The Unseeable - মুভি রিভিউ

#Unseeable
#MovieReview

 সাল – ২০০৬

ভাষা -  থাই
প্লট – হরর, ভয়
সাব – ইংরেজি
আই এম ডি বি  রেটিং –  ৬.৮ / ১০
পার্সোনাল রেটিং –   ৭.৩ / ১০






একটা ভালো ভূতের সিনেমা বলতে যেমন দরকার ভয়ের এলিমেনট, তেমনই দরকার ভয়াবহ চূড়ান্ত কোন দৃশ্য, সঙ্গে সুন্দর গল্পের প্লট, আর সর্বশেষে গল্পের সহজ বিবরনের মাধ্যমে দর্শক কে ক্ষান্ত করা। আজকাল আবার টুইস্ট কথাটা খুব চলছে মার্কেটে, সব্বাই ওটার পেছনেও ছুটছে।

থাইল্যান্ডের এই সিনেমার মধ্যে প্রায় সকল ভালোগুনই বর্তমান রয়েছে। চারটি পুরস্কার তাই ঢুকে গেছে সসম্মানে। যেহেতু এটা তৈরি হয়েছিল আজ থেকে বছর পনেরো আগে, তাই গ্রাফিক্স এর কাজ তেমন ভাবে নেই, সমস্তটাই নিখুঁত, সেটাও ম্যানুয়ালি করা হয়েছে। প্লটের খাতিরে কিছু স্থানে কোথাও অতিরিক্ত কিছু চোখে পড়ল না, তবে মনে হয়েছিল আলো পরিকল্পনা সারা ফিল্মে একটু কম। শব্দ পরিকল্পনা নিয়ে তো কোন কথাই নেই। ব্যাকগ্রাউন্দ স্কোর বেশ বেশ বেশ।

এবার আসি গপ্পো কথায়, ছোট্ট করে।
একটি মেয়ে, সারা রাস্তা একা ঘুরে বেড়ায়, একটা আস্তানার জন্য। শহর থেকে আশা এই মেয়ে আসলে তার নিজের স্বামীকে খুজতে এসেছে, যে কিনা ব্যাবসার কাজে বেড়িয়ে এসেছিল, কিন্তু আর ফেরেনি আজও।
এদিকে মেয়েটি গর্ভবতী।

একটা আস্তানা পায়, যেখানে থাকার সুযোগ হয়ে যায় আর কি। সঙ্গে ছিল আর একটি মেয়ে, অনেক আগে থেকেই রয়েছে ঐ ঘরে।
থাকতে দেওয়ার জন্য শর্ত একটাই দেওয়া ছিল, “ মূল ফটকের ওদিকের ঘরের দিকে যেন ভুল করেও না যাওয়া হয়, ম্যাডাম খুব বিরক্ত হন “।
কে এই ম্যাডাম ?

যে মেয়েটি আগে থেকে থাকে, সে রাতের বেলা শোয়ার আগে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যাওয়া কথা শোনাল।
এখানে নাকি অশরীরীর বাস রয়েছে।
একটি মেয়ে গাছ থেকে নিজেকে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
একজন বয়স্ক মহিলা থাকে, সে নাকি মানুষের রক্ত খায়, এক কথায় লেডি ভাম্পায়ার।
আর যাকে ম্যাডাম বলে ডাকে, নিজের স্বামী চলে যাওয়ার পর নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছে, এই আশায় যে একদিন সে ফিরে আসবে।
তাই যদি হয়, তাহলে মাঝে মধ্যে ওনার ঘরে তৃতীয় কোন ব্যাক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তার মানে কি...
এদিকে ঘরের কেয়ারটেকার মহিলাটি এমন অদ্ভুত আচরণ করে।
রাত্রি বেলায় কে মাটি কুপায়,শব্দ করে।


সব মিলিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বেশ ভজঘট ব্যাপার।
সিনেমা শুরু থেকে খুব সুন্দর ভাবে এগিয়েছে। যত গভীরে যাবে, একটি মায়াময় ভয়ানক মাদকতায় ডুবে যাবে দর্শক।
মোট চারটি গপ্পো রয়েছে খুব ছোট্ট ছোট্ট, যেটা এক অপরের সাথে বেশ কানেক্ট করে, অথচ কোন রকম বোঝার অসুবিধে হবে না, এতোটা সাবলীল ভাবে বানানো।

একজন স্ত্রীলোক কতটা কষ্টে থাকেন যখন তার প্রানের চেয়ে প্রিয় স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়, সেটা যে কারনেই হোক। সিনেমায় দুইজন স্ত্রীলোক এর ক্ষেত্রে এই ভাবনা দেখানো হয়েছে, তবে প্রেক্ষাপট আলাদা করে। কষ্টের সহ্যশক্তি, না মেনে নেওয়ার জেদ, মিথ্যে কে সত্যের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করা, সঙ্গে অশরীরী – সমস্তটাই মিলিয়ে মিশিয়ে অনবদ্য সৃষ্টি।
১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পর যখন সকল রহস্য চ্যাপ্টারের মত একটার পর একটা খুলতে শুরু করবে, দর্শক যেই হোক হাফিয়ে উঠবে। দম ফেলার সময় পাবে না।
একটা স্পইলার দেবো ? সিনেমা শেষ হয়েও আবার শুরু হয়ে যাবে।

মাস্ট ওয়াচ মুভি, দরকারে একবারের বেশি দেখার ইছে হতেও পারে। যদি হয়, তাহলে তুমি আমার দলে।

ভাল থাকবে সব্বাই।

   



 

Comments