The Devil’s Advocate (+১৮) - মুভি রিভিউ

#filmreview
#review
#Devil'sAdvocate 
#SamiranSamanta

সাল – 1997

ভাষা -  ইংরেজি
প্লট  রহস্য, থ্রিলার
সাব – ইংরেজি
আই এম ডি বি  রেটিং –  
.৫ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – 
. / ১০



“ জন উইক “ এই সিনেমার নাম শুনলে একজনেরই মুখ মনে পড়ে, তাই না ? কিয়েনু রিভস।
কিন্তু এই মানুষটাকে আমি চিনতাম, সেই যুগ থেকে যখন “ম্যাট্রিক্স” একপ্রকার যুগান্তকারী আলোড়ন ঘটিয়ে ফেলেছে সারা জগতে। তবে ২০০৩ এর পরে ২০০৭ এ যে এমন একটা ফিল্ম রয়েছে, যেখানে ম্যাট্রিক্স এর “ নিও “ তুরুপের তাস, আজ নতুন ভাবে পরিচয় পেয়ে জাস্ট অসাধারণ লাগছে।

একদিকে একটা কথা সত্য,যেটা হয় ভালোর জন্যই হয়। সেই সময়ে এই ফিল্মটা দেখিনি ভালই হয়েছে, কারন অনেক এমন তথ্য রয়েছে, যেটা আজকের দিনেও আমার কাছে বেশ ঘোটেলা লেগেছে, মুহূর্তের মধ্যে বলে ফেলা শব্দের গভীরতা আসলেই অনেক বেশি, সেটা আজ পারছি বুঝতে।

সিনেমাটি দেখে আসলেই বেশ কিছুক্ষণ এক প্রকার ঘোরেই ছিলাম। আসলেই এমন লেভেল এর ফিল্ম নিয়ে সমালোচনা করতেও বেগ পেতে হয়, নিজের জ্ঞান তো সীমার মধ্যেই।


কাহিনি একটি উকিল কে নিয়ে, যে জীবনের কোন কেসেই হারেনি। শুধু হারেনি বলা ভুল, উনি হারতে শেখেননি, যে কোন ভাবেই হোক না কেন। কিন্তু এমনটা করতে করতে কখন যে নিজের পাপের বোঝা বাড়িয়ে চলেছে, নিজেও বুঝতে পারেনি।
একটাও কেস এ না হারতে থাকার ফলে নামডাক যশ এমনিতেই বেশি। ইতিমধ্যে, নিউইয়র্ক এর একটি নামি ফার্ম তার সাথে কন্টাক্ট করে। তাদের হাতে থাকা কেস গুলো লড়তে বলে, বদলে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক, সঙ্গে থাকা খাওয়ার জায়গা। নেহাত মন্দ প্রস্তাব নয়।

কিন্তু কি ছিল সেই সকল কেস ? খুব সাধারন নাকি তার থেকেও ওপরে ?
এই ফার্মের যিনি কর্ণধার, উনি বেশ মিশুকে মানুষ, তবে নিজের কাজের ব্যাপারে দারুন বুঝদারি বহন করেন।
ওনার মধ্যে এমন কিছু একটা ব্যাপার আছে, যেটা আর পাঁচটা মানুষের মধ্যে নেই। ক্যরেক্তার এর নাম জন মিলটন।
পারাডাইস লস্ট এর লেখকের নামও কিন্তু জন মিলটন, তারমানে এখানে কোন ভাবে কি কানেকশন আছে ?

এদিকে উকিল নিজের কাজে ডুবে যাওয়ার ফলে, নিজের স্ত্রীর প্রতি চিন্তার লেয়ার কমতে থাকে। নিজের আকাঙ্খা, উঁচুতে ওঠার স্বপ্ন তার হ্যাপি লাইফ টাই কেরে নেয়।
উকিলের মা সমস্যা বুঝে আসেন একদিন, কিন্তু তারপরদিনই চলে যান, একটা রাত কাটতে না কাটতেই। বলে যান, “ এই ঘর ছেড়ে দাও, আমার সাথে আমাদের পুরানো ঘরে চলো। “

কি আছে ঐ ঘরে ?
আমি বলি ?
শুধু ঐ ঘরে নয়, সারা সিনেমা জুড়ে এত সূক্ষ্ম ব্যাপার রয়েছে, পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আমি যদি বলতে শুরু করি, তাহলে ১০ পাতাতেও শেষ হবে না লেখা, উপরন্তু স্পয়লার।

কি অভিনয়, কি ডায়লগ, স্ক্রিন আপিয়ারেন্স। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবো, সব কিছু অত্যন্ত পারফেক্ট, এটা বলা ছাড়া আমার উপায় নেই।

গ্রাফিক্স , অডিও, সিনেমাটোগ্রাফি সব বিষয়ে ব্যাপক আউটপুট এই ফিল্মের। আমার দেখা বেস্ট লিস্টের কাঠগড়ায় এই ফিল্ম দাড়িয়ে গেল।

সিনেমাটি কিন্তু ভেবে দেখলে আমাদের আজকের জীবনটাকেও দর্শায়। মানুষ উছাকাঙ্খিত হয়ে পড়ে, ইনকামের রাস্তায় হাটতে হাটতে ভুলে যায় ফ্যামিলিকে টাইম দেওয়ার কথা, নিজের ভুলেই ভুল রাস্তায় পা বাড়িয়ে ফেলে। ফলেই পরিনতি আর যাইহোক, টাকা পয়সা নিয়ে জীবন কাটে, সুখ বস্তুতা অলীক মাত্র।

উকিলের চরিত্রে অবশ্যই,
কিয়েনু রিভস।
তবে আমার বেস্ট অভিনয় লেগেছে, ফার্মের কর্ণধার হিসেবে, আল পাসিনো। বেশ অ্যাক্টর এর অ্যাওয়ার্ড পেয়ে গেছেন দেখলুম। বেস্ট হরর সিনেমার অ্যাওয়ার্ডটাও এনাদের ঝুলিতে, যেখানে ৭ খানা নমিনেশন এসেছে।







 

Comments