প্লট – অ্যাডভেঞ্চার, সাইকলজিক্যাল হরর
ভাষা – ইংরেজি
আই এম ডি বি রেটিং – ৫.৮ /
১০
পার্সোনাল রেটিং – ৬ / ১০
রিভিউ শুরুতে প্রস্তাব রাখছি, যারা এই ফিল্মের প্রথম পার্ট Escape Room ( 2019 ) দেখেছ, তারাই এই পার্টটা দেখো। কারন না দেখলে একটু হলেও শুরুতে বুঝতে অসুবিধে হবে।
এই সিরিজের ফিল্ম একটি ধারাবাহিকতায় চলে, যার শুরু প্রথম পার্ট থেকেই হয়ে গেছে। আর এই ফিল্মের শেষেও আপকামিং পার্ট আসার পূর্বাভাষ লক্ষ্য করা গেছে।
তুমি কি পাজেল সল্ভ করতে পছন্দ করো ? শুধু সুডোকু অথবা ধাঁধা নয়, আরও কিছু ? যেমন একটি ঘরের চাবি খুজতে তোমাকে ক্র্যাক করতে হবে একটি ধাঁধা। সেই ধাঁধা ক্র্যাক করতে তোমাকে যেতে হবে পাশের রুমে। আবার সেই রুমের চাবি রয়েছে অন্য একটা ধাঁধার বাক্সে। সেই বাক্সটা তোমার চোখের সামনে থেকেও লুকিয়ে রয়েছে। কি করে খুজবে ?
হ্যাঁ, একটু সময় দিলে খুঁজে নিতে পারবে। কিন্তু সেটারই অভাব। সময় যত এগিয়ে যাবে, মৃত্যু ততই কাছে চলে আসবে তোমার। সেই মৃত্যু পন্থা কিন্তু বড্ড ভয়ঙ্কর।
এই রকমই দমবন্ধ করা মুভির ফ্লেভার পেতে অবশ্যই এই ডোজ মাস্ট। “ স “ সিনেমার মত অটোটা নৃশংসতা না থাকলেও, যেটা আছে সেটা অতি মাত্রায় সাঙ্ঘাতিক।
আমার মতে আগের পার্টের থেকে অনেক অনেক বেশি ভাবে এটা উপভোগ্য। পাজেলের প্যাচ যেমন জটিল, তার থেকেও জটিল ক্রমানুসারে এক একটা সল্ভ করার রাস্তা খোঁজা।
সল্ভ করো, নয়তো রুমে মরো।
এই পরিস্থিতি কোন মানুষের ক্ষেত্রে কতটা ভয়ানক হতে পারে,যখন সে জানে মৃত্যু তার মাত্র ইঞ্চি দূরে অপেক্ষায়, দর্শক খুব ভাল ভাবেই আঁচ করতে পারবে সেই অনুভূতি, স্ক্রিনের বাইরে থেকেও।
মৃত্যু কাছাকাছি দেখলেই মানুষের মস্তিস্কভ্রম হয়ে যায়। জারফলে সহজ ভাবনা কেও জটিল লাগে।
প্রতিটা পাজেল শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দর্শক একটা করে ধাক্কা খেতেও পারে, সেই জন্যই বললাম আগের পার্টটা দেখে ধারাবাহিকতা টা বুঝে নিলে এটা বুঝতে অনেকটা সহজ হবে।
Comments
Post a Comment