সাল – ২০০৬
ভাষা - থাই
প্লট – হরর
সাব – ইংরেজি
আই এম ডি বি রেটিং – ৬.৯ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৭.৫ / ১০
অনেক দিন ধরে আমার অনেক পাঠক বন্ধুদের আবদার ছিল, এমন একটা ভূতের বই এর খোঁজ দাও, যেখানে না আছে নৃশংসতা না আছে খুব ভয়, না আছে রক্তাক্ত দৃশ্য।
আজকের ফিল্মটা একেবারে তাদের জন্যই নিয়ে এসেছি, একদম থাইল্যান্ড থেকে।
বছর পনেরো আগে তৈরি করা ফিল্ম সবে সবে গ্রাফিক্স এর কাজ এর এক্সপেরিমেনট করা শুরু করেছে,যেটা অনেকাংশে সিনেমায় সফল। কি এমন আছে এই সিনেমায় যে আজ সবার গোচরে আনছি ?
এই সিনেমা দেখতে বসলে এক প্রকার স্বর্গের স্বাদ পাওয়া যায়। আর আমার কাছে স্বর্গ মানে, স্কুল জীবন। এই মুহূর্তে যারা লেখাটি পড়ছে, তাদের অনেকেরই স্কুল অধ্যায় বেশ অনেক আগেই গুটিয়ে ফেলেছে। তবে মস্তিস্কে স্মৃতি আজও তাজা। তাই না ?
টিফিন বক্স খুললেই আলোর গতিবেগের থেকেও বেশি বেগে সেটা ফাঁকা হয়ে যেত। টিচার আসার আগে পর্যন্ত হলে চলতো মাছের বাজার। আর টিফিন টাইমে চলতো ভূতের গল্প, তাও নিজের স্কুলের ছাদে যাওয়ার আগের ঘরটা নিয়ে, যেটা বন্ধ থাকে বরাবর।
এমনই অভিজ্ঞতা কম বেশি আকারে রয়েছে এখানে। ছোট পর্দায় সোনালি দিনের কথা কে না মনে করতে চায়। তবে এক্ষেত্রে এটা এক প্রকার বোর্ডিং।
একটি ছেলেকে বাড়ি থেকে কিছুটা জোর করেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় এখানে, বাড়িতে শুধু টিভি দেখত বলে। মন মেজাজ খারাপ করে চোখে জল নিয়ে দিন কাটত ছেলেটির।
খুব তাড়াতাড়ি একটি ছেলের দলের সাথে পরিচয় ঘটে, তবে তাদের সাথেও ওর ঠিক ঠাক বনিবনা হয়নি। ওরা ভূতের গল্প শুনিয়ে এতোটা ভয় দেখাত, এই ছেলেটি রাতে বাথ্রুম পর্যন্ত করতে যেতে পারত না। অগত্যা, বিছানা শুকনো থাকতো না।
এমন ভাবেই চলতে চলতে ছেলের দলও একটা সময় বন্ধু হয়ে গেল। মাঝে যে সকল ঘটনা ঘটে গেল, সেটা নিয়েই পুরো সিনেমা।
সিনেমার একটা সময় পর থেকে আন্দাজ করা যায়, যে ব্যাপারটা কি হবে। কিন্তু তার পরেই সেটা ফাস যেই হোল, চিন্তা করলাম, যাহ এবার।
বেশি প্যাঁচগোছের বই এটা নয়। একদম পিওর ইনোসেন্স, ভয়, বন্ধুত্ত মিলেমিশে সেই সময়ের দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিল।
মোটের মধ্যে এটা এক প্রকার অভিজ্ঞতার স্বাদ দিয়েছে, ভয়টা নামমাত্র।
বলছি যে, বেস্ট অভিনেতা, অভিনেত্রী, বেস্ট পিকচার, ডিরেক্টর, স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি করে করে ৭ খানা অ্যাওয়ার্ড এই ফিল্মের ঝুলিতে।
Comments
Post a Comment