Ghost Lab ( 2021 )
প্রেক্ষাপট – থাই হরর, ড্রামা
আই এম ডি বি – ৫.২ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৪.৭ / ১০
সাবটাইটেল – ইংরেজি
ভূত আছে ? মৃত্যুর পর শরীরের কি হয় ? পরজন্ম বা পুনর্জন্ম কি
?
আত্মার সাথে ভূতের কোনও যোগাযোগ আছে ? কখন তেনারা দেখা দেন ?
এই সমস্ত হাজার প্রশ্ন আমাদের মত ভূত খোর দের মাথায় জন্মের আগে থেকেই গিজগিজ করছে,
যার সঠিক উত্তর আজও পাইনি।
এমনই বৈশিষ্ট্যের দুটো নবীন ডাক্তার, নিজদের একটি ল্যাব বানায়, সবার অগোচরে। যদি এই
সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায়…
অভিশপ্ত অনেক বিল্ডিং, ম্যানসন স্থান, অথবা মৃতের শরীরের পাশে শুয়ে থাকা, অথবা সব্বার
অগোচরে এমন কিছু কাজ কর্ম করা। এসবই ভূতকে একবার দেখার জন্য।
হতাশ হয়েছে বারংবার, কিন্তু হাল ছারেনি।
শেষমেশ একদিন কিন্তু ওরা ভূতের দেখা পায়, বেশ ভয়ঙ্কর ভাবে। আর তখন থেকেই উৎসাহ প্রায়
তুঙ্গে।
তারপর ?
ভূত এর ভেতরের কাহিনী জানতে হলে হয়তো নিজে ভূত না হলে বোঝা যাবে না। তারমানে কাওকে
মরতে হবে। হুম ? সেটাও সম্ভব নাকি ?
কাহিনীর সূত্র মোটামুটি এভাবেই ঘটে, আর বাকি সিনেমা …
তবে কি বোঝা যাবে সেটাই বড় জটিল। নেগেটিভ রিভিউ আমি চট করে করি না, এড়িয়ে যেতে বাধ্য
হই। কিন্তু এতো আশা করে সিনেমা দেখতে বসে, উত্তেজনায় টগবগে মন যখন মাঝপথে মুষড়ে পড়ে,
তখন রাগ একটু হয় বইকি।
নেটফ্লিক্স এর মত এত বড় একটা ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম এমন কন্টেন্ট আনবে, সত্যি চিন্তার
বিষয়।
সমগ্র সিনেমাটাই একটা এক্সপেরিমেন্ট। উহু, শুধু সিনেমার কথা বলছি না, ভেতরের গপ্পের
কথা বলছি। না আছে মজবুত কাঠামো, যার ওপর প্রায় দু ঘণ্টার গল্পটা দাড় করানো যাবে, না
আছে টানটান উত্তেজনা।
“ ভূত “ এই টপিকটা হাতে পেলেই কত কি যে করা যায়, তা যারা লেখে তারা জানবেই। গল্পের
গরুকে কতটা গাছে তোলা যায়, অথবা কতটা লেভেলের ভয় পাওয়ানো যায়, গল্পকার এর কোনটাই করতে
পারেনি।
সিনেমার নামটাই যা রয়ে গেছে, না আছে তেমন কোনও ভয়ের দৃশ্য, না আছে গা শিউরে ওঠা রোমাঞ্চ।
হ্যাঁ, কিছু কিছু জায়গায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টির মত ভয় ঝরে পড়েছে, কিন্তু ঠিক তারপরই খরা,
দুর্ভিক্ষ।
সিনেমার মাঝে মাঝে হঠাৎ উত্তেজনা তৈরি হবে, তবে সেটা মিনিট দুয়েক এর জন্য। এর পর থেকে
বোধয় সিনেমা প্লট পালটাবে, ভাবধারায় গতি আসবে, কিন্তু সে আশায় চাষা মারা যায় বারবার।
একটা পজেটিভ কথা বলি।
ভয়ঙ্কর কিছু ফুটেজ দেখানো হয়েছে। যেটা দেখে আমার মনে হোল, এগুলো যদি এভাবেই বানানো
যায়, তাহলে আমরা ভয় পাই কেন ? কথাটা ভাবা মাত্র, রান্নাঘর থেকে একটা জোরে কিছু শব্দ
পেলাম, ওমনি ধড়াস ধড়াস করতে শুরু করলো বুক।
ভাল থেকো সব্বাই।
Comments
Post a Comment