সিনেমা রিভিউ
Swallow ( ২০১৯ )
প্রেক্ষাপট – বডি হরর, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার
আই এম ডি বি – ৬.৫ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৬.৫ / ১০
ল্যাঙ্গুয়েজ - ইংরেজি
“ পাইকা “ একধরনের ইটিং ডিসঅর্ডার।
যেগুলো খাওয়ার যোগ্য না, যেমন কাদা, ধুলো খেতে শুরু করে। ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ছোটোদের
ক্ষেত্রে এটা ১ থেকে ৬ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে থাকে। আর খুব রেয়ার কেস হিসেবে হয়
গর্ভবতী মহিলার।
সিনেমায় সেই মেয়েটির নাম হান্টার।
ছোট বেলার একটা বাজে স্মৃতি বয়ে বেড়ানো হান্টার, এখন একটি বড়লোকের ঘরের ওয়াইফ। টাকা
আছে, সময় আছে, যা চায় তাই পায়, কিন্তু তাহলেও কিছু একটা মিসিং এখানে।
নিজের স্বামী রিচি, তার মা - বাবা কেও এই মেয়েটাকে গুরুত্ব দেয় না। যেন হান্টার
আছে জাস্ট একটা বস্তুর মত, একটা মেশিনের মত।
নিচু গলায় কথা বলতে থাকা হান্টার একটা সময়ে অনুভব করতে থাকে নিজের প্রতি কন্ট্রোল
হারাছে। এটা সে নয়, যেটা সে আসলে।
তার সামনে সব্বাই হাসছে ফিরছে, সব্বাই কি আসলেই খুশি ?
সে নিজেও খুশি ? ওর কোনই প্রাইভেসি নেই ?
ডিসঅর্ডারটি হঠাৎ করে পেয়ে বসলো হান্টার কে। প্রথমে একটা মার্বেল বল, তারপর একটা
বড় পিন, তারপর একটা ব্যাটারি... খাওয়ার পর সেগুলো আবার সঠিক ভাবে বাথরুম থেকে বার
করে রেখে দিত পরিষ্কার করে, নিজের রুমে, চোখের সামনে। কাহিনী আসতে আসতে নতুন পথ
ধরতে শুরু করলো। হান্টারের ব্যবহারেও পরিবর্তন আসতে থাকলো। তারপর ?
একটু আলাদা ধরণের সিনেমা। যেখানে মনে হতে পারে, হান্টার বলে মেয়েটার ক্রোধ এর জার্নি
দেখানো হয়েছে। কোনও ভাবে এই ফিল্মটাকে একটা ফেমিনিসট আঙ্গেলেও দেখানো যেতে পারে।
যেখানে বিয়ের আগে হোক বা পরে, হান্টার এর জীবন ছিল অন্যের কন্ট্রোলে।
আমাদের শরীর আসলেই একটা পিউর স্পেস, যেখানে বাইরের দুনিয়া দূষিত। চোখ, নাক ,
মুখ এর মত কিছু স্থান আছে শরীরে, যারা বাইরের দুনিয়ার সাথে কন্টাক্ট এ আসে, এই
স্থান গুলো দিয়েই ভেতরে ঢোকে।
শরীরের ভেতরে যা ঢোকে, তা আবার প্রসেসিং এর মাধ্যমে আবার বাইরে বেড়িয়ে যায়, নতুন
ভাবে। অর্থাৎ, স্পিরিচুয়াল আঙ্গেল এ দেখতে হলে, রিবার্থ, চলে অনন্তকাল।
নতুন জন্ম, যেটা হান্টার এর শেষমেশ হতে দেখা যায়।
একটু অন্য ঘরানার অন্য ধরণের সিনেমা, যেটা দেখতে বসে মাঝে মধ্যে শিউরে উঠবে শরীর,
উত্তেজনায় চোখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বেশ অন্য ধরণের স্বাদ , অভিজ্ঞতা পেতে মাস্ট ওয়াচ সিনেমা। ত্রিবেকা ফিল্ম
ফেস্টিভ্যালে তো আর এমনই এমনই প্রিমিয়ার করেনি।
Comments
Post a Comment