পুস্তক পরিচয় - গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত বিশ

 

=====================
পুস্তক পরিচয় 

=====================
#রিভিউ

#review

#পাঠপ্রতিক্রিয়া
©সমীরণ
===========================
      গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত বিশ
===========================
-> সংকলনসুমন্ত চট্টোপাধ্যায়
-> প্রথম প্রকাশ২০২২, ফেব্রুয়ারি
->
প্রকাশকপত্র ভারতী  
->
২৯৯/- টাকা
==========================



রিভিউ শুরুতে প্রশ্ন রাখছি।
সমাজে যে সকল সমস্যা ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত, গল্পের মধ্যে দিয়ে আমরা সেই ডিটেকটিভ কে খুঁজি, যে সমস্ত সমস্যার সমাধান নিজের মাথা খাটিয়ে কখনও ফিল্ডে গিয়ে অথবা কখনও ঘরে বসেই সমাধান করে ফেলে।
প্রকৃতই কি এমনটা ঘটে ?
সিনেমাতেও দেখানো হয়, সমস্ত কাজ করল হিরো। বাকি কারোর তেমন ভাবে কোন ভুমিকাই নেই।

বাস্তবে অর্থাৎ আমাদের সমাজে যারা এই কাজটি করে, তারা সরকারী পোশাকে পুলিশ।
ঘটনার শেষে এই পুলিশের উপস্থিতি ঘটে সিনেমায়, গল্পে। কিন্তু বাস্তব শুনলে ভালো ভালো গল্পের প্লট মার খেয়ে যাবে।
গোয়েন্দার মত ক্ষুরধার বা বলা ভালো তার থেকেও তীব্র লেভেলের কাজ যদি পুলিশের দ্বারা হয়, তাহলে কি ঘটবে, কীভাবে সমস্যার সমাধান হতে পারে।

আজকের গল্পের বইটি, কুড়ি খানা গল্প নিয়ে। না, গল্প নয়, সত্যি ঘটনা ও তার বিবরন পূর্ণ
পুলিশ যেখানে তৎপরতা নিয়ে কাজ করছে
ঘটনার পিছনে ধাওয়া করে সূত্র খুঁজেছে। সামান্য কেস হাতে নেওয়ার পর,আস্তে আস্তে কেঁচো খুড়তে কেউটে বেড়িয়ে পড়ছে।
ছোটখাটো সামান্য ঘটনার অন্তরালে মেঘের ঘনঘটা ঠিক আগে থেকে আঁচ করতে না পেরে কোন ফ্যাসাদে পড়েছে।
 
ঘর শত্রু বিভীষণ নাকি মেঘের আড়ালে মেঘনাদ রয়েছে।

এমন রোমহর্ষক কিছু ঘটনার গল্প রূপে বিবরন খুব কমই আমি হাতে পেয়েছি।



“ দারোগার দপ্তর “ ছিল সর্বপ্রথম ঠিকঠাক ক্রাইম স্টোরি, ১৮৯২ সালে যার শুরু, প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় এর হাত ধরে।
ওনার মত আরও একজন দক্ষ পুলিশ অফিসার ছিলেন।
নাম বরকতউল্লা। ১৮৯৬ সালে তাঁর হাত ধরে “ বাঁকাউল্লার দপ্তর “ সবার সামনে আসে, নির্ভেজাল ক্রাইম সিরিজ হিসেবে। তবে অনেকের মতে লেখাগুলো কালীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় অথবা প্রিয়নাথ বাবুরই ছদ্মনামেই লেখা।  

আর একজনের নাম না নিলেই নয়, পঞ্ছানন ঘোষাল। চাকরি জীবন শুরু হয় পুলিশের এস আই বিভাগে। ক্রিমিনাল সাইকলজির ওপর পি এইচ ডি করেন। বই পাড়ার “ অপরাধ বিজ্ঞান “ বইটি পাঠক মহলে বহুল সমাদৃত।

এছাড়াও আরও ১৭ জন লেখকের ছোঁয়া রয়েছে কলমের জোরে। সব্বাই পুলিশ দপ্তরের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। রয়েছে নিজেদের কর্মজীবনে ঘটে যাওয়া সাঙ্ঘাতিক কেস এর একটি বেস্ট অফ বেস্ট ঘটনা।

গল্পের ছলে হলেও, সত্য ঘটনা কতটা নির্মম, কতটা হাড় হিম করা, ভাবা যাবে না, না পড়া পর্যন্ত।
পাঠক পাঠিকাদের অতিরিক্ত পাওয়া হিসেবে রয়েছে, লেখক / লেখিকা পরিচিতি। এই সব অজানা নাম, আমার কাছে সত্যি দুষ্প্রাপ্য।

এই বইয়ের আরও পার্ট আসুক, আমার মত পাঠক এর তরফ থেকে একটাই অনুরোধ রইলো।  
শেষ কথা হোল, এবারের বইমেলায় কেনা বেস্ট বই এর লিস্টে রইলো এটা।  



#সমীরণসামন্ত
#
গোয়েন্দাপুলিশতদন্তবিশ
#বইমেলা২০২২

#রিভিউ
#পাঠপ্রতিক্রিয়া



  


 

 

Comments