পুস্তক পরিচয়
।।। এফ বি আই ফাইল থেকে ।।।
->লেখক – কাজল ভট্টাচার্য
->পরিবেশক – অরন্যমন প্রকাশনী
->প্রকাশ – জানুয়ারি, ২০২২
->৩০০/- টাকা
©সমীরণ
না না, প্রথমেই বলে দিলাম, ইংরেজি ভাষা সাহিত্যের বাংলায় অনুবাদ গল্প ভেবে থাকলে ভুল করবে, পাঠক বন্ধুরা। কারন এই প্রেক্ষাপটের ওপর লেখা দেখলে আমরা সেই রকমই মনে করে এড়িয়ে যাই।
কিন্তু এটা এক কথায় বলতে গেলে, একটি জীবন্ত দলিল। কিসের ?
আসছি একে একে।
এফ বি আই ( ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ) – নামটাই বেশ গম্ভীরতা বহন করে চলে।
প্রতিটা দেশের মত আমেরিকাতেও খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, সন্ত্রাসবাদ ঘটে থাকে, বিদেশী নিউজ চ্যানেল খুললেই বোঝা যায়।
সেই সকল ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এগিয়ে আসে।
কিন্তু অপরাধের গভীরতা যখন ডিপার্টমেন্ট কে কোন ঠাসা করে দেয়, যখন অন্ধকারের ভেতরে আলো খুঁজতে টর্চ কাজে দেয় না, তখন ডাক পরে এফ বি আই এর।
একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে অনেক ধরনের অদ্ভুত কেস সল্ভ করার পর ডিপার্টমেন্ট কিছু কেস অফিসিয়ালি রিভিল করে।
সেই সকল সত্যি ঘটনাগুলি প্রতিটাই বেশ তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ঐ যে বললাম না, জীবন্ত দলিল!
সত্য ঘটনা কে কেন্দ্র করে তার চারপাশে ঘটনার বিস্তার বৃত্ত হোল এই বই, যেখানে রয়েছে বাছাই করা চার চারটি সল্ভ করা অদ্ভুত কেস।
সত্যি কথা বলতে এমন বইয়ের সন্ধান আমি আজ পর্যন্ত বাংলাতে সেই অর্থে পাইনি, যেখানে স্থান কাল পাত্র এর নাম একই রেখে শুধু ভাষার হাত ধরে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরন তুলে ধরার চেষ্টা রয়েছে। একটি ঘটনা কে সঠিক ভাবে ব্যখা করতে হলে ঠিক কতটা জ্ঞানের দরকার তার আগে। কতটা জানলে, কতরকম ভাবে ডিটেলস ক্রস চেক করলে এমন লেখা সম্ভব, তার একটা বিশেষ নিদর্শন এই বইটি।
চারটি গল্প,চাররকম স্বাদ। প্রতিটাই উপভোগ্য একটি মিশন এর মত। কোনটার সময় কাল দুই বছর আবার কোনটা ১৭ বছর।
হটস্টার চ্যানেল এ “ স্পেশাল অপ্স “ নামে একটি সিজন বেরিয়েছিল। প্রতিটা গল্প পড়ার সময় আমি সেই রকমই অনুভূতি কাছে পেয়েছি। যেন ব্যাপার গুলো চোখের সামনেই আস্তে আস্তে ঘটনায় রূপান্তরিত হয়ে গেল, মুহূর্তেই।
নাম্বার ষ্টেশন, ডেড ড্রপ, সুগার ডাডি
এই সকল নতুন শব্দের আসল অর্থ জেনেও বেশ উত্তেজিত হয়েছিলাম আমি।
এটাও দেখলাম, পলিগ্রাফ টেস্ট ফাঁকি দেওয়া সম্ভব, সেটা একজনই সেই সময়ে পেরেছিল, কিন্তু কি করে?
প্যথালজিক্যাল লায়ার বা কি ?
তবে একটা কথা না বললেই নয়, যেহেতু ঘটনার স্থান কাল একই রয়েছে, তাই পড়তে গিয়ে, বুঝতে গিয়ে মাঝে মধ্যে একটু সময় লেগেছে। কারন গতানুগতিক নামের থেকে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটা না থাকলে আসল জুসটা বোধকরি পাওয়া অসম্ভব হতো।
কাজলদার সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে পরিচিত হতে পেরে খুশি হয়েছিলাম এবারের বইমেলায়। মানুষটি কে গম্ভীর লাগে দেখতে, কিন্তু আসলেই উনি সম্পূর্ণ উলটো। আবারও দেখা হবে ওনার সাথে, আশা রাখছি।
বিকাশদার সাথেও পরিচয় হয়েছে, কিন্তু দুঃখের কথা চিরঞ্জিত দা আজও আমার ফ্রেন্ড রিক একসেপ্ট করলেন না।
ও হ্যাঁ, একটা কথা।
বম্ব যে ফাটায়, তাকে বম্বার বলে। যখন সেই ফাটানোর অন্তরালে কোন প্যাটার্ন খুঁজে পাওয়া যায় না, তাকে ম্যাড বম্বার বলে। কিন্তু সেই বম্ব এ লজেন্স থাকে কেন ? এক বম্ব ফাটাতে কি কাজে লাগে এই লজেন্স ?
টানটান উত্তেজনা, থ্রিলার কে এক ধাপ ওপর থেকে পড়তে হলে আমার সাজেশন, এই বই।
#সমীরণসামন্ত
#শব্দপ্রকাশন
#বইমেলা২০২২
#অরন্যমনপ্রকাশনী
#এফবিআইফাইলথেকে
#বই_রিভিউ
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন, পাঠে থাকুন।
ReplyDeleteশব্দ প্রকাশন
Thank You so much
Delete