“ গোলন্দাজ “ - ফিল্মি রিভিউ

পার্সোনাল রেটিং – ৮.৫ / ১০


খেলা মানে শুধু খেলা নয়, এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে এক প্রকার ইমোশন অর্থাৎ অনুভুতি। সেটা যেকোনো খেলাই হতে পারে। হা ডু ডু অথবা কুস্তি, ক্রিকেট হোক অথবা ফুটবল। প্রতিটা ফিল্ডে রয়েছে রক্ত জল করা পরিশ্রম, রয়েছে অনেকটা ত্যাগ। সেই রকমই একটি ফিল্মের নাম আজ নেব, গোলন্দাজ।
না আমি দেব ভক্ত নই, না কোন ভাবে ওনাকে অসম্মান করি। “ চাঁদের পাহাড় “ সিনেমার পর এটাই আমার দ্বিতীয় সিনেমা, যারজন্য সিনেমা হল আমাকে টানতে বাধ্য করেছিল। ফিল্ম শেষে বেড়িয়ে পোস্টারের দিকে তাকিয়ে একটাই কথা মনে মনে বলেছি, নাহ, হলে এসে আমি কোন ভুল করিনি। এই দেব আর সেই “আই লাভ ইউ” এর দেব এর মধ্যে অনেকটা পার্থক্য। যততা সিরিয়াস, তততাই ম্যাচুওরিটি প্রকাশ্য।



কি নিয়ে এই ফিল্মটা ? ফুটবল খেলা ? সে তো আগেও দেখেছি, তাহলে এর মধ্যে কি বিশেষত্ব ?
একটা কথা জিজ্ঞেস করি এই সুত্রে, পায়ে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে গোল করার ব্যাপারটা তো ইংরেজ বাবুদের খেলা ছিল, তাহলে ভারতে এই খেলা নিয়ে এলো কে ?



নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারী।
ইনি সেই ব্যাক্তি যিনি একটি ক্লাব গঠন করেন, শুধুমাত্র খেলার জন্য। এই সিনেমাটি ওনাকে সম্মান জানিয়ে ওনার বাওপিক না হলেও ওনার সংগ্রাম দেখানর চেষ্টা করা হয়েছে, যেটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম। এমন ঘরানার ফিল্ম হিন্দি, ইংরেজিতে আমরা দেখতে অভস্থ হয়তো, এবং সেগুলো কম বেশি সফল। বাংলাতে এমন এক্সপেরিমেন্ট যথেষ্টই রিস্কি। তবে আমার মতে, পরীক্ষায় পাশ করে গেছেন পুরো গোলন্দাজ এর টীম।



প্রসঙ্গত বলে রাখি, অনির্বাণ বাবু এখানে কিছু স্থানে অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় আছেন। ওনার এন্ট্রি সিন যতটা সুন্দর, ততটাই গায়ে কাঁটা দেওয়া, সঙ্গে অসাধারন ব্যাকগ্রাউন্দ মিউজিক। ছোট্ট ভূমিকায় ইশা সাহা বেশ।  




ওপেনলি একটা কথা বলি, টলিউদের উদ্দেশ্য।
প্যানপ্যানানি গান, হিন্দি ইংরেজি মেশানো বাংলা গান ( বাবাহ, এটাও ট্যালেন্ট, একেও গান বলে গণ্য করে ) রঙ মাখানো ডুয়েল মিনিং এর রসাল বার্তালাপ অথবা অভিনয় করতে না পাড়া সুন্দরী সুন্দরা গুলোকে নিয়ে তৈরি হউয়া কমার্শিয়াল বাংলা মুভিগুলো একটু বন্ধ করে, এই ধরনের ফিল্ম তৈরি করুন। হ্যা, আমি একজন সখের লেখক হয়েই বলছি, মাথায় যদি গপ্প না আসে, কপি করা বন্ধ করুন অন্য রাজ্যের। আমাদের রাজ্যেই অনেক ইতিহাস রয়েছে, যার গল্প এখন আমারা জানিনা সম্পূর্ণ। ফেলুদা, ব্যোমকেশ কে নিয়ে অনেকটা এক্সপেরিমেন্ট হল, এবার বেশি টিপলেই লেবু তেতো হতে চলেছে। তাছারাও বলে রাখি, ফেসবুক খুলুন, অনেক নতুন লেখক লেখিকা রয়েছে। কথা বলুন, নতুন গপ্পের সন্ধান পাবেন। টলিউড আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
তবে “ গোলন্দাজ “ এর জন্য দীপকদা ওরফে দেব কে আবার আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই, আমাদের কাছে অজানা এরকম ইতিহাস তুলে ধরার জন্য।




Comments