতে চাইছে বা কি ভাবছে, সেটা অর্ক বাবুর কাছে খুব সহজ, বুঝে নেওয়ার জন্য।
এই ক্যারেক্টার টি কে বেশি ভালো লাগার কারন, ডাক্তার হলেও ইনি মানুষের সাথে মিশতে পারেন, এবং প্রতিটা মানুষকে যোগ্য সম্মান দেন, নিজের পদের কোন রকম সুযোগ নেন না।
গল্পগুলো মোটের ওপর খারাপ নয়।
‘ভয়’ গল্পটি সানডে সাসপেন্স এ শুনেছি, সেখান থেকেই অর্ক বাবুর খোঁজ পাওয়া।
তবে এই বইয়ের সব থেকে ভালোলাগার গল্প , ‘ইলিউসন’।
গল্পটি পড়ার পর বেশ সময় লেগেছিল ভাব্বার, কি ঘটে গেল এর মধ্যে।
তবে আমি এই বইয়ে অনেকটা বেশি এক্সপেক্ট করেছিলাম। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারে অনেকটা আশা করেছিলাম। বিভিন্ন্য টার্ম, তার কারন, বিজ্ঞানসম্মত তার কৌশল, সুফল ইত্যাদি অনেকটাই মিসিং। অর্ক বাবু নিজের অভিজ্ঞতা লিখিয়ে নিতে চেয়েছেন তার বন্ধু তুহিনের মাধ্যমে, কিন্তু এখানে মনস্তত্ত্য প্রথম তিনটে গল্পে যেমন জোরালো, তেমন বাকি তিনটে গল্পে নেই।
শেষের গল্পটি একটি অ্যাডভেঞ্চার মাত্র, এখুনি শুরু হয়ে শেষ হয়ে গেল। ধর তক্তা মার পেরেক।
একটা কথা বলা দরকার, ওনার লেখার ধরন কিন্তু বেশ সাবলীল এবং কথা গুলো সোজা মগজে আঘাত করতে পারে।
গল্পের প্লট কোথাও দুর্বল, কোথাও জোরদার।
হয়তো আমার মত পাঠক বলেই হতাশ হয়েছি। আমি সেটা পাইনি পুরপুরি ভাবে, যেই অর্থে বইটি নিয়েছি।
তবে আশা রাখছি, যারা নতুন পাঠক / পাঠিকা, মনস্তত্ত সংক্রান্ত গল্প প্রথমবার পড়তে বসেছে, খারাপ লাগবে না।
লেখকের কাছে অনুরোধ, দ্বিতীয় পার্ট আরও জোরালো অভিজ্ঞতা যোগ করুন, সঙ্গে সাইকলজির ব্যাখা ও যুক্তি।
ধন্যবাদ।
#সমীরণসামন্ত
#অর্কসমগ্র ১
#পল্লবহালদার
#রিভিউ
#পাঠপ্রতিক্রিয়া
Comments
Post a Comment