প্লট – ভয়, থ্রিলার
ভাষা – ইংরেজি
দেশ - আয়ারল্যান্ড
আই এম ডি বি রেটিং – ৫.৯ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৭ / ১০
“ একটা কাজ আছে, তুমি আমার চেনা বন্ধু, তাই তোমাকে বলছি “
“ কি কাজ ? “
“ আমার ভাইজি কে কয়েকদিনের জন্য একটু দেখতে হবে, তার জন্য আমি পয়সা দেব। “
“ কেন ? ঘরে কি কেও থাকে না ?”
“ থাকলে কি আর বলতাম ? ওর মা নিরুদ্দেশ আট মাস ধরে, আর বাবা মারা গেছে।“
“ কীভাবে মারা গেছে ?”
“ সুইসাইড। সেই যাইহোক, ব্যাস কয়েকটা দিনের ব্যাপার, একটু থাকতে পারবে ?”
“ কেন তোমার ভাইজি , তুমি থাকতে পারবে না ? “
“ সত্যি বলতে আমি চেষ্টা করেছি, পারিনি থাকতে। কারন মানসিক ভাবে ও একটু অন্য ধরনের, তুমি শুধু মাত্র ঐ ঘরটায় থাকবে, ব্যাস। “
গল্পের শুরুটা, যতটাই সহজ, ততটাই জটিল ও জটিলতর হতে শুরু করবে, যত সামনে এগাবে।
রিভিউ দেওয়ার ধরনটা আজ একটু পালটালাম। কারণটা, এই ফিল্মের প্রতি বিশেষ ভালোলাগা। প্রথমে ভেবেছিলাম, ১০০তম ফিল্মি রিভিউতে এটা সব্বার সাথে শেয়ার করবো। তারপর দেখলাম, ততদিনে অনেকটা লেট হয়ে যাবে। তাই শুভ কাজে বিলম্ব নয়।
সব্বাই কে স্বাগত আজকের এই বিশেষ অদ্ভুত ফিল্মের রিভিউতে। অদ্ভুত বললাম কারন, ফিল্মের অনেক স্থানেই এমন কিছু দৃশ্য বর্ণিত রয়েছে, যা সহজ ভাবে বোঝা একটু অসাধ্য।
ভয়ের ট্যাগ লাগানো বলে যারা রিভিউ পড়তে শুরু করে দিয়েছ তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা, ভয় কিন্তু এখানে নিজের বর্ণনা, পরিচয় সম্পূর্ণ ভাবে পালটে ফেলেছে। নতুন পোষাকে ভয় কে কেমন মানায় ? সেটা দেখতে এই ফিল্ম অবশ্যই মাস্ট ওয়াচ।
ভৌতিক উপস্থিতি অবশ্যই রয়েছে, রয়েছে একটা ভুতুরে বাড়ি, রয়েছে একটা ভূতুরে খেলনা মত কিছু, ছবিতে যেমন দেখা যাচে। দেখে মনে হছে না তোমার দিকেই তাকিয়ে আছে ?
সেই ভয়টা এখানে খুব বেশি নেই, যেটা বরাবর আমরা যে কোন ফিল্মেই দেখে এসেছি কম বেশি। একটু আগেই বললাম না, ভয়ের নতুন পোশাক ?
সেটা মাঝে মধ্যে যখন দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি করবে, তখনের নতুন অনুভুতি কিন্তু বেশ মারাত্মক।
“ কাভিয়েত “ অর্থাৎ ওয়ার্নিং অর্থাৎ সাবধান করে দেওয়া। গল্পে কিসের সাবধানতা ? কীভাবে ? বোঝা যাবে সিনেমাটি দেখার পর।
এই সকল ফিল্ম শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে শব্দ পরিচালনা কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। ডিরেক্টর এর এটাই প্রথম ফিল্ম। ওনার অসামান্য ও তুখোড় ভাবনা চিন্তা একে বারে “ লে ছক্কা “। কোথায় কোন শব্দ দিলে , দর্শককে সহজেই আঘাত করা যায়, উনি জানেন। কোন কিছু না দেখিয়েও গায়ে কাঁটা তুলে দেওয়ার বিশেষ কৌশল রয়েছে এই শব্দের মাধ্যমে। ও হ্যাঁ, ক্ষণিকের ভয়াবহতা কিন্তু চাবুকের মত আছড়ে পড়তে পারে, সেক্ষেত্রে সাবধান।
সিনেমাটি বুঝতে একটু বেগ প্রথমে পেতে হয়েছিল,বেশ কিছু সাইকলজিক্যাল ব্যাপার আছে আসলে, যেটা শেষমেশ ঠিকঠাক ভাবেই পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে।
এমন সিনেমা দেখার জন্যই আমি সত্যি মুখিয়ে থাকি...
Chalie jan....r o onk valo valo review chai...review dekhe film dekte amr valo lage..
ReplyDeleteঅনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বন্ধু, সঙ্গে থাকবেন এভাবেই।
Delete