🆁🅴🆅🅸🅴🆆 - TᕼE ᗪEᐯIᒪ'ᔕ ᗪOOᖇᗯᗩY

     

                      TᕼE ᗪEᐯIᒪ'ᔕ ᗪOOᖇᗯᗩY

সাল - ২০১৮
প্লট – হরর
অডিও – ইংরেজি
দেশ – আয়ারল্যান্ড
আই এম ডি বি রেটিং – ৫.৩ / ১০
নিজস্ব রেটিং –   ৫.৫ / ১০

ওনার দুই চোখ গড়িয়ে রক্ত পড়ছে।
কার ?
ভার্জিন মেরির।
ভার্জিন মেরি ? সে তো এখন কোন মানুষ নয়, সেটা তো একটা স্ট্যাচু।
হ্যাঁ, সেই স্ট্যাচুর চোখ থেকেই তো রক্ত পড়ছে, আমাদের যেতে হবে ওখানে, ইনভেস্টিগেশন এর জন্য।
কথোপকথনটা আমার ভাবনার। খুব শর্ট এ যাতে আমার পাঠক বন্ধুদের কে নিশানাটা বুঝিয়ে দিতে পারি, সে জন্যই একদম পয়েন্ট এ আলোকপাত করলাম।

নমস্কার বন্ধুরা, কেমন আছ সব্বাই ? আজকের ফিল্মি রিভিউ শুরু আগে আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৬০ সালের ছোট্ট কাহিনীতে।
২০০ বছর ধরে ক্যাথলিক চার্চ শুধু মাত্র মেয়েদের জন্য একটি আসাইলাম চালিয়ে আসছে, আয়ারল্যান্ড এ। এটা একটি নির্জন স্থান, যেটা জন সমাজ থেকে অনেকটা দূরে, যার নাম ম্যাগডিলেন লন্দ্রিস।
কে ছিল না এখানে ? অরফানস থেকে শুরু করে আবিউসড পারসন, অথবা প্রস্তিটিউট থেকে শুরু করে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা অথবা অবিবাহিত গর্ভবতী মহিলা, সকল ধরনের মহিলা বা মেয়ে মানুষ থাকতো এখানে।
এই স্থান থেকেই ভ্যাটিকান দুটো ফটো পায়, ভার্জিন মেরির দুই চোখ দিয়ে রক্ত বইছে। দুই জন প্রিসট কে পাঠানো হয়, এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য বার করার জন্য।
যাওয়ার আগে দুজন কে একটু সতর্ক থাকতে বলা হয়, কারন ওখানে যে সকল মেয়েরা থাকে, তারা আর যাইহোক, তাদের কে সঠিক ভাবে স্বাগত হয়তো জানাতে পারবে না।

প্রথম দিন যাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করে দেয় সিনিয়র প্রিসট। মেরির মূর্তির রক্ত আসলেই শুকিয়ে গেছে , তাই স্যাম্পেল নেওয়া সম্ভব নয়। তাদের তাই অপেক্ষা করতে হবে ততদিন, যতদিন না এই ঘটনাটি আবার ঘটে আর টাটকা সাম্পেল পাওয়া যায়। তারপর ?
 
এটুকু প্লট শুধু আমি জানিয়ে চুপ করে যেতে চাই, কারন সিনেমাটি বেশ অনেকটাই ছোট। যতটাই এর পড়ে এগাব, স্পইলার হয়ে যাবে। প্রপার আনন্দ উপভোগ করতে ব্যর্থ হলে,আমারি ভালো লাগবে না।

এবারে আসি চিত্রনাট্যে। অভিনয় নিয়ে আমি কাওকেও কিছু বলতে চাই না, সেই জায়গায় হয়তো আমি যাইনি। ১৯৬০ সালের প্রেক্ষাপট বাইরে থেকে তেমন ভাবে দেখানোর দরকার পড়েনি। পুরো গল্পটাই প্রায় শুট হয়েছে ইনডোর এ। সময়কাল অনুযায়ী জিনিষপত্র দেখানো হয়েছে। বেস্ট পার্ট লেগেছে কালার গ্রেদিং সিলেকশন। এই ফিল্ম গুলো দেখতে বসলে একটা জিনিষ আমার ভালো লাগে, এতোটা ন্যাচারাল ব্যাপার কি করে পর্দায় ধরা সম্ভব। মাঝে মধ্যে মনে হয়, সিনেমাটা আসলেই সিনেমা নাকি কোন আগে ভাগে তৈরি করা সেট আপের মাধ্যমে শুট করা হয়েছে।
সঙ্গে শব্দ পরিকল্পনা নতুন বুক ছটপট করে তুললে, একটা প্রশ্ন মনে আসতে পারে, সিনিওর প্রিসট রাত ৩ তেই উঠে কিসের শব্দ শুনতেন ?

ও হ্যাঁ, পাঁচটা নমিনেশন পেয়েছে এই ফিল্ম। তার মধ্যে বেস্ট ফিল্ম, বেস্ট স্ক্রিন প্লে ক্যাটাগরি ছিল মলিন্স ফিল্ম ফেস্তিভ্যালে।
 

#review #TheDevil'sDoorway #filmexplanation #horrorfilm #bengalireview #SamiranSamanta