The Unholy ( 2019 ) - সিনেমা রিভিউ

 


সিনেমা রিভিউ 
The Unholy ( 2021 )
 

প্রেক্ষাপট –  হরর , রহস্য
আই এম ডি বি –
৫ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৬  / ১০

আই এম ডি বি রেটিং কম হলেও, ফিল্মটা কিন্তু বেশ চমৎকার লেগেছে। সেই ভাবনা মাথায় রেখে আজকের রিভিউ।

“ মিরাক্যাল “ শব্দটার সাথে আমরা কম বেশী সব্বাই পরিচিত। এটা শুনলেই মনে হয় চারপাশে এমন কিছু ভাল ঘটবে যেটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
চমৎকার !
ভগবানের প্রতি বিশ্বাস থাকলে, জলের ওপর দিয়ে হাঁটা সম্ভব, অথবা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সম্ভব, অথবা কোনও কালা বোবা মানুষের হঠাৎ স্বাভাবিক হয়ে যাওয়াও সম্ভব।
শেষ ব্যাপারটা ঘটেছে একটি ছোট্ট মেয়ের সাথে, নাম আলিস।
ছোটবেলা থেকেই সে শুনতে বা কথা বলতে পারত না। কিন্তু আজ হঠাৎ ওর মুখ থেকে কথা বের হতে শুরু করেছে।
আলিস নাকি মাদার মেরির কথা শুনতে পায় এই মুহূর্ত থেকে। মাদার মেরি তাকে আজ্ঞা দেয়, সব্বাই যেন তার ওপর বিশ্বাস করে।

আলিসের স্বাভাবিক হওয়ার মিরাক্যালে সব্বাই একেই খুব কৌতূহলী। ঐ স্থানে আসলেই চার্চের আধিপত্য বেশী, তাই বিশ্বাসএর গোঁড়া শক্ত হতে বেশী সময় লাগেনি। ইতিমধ্যে সে একজন পঙ্গু ছোট ছেলেকেও নিজের পায়ে হাঁটা শিখিয়ে দিয়েছে, বিশ্বাসের মাধ্যমে। ছড়িয়ে পরে এই কথা, চারিদিকে।

এদিকে কিছু মানুষ এই ব্যাপারটা কে ভয় পেতে শুরু করেছে।
তাদের মতে, ভগবান ওপরেই থাকে। সে যদি এভাবে নিচে নেমে আসে, তাহলে তার পাশাপাশি অশুভ কিছু ঘটার ইঙ্গিত বয়ে আনে।

আবার কিছু মানুষ ব্যাপারটাকে ভাঁওতা বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। যথাযথ প্রমাণের অভাবে সেটা ঠুনকো যদিও।

সিনেমার শুরুতে একটা ছোট্ট ফ্ল্যাশব্যাক পাই, ১৮৪৫ সালের। একটি মেয়েকে মুখে মুখোশ পরিয়ে গাছের ওপর বেঁধে পুড়িয়ে ফেলা হয়। সে শয়তানের পুজা করত বলেই এই শাস্তি।

আলিসের মিরাক্যাল আর পূর্বের ঘটনা, কোন সম্পর্কে বাঁধা ?
মাদার মেরি কে কি ওয়াইফ অফ স্যাতান বলা হয় ?
আসলে কি ঘটছে এই মুহূর্তে ?

কাহিনী সত্যি কথা বলতে, আন্দাজ করা যায়। কিন্তু গল্পের উপস্থাপনা এতটাই সুন্দর, যে একবার দেখা যায় অবশ্যই।
১৯৮৩ সালে জেমস হারবারট এর লেখা “শ্রাইন”  ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার হিসেবে নির্বাচিত হয়। সেই গল্পের ওপর ভিত্তি করে এই সিনেমা।

কাহিনীতে খুব ছোট্ট সিম্পেল মোড় আছে, যেটা বেশ লাগবে। বাকি কিছু স্থানে হঠাৎ অশরীরীর উপস্থিতি, দর্শক কে কাঁপিয়ে দেবে সেই মুহূর্তে, এটুকু বলতে পারি।
 



 





Comments