Terrified ( 2017 ) মুভি রিভিউ

 


প্লট – ভয়, প্যারানরমাল
ভাষা – স্পানিশ ( ইংলিশ সাব )
দেশ – আর্জেন্টিনা

আই এম ডি বি  রেটিং – ৬.৫  / ১০
পার্সোনাল রেটিং –  ৭ / ১০





আলো আছে যখন আঁধারও রয়েছে। তথ্যটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি সাপেক্ষ। অন্য দিক থেকে দেখতে গেলে বলা যায়, আলো আঁধার কিন্তু এক সাথেই রয়েছে। কীভাবে ?
যেমন ভারতে যদি সকাল হয়, অন্য দেশের মানুষ রাত্রি অনুভব করতেই পারে, ঠিক সেই একই সময়ে। এভাবেই রাত আর দিন এক সাথেই থাকে।
কি হোল মাথা গুলিয়ে গেল নাকি ?
দাড়াও, এই তো শুরু।

দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থাকি, আর মাঝে মধ্যে এমন একটা মুভি হাতে আসে। সত্যি এমন একটা মুভি অনেক দিন পরে দেখলাম, যেটা শুধু ভূতের মুভি নয়, রয়েছে বৈজ্ঞানিক কিছু ব্যখা, কিছু অজানা তথ্য যেগুলো অনেকাংশেই মাথার ওপর দিতে যেতে পারে।
ফিল্ম শেষে যার অভারল একটা চিন্তা মাথায় রেখে যায়, দর্শক তখনও বিভ্রান্ত, এটা কেমনে সম্ভব। অথচ সমস্তটাই যথাযথ এবং ভাবনা সাপেক্ষ।

একটি শহরের তিনটি ঘটনা, ছোট্ট ছোট্ট। পাশাপাশি লাগোয়া বাড়িতেই এই ঘটনা গুলো ঘটে গেল।

একটি লোক, যে বাড়িতে একা থাকে। তার শুধু মনে হয়, ঘরে কেও আছে। চেয়ার নড়ে, আলো জ্বলে নেভে। দিন দিন ঝামেলা বাড়তে থাকে। এর পর একদিন সশরীরে ( অশরীরী ) দেখা দিয়ে ফেলে, যেটার পর থেকে লোকটা ডাইরেক্ট মনবিদের কাছে যাওয়া ঠিক করে, কিন্তু...


পাশের ঘরে আবার অন্য সমস্যা।
স্বামী স্ত্রীএর বাস, ছেলে মেয়ে কেও নেই। স্ত্রী একদিন রাত্রে খাবার বানায়নি, সে নাকি রান্না ঘর থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পাছে। স্বামী সেদিন রাতে আসে, সেও শব্দ শুনতে পায়, তারপর ?
সেদিন রাতের স্বামীটি বাথ্রুমে যা দেখল... ( অসাধারণ নতুনত্ত ছিল, সত্যি )


আর একটা বাড়ির গল্প পরে রইল, ঠিক অপরদিকে এই বাড়িটা। যেমন সিম্পল, তেমনই ভয়াবহ অবস্থা।
মা ছেলে থাকে, ছেলেটি অনেক ছোট্ট। মারা গিয়েছে অনেক আগেই।
ঘটনা হোল, মরা ছেলে কবর থেকে উঠে এসে বসে পড়েছে তার ঘরে, আর তার মা তাকে দুধ বিস্কুট খেতে দিয়েছে। সারা ঘরেই তার হাতের আর পায়ের জুতোর চিহ্ন, কাদা মাখানো। তারপর ? আসল ব্যাপারটা কি ?


ঘটনার ব্যাখা খুজতে নেমে পরে তিন ব্যক্তি, তারপর ?
এর থেকে আর একটাও বেশি কথা বলবো না। আর এক পা এগোলেই স্পয়লার, ভূরি ভূরি।
তিনটে গল্প যদি ইন্টারেস্টিং লাগে, ভেবে দেখো ফিল্মটা কতটা অসাধারন বানাতে পারে। বেশ অনেক গুলো নতুন নতুন জাম্প স্কেয়ার দৃশ্য পাওয়া যাবে, আর আমি নিশ্চিত, গায়ে কাঁটা দেবেই।

প্যারানরমাল ব্যাপারগুলো এখানে ভাইরাসের মত দেখানো হয়েছে, যেটা স্প্রেড হতে থাকে এক মানুষ থেকে আর এক মানুষের মধ্যে। জল, ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর জন্য দায়ী।
এছাড়া কোন সংক্রমণ ঘটেছে এমন জায়গা থেকেও ছড়াতে পারে।
আলাদা ডাইমেন্সন এর কনসেপ্ট রয়েছে ফিল্মে। বিজ্ঞান না জানলেও বলা তথ্য গুলো সাজিয়ে নিলে আস্তে আস্তে গল্প অনেকটা পরিস্কার হবে।

আসলে এখানে অনেক কিছুই আছে, যেটার ব্যাখা আমি চেয়েও দিতে পারছি না। রিভিউ দিতে এসেছি, দেব, চলে যাবো।
শেষ হাসি হাসবে সেই চেয়ারটা, শেষ দৃশ্যে।


পুরো ফিল্মটি দেখার জন্য সব্বাইকে স্বাগত জানাই।
অবশ্যই সময় করে কমেন্ট করে জানিও, ফিল্মটা কতটা ভালো লাগল।  

ও হ্যাঁ, ঘাড় ভাঙ্গা ভয় কাকে বলে জানো ?





 

Comments