Death of Me - মুভি রিভিউ


#SamiranSamanta
#review
#DeathOfMe
#filmReview
#BengaliReview

সাল – ২০২০
ভাষা – ইংরেজি / হিন্দি
প্লট  হরর, থ্রিলার

সাব – ইংরেজি
আই এম ডি বি  রেটিং – ৪.৪ / ১০
পার্সোনাল রেটিং –   ৫ / ১০



থাইল্যান্ড এর বিশেষ জায়গায় ঘুরতে গেছেন। ধরুন আপনি গেছেন, আমি শুধু ধরতেই বলেছি। সঙ্গে আপনার স্বামী অবশ্যই। যেদিন সকালে আসবেন, তার আগের শেষ রাত, ফুল মস্তি করার মুডে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই দুজনে নিজেদের বিছানায় আবিস্কার করলেন। কিন্তু সমস্যা একটা রয়েই গেল।
কাল রাতে কি হয়েছে, কি করে আপনারা বাড়ি ফিরলেন, কি ভাবে রাতটা শেষ হয়ে গেল, সমস্তটাই একদম ফিনিশ। সোজা কথায়, গত রাতের ঘণ্টা খানেকের স্মৃতি একদম মুছে গেছে।
অতো ভেবে লাভ কি, আপনাদের তো বাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু পাসপোর্টটা আর খুঁজে পেলেন না, এই যাহ। কি হবে ?
রুমের মধ্যে টি ভি তে দেখতে পেলেন অদ্ভুত ভিডিও। গত রাতের ফুটেজ, যেখানে আপনি রয়েছেন। আর আপনার স্বামী আপনাকে গলা টিপে মেরে ফেলল। ভিডিও শেষ।

তাহলে আপনি কি এখন... বেচে আছেন তো ?

থাক থাক, আপনাকে আর ভাবতে হবে না। বাস্তবে ফিরে আসুন।

গল্পের শুরুর দিকটা আমি জাস্ট ধরিয়ে রিভিউ করতে শুরু করছি। ভূতের বা ভয়ের গল্প হিসেবে ধরা হলেও, আদতে তেমন ভাবে ভয় এর দৃশ্য নেই। তার পরিবর্তে বেশ কিছু নৃশংস দৃশ্য, বেশ সাঙ্ঘাতিক। আমি ভাবছি, সেই দৃশ্য গুলো আর একটু কেন ধরে রাখল না, অথবা ব্যাপার গুলো নিয়ে আর একটু ভাবল না কেন ?

থাইল্যান্ডের বিশেষ বিশেষ কিছু স্থান, খাবার, পরিবেশ বেশ দারুন ভাবেই ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ওখানের বিশেষ ফেস্টিভ্যাল দেখালেও, তেমন ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেননি।
কন্টেন্ট বেশ ভালই ছিল, মশলা আরই ভালো করে অ্যাড করা যেতে পারত, কিন্তু তেমন হোল কই।
তবে প্রেক্ষাপটের প্রতি টানটান উত্তেজনায় ভাটা সেই অর্থে পড়েনি, এটাই রক্ষ্যে। ক্যারেক্টার এর ভীর বেশি হউয়ায়, সব্বার দিকে সমান মনোযোগ পড়েনি।

ট্রেলার দেখে বেশ উত্তেজিত হয়েই এই ফাদে পা দিয়েছিলাম। সেই অর্থে কিন্তু এখানে কিছুই পেলাম না বলাই যায়।
কিন্তু, লোকেশন নির্বাচন অসম্ভব সুন্দর। ক্যামেরা কথা না বললেও, সব্বার অভিনয়ে আমি বেশ বেশ খুশি।
দুধের স্বাদ নুন দেওয়া ঘোলে মিটিয়েছি, আর কি কমু।

আর একটা কথা, সিনেমায় বর এর ভুমিকায় আভেঞ্জার এর থর, ক্রিস এর দাদা কে দেখা যায়। রিসেন্টলি ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড এর টিভি সিরিজেও উনি আছেন।




ভাল থাকবে সব্বাই।

   



 

Comments