[ Spanish : VOCES ]
সাল - ২০২০
প্লট – হরর,
রহস্য, অশরীরী
ভাষা – স্প্যানিশ
সাবটাইটেল - ইংরেজি
আই এম ডি বি রেটিং – ৬.১ /
১০
পার্সোনাল রেটিং – ৭ / ১০
পুরানো বাড়ি, ক্রয় করে রিইনোভেট, তারপর নতুনের মত সাজিয়ে বিক্রি করলে অনেক দাম
পাওয়া যায়। সময় সাপেক্ষ হলেও এই কাজে এক প্রকার আত্মতুষ্টি মেলে। কিন্তু পুরানো
বাড়ি কেনার সময় তার ইতিহাসটা না জেনে পা বাড়ানোটা কি ঠিক ?
গল্পের মূল ক্যারেক্টার এরিক, একটি ছোট্ট, যার বাবা মা এই কর্মের সাথে যুক্ত।
পুরনো একটি ঘরে তারা চলে তো আসে।
আসা থেকে ছোট্ট ছেলের ঠিক লাগছিল না। তার মনে হয় এক ধরনের শব্দ শুনতে পায় সবসময়। শব্দটা কখনও নির্দেশ দেয়, অথবা কখনও ভয় দেখায়। এরিকের মতে, মাঝে মধ্যে তার বাবার গলার স্বরও শুনতে পায়, যে মুহূর্তে তার বাবা হয়তো নেই।
নতুন ঘরটা ভালো না, অভিযোগ করে সে তার বাবা মা কে।
তারা এই কথায় কর্ণপাত করেনি। যদি করত তাহলে হয়তো এই ফিল্মটা দাড় করানই যেত না। যাইহোক, একজন সাইকোলজিস্ত আসেন সেই ছেলেটিকে দেখতে। ঘর পরিবর্তন হলে মানসিক যে সমস্যা হয়, সেগুলো থেকে দূর করার জন্য।সব কিছু জেনে সাইকোলজিস্ত এরিকের সম্পর্কে আশ্বস্ত করেন বাড়ির লোককে, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু বাড়ি ফিরে আসার পথে ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রান হারান উনি।
এর পরেও মনে হয়, সব ঠিক হয়ে যাবে এরিকে সাথে ?
ভয়ের সিনেমা মুলত তিনটি ফ্যাক্ট দিয়ে
তৈরি।
স্ক্রিন অ্যাপিয়ারেন্স, শব্দ পরিচালনা, আনুসঙ্গিক ভিত্তিমুলক গল্প। ভয় পাওয়ানোর
জন্য এই তিনটি ব্যাপার যথাযথ ভাবে কাজে না লাগালে বৃথা। এই সিনেমার ক্ষেত্রে
কিন্তু এই তিনটি ফ্যাক্ট সমানুপাতে রয়েছে, আমার মতে। মুলত শব্দের ওপর জোর দিয়েই এই
গল্প তৈরি, কিন্তু বাকিগুলাতেও কার্পণ্য হয়নি একবারও।
সিনেমা দেখতে গিয়ে আমরা অনেক সময় আগে থেকেই ভেবে ফেলি কি ঘটতে চলেছে। কিন্তু
এক্ষেত্রে মাঝে মধ্যেই ঘটনা ঘটে যাবে, আর তুমি বসে থাকবে এক মুঠো দীর্ঘশ্বাস নিয়ে।
অসহ্য করা কিছু স্ক্রিন প্লে, দমবন্ধ পরিস্থিতি বেশ সম্পূর্ণ ভাবেই কভার করেছে
একটা সিনেমায়। ইনিয়ে বিনিয়ে জটিল কোন ব্যাপার নয়, একটা সিম্পল ভয়াবহ ঘটনা কে ভয়ানক
ভাবেই দেখানোও পরিকল্পনা, যেটা আমার দারুন লেগেছে। কাহিনির মধ্যে অবশ্যই নতুনত্ত
রয়েছে।
ছোট্ট কিছু তত্তকথা নিয়ে আলোচনা করবো।
গল্পে একটি শয়তানের আভাষ রয়েছে। খ্রিষ্টান মতে নরকের দরজায় রয়েছে সাত জন রাজা ( শয়তানের
রাজা )। তাদের মধ্যে যেমন রয়েছে লুসিফার, তেমনই রয়েছে “ বিলজিবাব “।
বিলজিবাব যেহেতু উড়তে পারে, তাই “ লর্ড অফ ফ্লাইস “ অথবা “ অর্ডার অফ দা ফ্লাই “
বলা হয়ে থাকে। ক্রমানুসারে সাজালে, বিলজিবাব এর নামটা সারিতে প্রথমে নেওয়া যায়,
কারন তার প্রচণ্ড শক্তি। সিনেমায় একটি মাছি কে বারবার দেখতে পাওয়া যায়। ভয়ানক কোন
ঘটনা ঘটার শুরুতে আর শেষে সেই মাছি বারবার দেখা দেয়। এটুকু স্পষ্ট, সমস্ত
ঘটনার পেছনে কোন ভাবে এটা সম্পর্কিত। ডেমনিক অনেক কিছুর ব্যাখা এখানে তেমন ভাবেই
নেই, কিন্তু আমার মতে “ বিলজিবাব “ সাথে কোথাও না কোথাও কানেকশন আছেই।
গল্পের শেষে উপসংহার কিন্তু অতি অতি অতি মাত্রায় ভয়ের থেকে বেশি কষ্টকর। আনুসঙ্গিক শব্দ পরিকল্পনা মন খারাপ করে দিতে পারে। এক কথায়, মাস্ট ওয়াচ মুভি।
আর হ্যাঁ, পোস্ট ক্রেডিট সিন ইঙ্গিত দিল, সে আবার আসবে... কিন্তু কে ?
Comments
Post a Comment