🆁🅴🆅🅸🅴🆆 IN THE EARTH

 

                                🆁🅴🆅🅸🅴🆆

                             IN THE EARTH
সাল - ২০২১
প্লট – হরর
অডিও – ইংরেজি
আই এম ডি বি রেটিং – ৫.২ / ১০
নিজস্ব রেটিং – ৫.০/ ১০
প্ল্যাটফর্ম – Amazon Prime

বিধিসম্মত সতর্কীকরণ – গাছকাটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এতে মানুষের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের নাম নিয়ে অন্ধকারে যায়।
সেকিরে ?
ছেলেটা ভয়ের সিনেমা লেখার আগে এমন আবোল তাবোল বকছে কেন ? বকছি কারন, শুরুতেই স্পইলার দিয়ে ফেললাম তাই। যারা এই পর্যন্ত এসেছে পড়তে পড়তে, তারা বিনা দ্বিধায় এখানেই স্টপ করে দিতে পারো, কারন লেখায় একটু আদটু গল্পের প্রসঙ্গ ব্যাখা হতে চলেছে, এক কথায় স্পয়লার।

আজ নতুন একটা শব্দের সাথে পরিচয় করাতে চলেছি। ও হ্যাঁ তার আগে আবারও একটা স্পয়লার। সিনেমাটি কিন্তু মোটেও ভূতের বই নয়। মানে আত্মা, অশরীরী, হঠাৎ মাথা ছাড়া দেহ বা প্রান ছাড়া শরীর কোনটাই নেই। যারা এগুলোর আশায় রিভিউ পড়তে বসেছ, তাদের এখান থেকেই বিদায় জানাতে হবে। আর যে সব বন্ধুরা নতুন ফ্লেভার পাওয়ার জন্য এখনও পড়তে আগ্রহী, চলো শুরু করি।


“ ফ্যানটাস্মাগরিয়া “ আক্ষরিক অর্থ না জানলেও, এর মানে এমন কোন স্বপ্ন অথবা ঘটনা অথবা মুহূর্ত যেটা খুবই পরিবর্তনশীল, যেটা সরাসরি ভাবে ইলিউসন অথবা ভ্রম অথবা আলো ও শব্দের কারসাজির সাথে যুক্ত। ক্যালাইডস্কোপ এর কথা মনে আছে আশা করি। পিওর ফিজিক্স এর সাহাজ্যে, ভেতরে যে ডিজাইন তৈরি হয়েছে, সেগুলো একবারই তৈরি হয়, ঠিক তার পরমুহূর্তে তৈরি হয় নতুন ডিজাইন। একটার পর একটা মুহূর্তের মধ্যে পালটে যায়। “ ফ্যানটাস্মাগরিয়া “ এর একটা ছোট্ট উদাহরন দিলাম মাত্র।
এই ব্যাপারটা কে যে ভয়ের সাথে যুক্ত করা যেতে পারে, করলে যে আস্ত একটা ফিল্ম তৈরি হতে পারে, এই সিনেমা তার একটা উদাহরন।

ফিল্মের প্লট আজকের পৃথিবী। যেখানে একটা ভয়ঙ্কর রোগ সারা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। “ করোনা “ এই শব্দের উল্লেখ এক বারের জন্য নেই যদিও।
বিজ্ঞানীদের একটা দল এবার লেগে পড়েছে গবেষণায়। তারা একটি জঙ্গলে সবার অলক্ষ্যে এক্সপেরিমেন্ট করে চলেছে।
এদেরই মধ্যে কোন একজন মনে করেন, পৃথিবীর আদিম শক্তির উত্থানের সাথে, মানুষের আবির্ভাবের আগেও, গাছ অর্থাৎ উদ্ভিদ রাজ্যের সূচনা হয়েছে। সারা পৃথিবীতে এরা ছড়িয়ে রয়েছে, একে ওপরের সাথে কথা বলে, একে অপরকে সিগন্যাল পাঠায়। এই প্রান্তের কোন কথা, এরা চটজলদি পৃথিবীর অনেক দূরদূরান্তে পৌঁছে দেয়। মানুষের আগেও এরা ছিল, পরেও থাকবে। এদের কমিউনিকেশন এর ব্যাপারটা কোন ভাবে যদি ধরতে পারা যায়, কোন ভাবে যদি এদের সাথে কথা বলা যায়, তাহলে অনেক কিছু পরিস্কার হবে। হয়তো এই দুর্ভোগের কারন ও প্রতিকার এর ব্যাপারেও জানা যাবে।

এই ভাবনার ওপর ভিত্তি করে দুজন বিজ্ঞানী বনে ঢুকবে। রাস্তায় সফর ২ দিনের। হেটে পাড়ি দিতে হবে তাদের কে। তাদের উদ্দেশ্য আর একজন বিজ্ঞানী কে বনের মধ্যে থেকে খুঁজে বার করা। কারন এই ব্যাপারে তার অগ্রগতি অনেকটাই বেশি, এমনটা শুনেছে।

রাস্তায় কিছু ঘটনা, ব্যাঘাত, সঙ্গে ওপর একজন অচেনা মানুষের সাথে পরিচয়, এভাবে বেশ কিছুটা সময় কাটবে। আর তারপর শুরু হবে নৃশংস ও ভয়াবহ কিছু অভিজ্ঞতা।
“ রং টার্ন “ গল্পের মত মনে হলেও, সেই মোড়ে গল্প যায়নি। তবে কোন স্থানে এক শতাংশ হলেও এর ছায়া রয়েছে।

সেই বিজ্ঞানী এর সাথে তাদের দেখা শেষমেশ হবেই, কিন্তু তারপর ? আদেও যে গুলো শুনেছে সেগুলো সত্যি ? নাকি বেশ আলাদা মাপের ভাবনা চিন্তা রয়েছে এই কথার বাইরেও।
এই হোল মুভির গল্প।


প্রথম কথা, সিনেমাটি নতুন কনসেপ্ট এ তৈরি হলেও বেশ বোর হয়েছি মাঝে মধ্যে। প্রকৃতির সুন্দর কিছু ভিসুয়াল, মানানসই অডিও, একত্রে সেই জায়গাটা কিছুটা হলেও লাঘব করেছে। সত্যি বলতে পিন দ্রপ সাইলেন্স এ এই সিনেমাতির বেশ কিছু জায়গা দারুন উপভোগ্য। মনে হতেই পারে যে জঙ্গলে চলে এসেছ।

কিন্তু,
একদিকে সবুজ, এক দিকে রক্ত, কম্বিনেশনটা ঠিক নেওয়ার মত নয়। কোথাও জিনিসটা অন্যভাবে ভাবে দেখালে ভালো হত। নেচার এর যে ফ্রেস হাওয়া,যে সতেজতা, সেটা দেখলে এমনই মন মেজাজ ফুরফুরে হয়ে যায়। সেটা দেখতে দেখতে কখন যে রক্তের ছিটে পড়ে যাবে, ভাবলেও শরীরের ভেতরটা কম্প দেয়।

মাদার নেচার।
তাকে আঘাত দিয়ে, শেষ করে, ধংস করে আমরা এগিয়ে চলেছি। আর তাদের সময় এসেছে, বদলা নেওয়ার।
সিনেমার মূলতত্ত্ব এটাই। এটাই আরও ভালো করে দেখাতে পারতো। সেটা না করে তারই মধ্যে এমন একটা অদ্ভুত ইমপ্লেমেন্তেসন, আমার ভালো লাগেনি। আইডিয়াটা দারুন, কিন্তু সিনেমার প্রতি, দর্শকের প্রতি কোথাও একটা অবিচার করা হয়েছে। সিনেমার মেসেজ খুব একটা স্পষ্ট নয়, আমার অন্তত লাগেনি। শেষে ঘটে যাওয়া কানেকশন যথার্থ ভাবে মোটেও কাম্য ? আমার তো মনে হয় না।

রিভিউ যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে সত্যি বলছি, সিনেমাটি না দেখলেও চলে। তবে হ্যাঁ, “ফ্যানটাস্মাগরিয়া” শব্দের এক্সপোজার দেখার জন্য, নেচার এর একটা অন্য রকম অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য একবার দেখতে পারো। কারন এখানে ভয় আছে, নিশ্বাস বন্ধ করা কিছু মুহূর্ত আছে যেটা উপভোগ করার মতই, তবে সীমিত সময়ের জন্য। ঠিক নিকোপার্কের রাইড, শুরু হতে না হতেই শেষ।