The 8th Night ( 2021 ) - সিনেমা রিভিউ

The 8th Night ( 2021 )

প্রেক্ষাপট –  হরর, থ্রিলার, লিজেন্ড
আই এম ডি বি – ৫.৫
/ ১০
পার্সোনাল রেটিং  ৬ / ১০




( রিভিউ এর শুরুতে বলে রাখি, কিছু স্থানে আমি ইংরেজি বানান ব্যবহার করবো, পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে )


শেষ মন ছুঁয়ে যাওয়া কোরিয়ান ফিল্ম বলতে স্বাহা, দ্যা সিক্সথ ফিঙ্গার। তারপর যদি সেইভাবে মন ছুঁয়ে যায়, তাহলে আজকের ফিল্মটা উল্লেখযোগ্য বলতে চাই।
কি নেই ?
Cult, Murder, Mystery, Buddhist Philosophy, Folklore এর একটা মিশ্রণ, যেটা বেশ ভাল ভাবে বানানোর চেষ্টা হয়েছে। মূলত Buddhist Legend অধীনে থাকা Diamond Sutra এর গল্পের ওপর বেস করে তৈরি এই সিনেমা। একটু স্লো শুরুতে, তারপর কিন্তু একদম …

ফিল্ম শুরুর আগে ডায়মন্ড সূত্র এর একটি কথিত গল্প শোনা যায়। সংস্কৃত ভাষায় লেখা এই কাহিনী শুরুতে চিত্রের মাধ্যমে বর্ণিত রয়েছে। সংক্ষেপে সেটা ব্যাখ্যা করছি।

২৫০০ সাল আগেকার কথা। একটি রাক্ষস পৃথিবীতে স্বর্গ আর নরকের একটি দরজা খোলার চেষ্টা করে। তখন ভগবান Buddha প্রকট হন। রাক্ষসের শক্তির মূলঅংশ ওর দুটো চোখ, একটা কালো চোখ, আর একটা লাল চোখ। ভগবান Buddha এটা জানতেন। উনি তার দুটি চোখ আলাদা করে দেওয়ার চেষ্টা করলে, দুটি চোখ পালাতে শুরু করে। কালো চোখটা কে যখন বন্দি করে একটি বক্সে, তখন লাল চোখ অনেকটা দূরে চলে যায়। দেখতে দেখতে সাতটি রাত কেটে যায়, লাল চোখ প্রতি রাতে একটা করে মানুষ কে নিজের আয়ত্তে ( possessed ) নিয়ে পালাতে থাকে। কিন্তু অষ্টম রাতে সে জানতে পারে, তার পালিয়ে বেড়ানোটাও ভগবান Buddha এর মায়া ছিল। তাই সেদিন Buddha এর সামনে বশ্যতা স্বীকারের ভান করে লাল চোখ, আর একটি বক্সে বন্দি হয়ে যায়। একটি বাক্স পূর্ব তথা কোরিয়া তে এবং দ্বিতীয়টি পশ্চিমে কোন মরুভূমির কোথাও লুকিয়ে রাখে।


কাহিনী শুরু হয় ২০০৫ থেকে, একজন আরকিওলজিসট এর হাত ধরে।  মরুভূমিতে একটি বক্স পান, ভেতরে একটি পাথর। দাবি করেন, এটা ডায়মন্ড সূত্রের সেই বক্স। চারিদিকে হইচই পরে যায়।
কার্বন ডেটিং করা হয়। জানা যায়, ২৫০০বছর আগে নয়, বক্সটার বয়স খুব বেশী নয়। অর্থাৎ আরকিওলজিসট মিথ্যুক।
নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য শুরু করলেন আসল কিসসা, যেটা গল্পের ধারা অব্যাহত রাখে।   
 
 
সত্যি বলতে সিনেমাটি প্রথমবার দেখলে একটু বুঝতে অসুবিধে হবে। দ্বিতীয় বার দেখলে অনেকটাই পরিষ্কার হবে, অর্থাৎ পুঙ্খানুপুক্ষ বুঝতে এটা আবশ্যক।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনও কোনও দৃশ্যের মাঝে এমন এক একটা জায়গা রেখে যায়, যার ব্যাখ্যা পরে গিয়ে মেলে। তাই খুব ঠাণ্ডা মাথায় সময় নিয়ে এটা দেখলে ভাল হয়।
“ অষ্টম রাত “ টাইটেলটা কিন্তু অত্যন্ত যথাযথ আমি বলবো। শুরুর কথিত গল্পটা পড়লে সেটা আন্দাজ করা খুব সহজ যে কি ঘটতে চলেছে। কাহিনীর দ্বিতীয়ভাগে ছোট্ট ছোট্ট মোচড় দর্শককে অবাক করতে সক্ষম।

গল্পে দুটো মেইন ক্যারেক্টার কে দেখতে পাই। একজন মঙ্ক ( অফিসিয়ালি নন ), দ্বিতীয় জন একটি বড় ছেলে, যার মগজ ছোট্ট বয়সেই আটকে আছে। এদের দুজনের মধ্যেও একটা ইতিহাস আছে, সিনেমায় যেটা নিপুণ ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে।
এক কথায় ইতিহাস ভৌতিক রহস্য একসাথে আরও একবার দারুণ ভাবে ধরা দেবে এই সিনেমায়। স্পয়লারের জন্য অনেক কিছু বলতে গিয়েও চুপ রইলাম, নয়তো কনফিউজ করার মত উপকরণ এই সিনেমায় ছড়িয়ে রয়েছে।




 






    


 




 







Comments