🆁🅴🆅🅸🅴🆆 BHOOTHAKALAM

                              🆁🅴🆅🅸🅴🆆

                           BHOOTHAKALAM
                             
সাল - ২০২২
প্লট – ভয় , রহস্য
আই এম ডি বি রেটিং – ৭.৯ / ১০
নিজস্ব রেটিং – ৯ / ১০

আপাতত ২০২২ এর দেখা একটি সেরা মুভির রিভিউ করতে চলেছি। মাস্ট ওয়াচ লিস্টে রাখাটা বাধ্যতামূলক বলেই মনে হয় আমার।
এতদিনে ভূত, ভয় নিয়ে অনেক সিনেমাই দেখলাম, অনেকেই নিজের জায়গায় দারুন ছাপ ফেলে রেখেছে। সেটা এমনই ,যে কেও ভূতের বইয়ের নাম মুখে আনলে সেই সকল ফিল্মের নাম একটার পর একটা বেড়িয়ে আসতে বাধ্য।
এক্ষেত্রে পরবর্তী সময় থেকে আমার মুখেও তাই, “ ভুথাকলম “ নামটা শুনতে পাবে সব্বাই।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে অনেক ধরনের ফিল্ম তৈরি হয়ে থাকে। সেখানে বেশ এমন কিছু পরিকল্পনা মাফিক দৃশ্য দেখানো হয়ে থাকে, পরিবেশ এমন ভাবে বানানো হয়, যেটা দেখতে ভয় লাগে অবশ্যই। যেটা দেখার পর রাতে বাথরুম এ যাওয়ার সময়ও কাওকে লাগে, যদি বাথট্যাবের জল থেকে কেও হাত বাড়ায়, যদি ঘরে ফিরে বিছানায় কাওকে বসে থাকতে দেখা যায়, অথবা ঘাড়ে ঠাণ্ডা নিশ্বাস যদি অনুভূত হয়,
কিন্তু একটু ভেবে দেখবে তোমরা,
বাস্তবে কি এই সকল ঘটনা আদতেই ঘটে ?
 
ভয় পাওয়ার জন্য এগুলোর স্ক্রিন আপিয়ারেন্স নিঃসন্দেহে অসাধারন, সিনেমা হল থেকে বেড়িয়ে জুলুজুলু চোখে বলে ফেলাই যায়, আহ কি দেখলাম একটা সিনেমা, দারুন ভয়ের।
কিন্তু সেগুলো কি আসলেই ঘটে বাস্তবের সাথে রিলেট করা যায় ? নাকি নিছক ভয় পাওয়ার আনন্দে সাবাসি দিয়ে ফেলি।
ভয় আছে, অথচ নো লজিক। অবশ্য এটা ঠিক, ভয় যেখানে, লজিক সেখানে কাজ করে না। কিন্তু তাও এমন কিছু কি দেখানো হয় যেটা আসলেই বাস্তব, ঘটতে চলেছে ?

এমন একটা সিনেমা যদি এই মুহূর্তে থাকে, যেখানে ভয় তো রয়েছে, তবে সত্য ভয়, ট্রু হরর, সেটা হোল এই সিনেমাটি।


আমি একটা কথা বিশ্বাস করি এবং মাথায় রাখি, ভূতের সিনেমা এঞ্জয় ততক্ষণ করা যায়, যতক্ষণ না পর্যন্ত ভয়ের কারনটা বস্তু হিসেবে চোখের সামনে আসছে। মিলি সেকেন্ড এর মধ্যে হঠাৎ কোন মুখের আবির্ভাব হোক অথবা মুণ্ডহীন শরীরের দৌড়ে আসা, যেটা হোক না কেন। একবার ভিসুয়াল হয়ে যাওয়ার ( জাম্প স্কেয়ারি ) পরই ভয় খতম, ব্যাস বাকিটা শিরশির করে মাত্র।
আজকের সিনেমা সেই গোত্রের মধ্যে পড়ে না। আর ঠিক সেই কারনেই আমার পছন্দের লিস্টে এর নামটা ঢোকালাম।
ভয়, অশরীরী অথবা ভয়ের কারন ঠিক কীভাবে কি কারনে কোথায়, কোন পথে কি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে, কি করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়ে ওপর মানুষ কে ভুল বোঝাতে পারে, অসাধারণ ফ্লেভার এর একটা দারুন নিদর্শন।

বিনু, ছেলেটি মাঝবয়সী। এই সময়ের অনেক ছেলে এই চরিত্রের কষ্টটা বুঝতে পারবে। এই যে সহজেই কানেক্ট হয়ে যাওয়া, দর্শকের সাথে ফিল্মের ইমোশন, এটাও একটা বেশ কি পয়েন্ট।

চাকরির সন্ধানে তো রয়েছে, কিন্তু তার মা  ( আম্মা ) চায় না তাকে ছেড়ে সেই ছেলে বাইরে কোথাও যাক। তার মা আসলে একাকী অনুভব করে। তার নিজের স্বামী অনেক আগেই মারা গিয়েছে, আর তার জন্য রেখে গিয়েছে বোঝা বোঝা ঋণ এর লিস্ট, এক কথায় বেপথে চলে গিয়েছিল। সেই পথ যাতে বিনু না ধরে সেই প্রচেষ্টা আর কি। এদিকে বিনু কে নেশা করে সেটাও তো জেনে গিয়েও বিপদ।
সিনেমার শুরুতেই প্রায়, আম্মির মা মারা যায়। তারপর থেকে
আরই একা, আম্মি। মা ছেলের আসলেই বনিবনা তেমন ভাবে ছিল না। কিন্তু তাই বললে চলে কি করে ? রাগ গোসা, চাকরি খোঁজা, গার্লফ্রেন্ড কে বোঝা – এই সমস্ত কিছুই চলতে চলতে হঠাৎ ঘটলো এক ঘটনা। বিনু অনুভব করতে শুরু করল, এমন কিছু যেটা এর আগে কখনোই ঘটেনি।
আম্মির মা মারা যাওয়ার পর থেকেই, এটা ঘটছে। সে সম্ভবত ঘরের মধ্যে আরও কিছুর উপস্থিতি টের পায় ( সম্ভবত বললাম তার ব্যাখা সিনেমায় রয়েছে )।
তারপর ?
আসলেই কি যেটা সে ভাবছে, যেটা দর্শক স্ক্রিনে দেখছে, সেটা সঠিক ? নাকি কাউন্সেলিং এর সত্যি দরকার বিনুর ?

সুন্দর উপস্থাপনা, আর চরম লেভেল এর অভিনয়, জাস্ট কোন কথা হবে না। স্পেশাল ভাবে সাউন্ড এফেক্ট কে একটা এক্সট্রা থাঙ্কস দেব।

উহু, আর কোন কথা নয়। এবার যেটা হবে সেটা আমার পাঠক বন্ধুরা যদি মনে করে, তাহলে এই ইঙ্গিতটাই যথেষ্ট। ঠিক বুঝে যাবে, ফিস ফ্রাই এর ভেতরে ভোলা মাছ আছে নাকি আসল ভেটকি...


#BHOOTHAKALAM
#BHOOTHAKALAMREVIEW
#BHOOTHAKALAMBENGALIREVIEW