░A░r░a░n░y░a░k░ 🆁🅴🆅🅸🅴🆆

 

                      

                                 ░A░r░a░n░y░a░k░

#aranyak

#netflix

#AranyakWebSeries

#reviewByBatasbabu

#SamiranSamanta

সাল - ২০২১
প্লট – রহস্য, ক্রাইম, থ্রিলার
অডিও – হিন্দি
আই এম ডি বি রেটিং –  ৮.২ / ১০
নিজস্ব রেটিং –   ৯ / ১০


কাল হাত ফাকাই ছিল, তাই “আরন্যক” সিরিজটা দেখতে বসলাম। রাত্রি ১২-২০ বেজে গেছে কখন, বুঝতে পারিনি। দেখার পর থেকে হাতটা নিশপিশ করছে। না লিখে আর পারলাম না, মিস করছিলাম তোমাদের আসলেই।


শিরোনা, একটি ছোট্ট গ্রাম, হিমাচলপ্রদেশ এ অবস্থিত। যুগের তুলনায় গ্রাম ও সেখানের মানুষ একটু হলেও পিছিয়ে, তার কারন যোগাযোগের বিছিন্নতা। মানুষজন খুব ভাল থাকলেও, ভেতরে একপ্রকার ভয়ে দিন কাটায়।
একটি মিথ অর্থাৎ কল্পিত ঘটনা লোকমুখে ছড়িয়ে আছে, বেশ কিছু বছর ধরে।
একটি বাঘ রয়েছে সেখানে, যে আধা মানুষ আধা বাঘ ( নরতেন্দুয়া )। প্রতি পূর্ণিমার রাতে সে বেরোয়, নিজের শিকার খোঁজে। শিকার হিসেবে থাকে, কোন এক মেয়ে। সেই রাতের শেষে সেই মেয়েকে পাওয়া যায় জঙ্গলের কোন এক স্থানে, গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়, বাম গলায় তিন নখের দাগ।
উনিশ বছর আগে এমনটা ঘটেছে, এটা সব্বার জানা। কিন্তু এখন, আজই কেন আবার ?

মেইন প্লট কে কেন্দ্র করেই গল্পের বট গাছ বিস্তার নিজের ঝুড়ি, টানটান আট খানা এপিসোডের মাধ্যমে, প্রতিটা গড়ে ৪২ মিনিট।
প্রথম এপিসোডের শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই অনেক গুলো ক্যারেক্টার ঢুকে পড়ে, একে অপরকে ছাপিয়ে, কাওকে দম ফেলার সময় দেয়নি পর্যন্ত। অতি নিপুনতার সাথেই সেটা সামলেছেন পরিচালক। ক্রাইম, রাজনীতি, প্রেম মূলক ভালবাসা, এই তিনটি সত্ত্বা রয়েছে, যে যার নিজেদের ব্যালান্স বজায় রেখে।

প্রথমেই যার নাম না নিলেই নয়, রবিনা ট্যান্দন। যে মুহূর্তে সব্বাই টিপ টিপ বর্ষায় নতুন ভাবে ভিজতে ব্যাস্ত, সেখানে জাতশিল্পী হিসেবে আবারও একবার মাঠে নামতে দেখা যায় এনাকে। ওয়েব সিরিজে নিজের ডেবিউ , অনেকটা বিরতির পর ওনার স্ক্রিন আপিয়ারেন্স, কি বলবো আমি, শুধু মুগ্ধ বলেই ক্লান্ত আমি হতে চাই না। রক্ষক সিনেমার শহর কি লেড়কি, আজও ভোলেননি নিজের ফ্যানবেস এর মন জয় করার কৌশল। নিজের অস্তিত্ব প্রমান করতে ঠিক কি করতে হয়, উনি সেটা জানেন। জাস্ট, কোন কথা হবে না।
ওদিকে আমাদের পরমব্রত। কি ? কিছু বলবো ? অভিনয় স্কিল তো এনারও চরম। বাইশে শ্রাবণের কাঠিন্য ভাব এখানে অন্য ভাবে দেখা গেলেও, মাঝে মধ্যে সেটা বেশ এঞ্জয় করার মতই সাবলীল লেগেছে। পুলিশ অথবা ডিটেকটিভ, যে কোন জায়গায় এই মানুষটাকে ফেলে দিলে, ঠিক ঠিক ভাবে কাজটা বার করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন আমাদের ছোট তোপসে।

আর একজন, আশুতোষ রানা।
উনি খানিকটা ধানি লঙ্কার মত। দেখতে কিছুই মনে হয় না, তবে একবার ফাটলে যে পরিমান ঝাল বার করে দেবে, দর্শক দম ফেলবে কম, চমকাবে বেশি। সিরিজে ওনার আপিয়ারেন্স আমার বেশ দারুন লেগেছে। একটা, লেভেল জাস্ট।

সঙ্গে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, জাকির হুসেন ভালই, গল্প অনুযায়ী বেশ মানাসই। নতুন কিছু ইয়ং জেনারেশন এর মুখ রয়েছে, ভালো সিলেকশন।

প্লটের খাতিরে বেশ কিছু দৃশ্য বেশ উপভোগ্য। তবে আরও একটু সিনেম্যাটিক হতে পারত। সেদিক দিয়ে “ দা লাস্ট আওয়ার “ সিরিজ কে কিন্তু আমি এগিয়ে রাখব।
কালার গ্রেডিঙ এ ভালো মতই নজর পড়বে।
 

নাহ, সত্যি কথা কাহিনির মধ্যে তেমন কিছু অসামঞ্জস্য চোখে পড়েনি। মোটামুটি সবই ঠিক আছে। তবে শেষে পরম যেখানে লড়াই করছিল, রবিনা ছিলেন অনেক দূরে। সেখান থেকে কি করে এখানে মুহূর্তের মধ্যে এসেই লড়াইতে যোগ দিলেন, এটা কেমন কেমন লাগল যেন।
সিরিজের মধ্যে একটি খুনের ওপেন দৃশ্য রয়েছে। দোষী মানুষ বাঘের, সেটা সঠিক। কিন্তু শেষে এসে যখন আসল রহস্য সামনে এলো, ব্যাপারটা ঠিক ঠিক মেলাতে ( অন্তত ঐ টুকু মুহূর্ত ) কিন্তু অসুবিধে হয়েছে।
ছোট খাটো কিছু ফোন করার সিকয়েন্স এখনও পর্যন্ত আমার কাছে স্পষ্ট নয়।
শেষ পর্যন্ত সবই ঠিক, তবে পরিণতিটা জোর করেই যেন করে ফেলল। না না, কোন কিছু এর জন্য হ্যাম্পার হয়নি। তবে হয়তো নতুন কিছু সূচনার গোড়াপত্তন।
কিন্তু কিন্তু কিন্তু, শেষ ১৫ সেকনড... উহু বলবো না। এটুকু বলবো, পিকচার আভি... J

মোটের ওপর, শীতের ছুটি যদি পড়ে গিয়ে থাকে, অথবা হাতে পাও ফাঁকা টাইম, মাস্ট ওয়াচ সিরিজ। নেটফ্লিক্স এ রয়েছে।