Chathur Mukham ( ২০২১ ) - সিনেমা রিভিউ

 



Chathur Mukham ( ২০২১ )
 

প্রেক্ষাপট –  টেকনো হরর, থ্রিলার
আই এম ডি বি –
  ৭.২ / ১০
পার্সোনাল রেটিং  ৫.৫ / ১০


এই রিভিউটা পড়া শুরু করেছ তাই না ?
নিশ্চয় ডান হাতে ফোন ধরে আছো। আরে ! আমি জানলাম কি করে ? আজকের দুনিয়াতে এটাই তো নরমাল। কিন্তু ধরো যদি তোমার হাতে ধরা ফোনটাই তোমাকে ট্র্যাক করতে শুরু করে ? সেটা যদি তোমার জন্য ক্ষতিকারক হয়ে দাড়ায়, তাহলে ?

আজকের সিনে রিভিউ আবারও একটু ভিন্ন স্বাদের ফিল্ম নিয়ে। যেখানে ভয় এসেছে, মৃত্যু এসেছে, তবে টেকনোলজির হাত ধরে। রাত দিন সেলফি, ইন্সতা, ফেসবুক, লাইক করতে থাকা ছেলেমেয়েরা একটু সাবধান।

কাহিনী খুব পরিষ্কার।
নতুন ফোনটা কোনও এক ভয়াবহ কারণে হারিয়ে ফেলবে মেয়েটি। টাকা পয়সা কম থাকায়,একটি ওয়েবসাইট থেকে ভাল কনফিগারেশন এর নতুন কোম্পানির মোবাইল পায়, খুব সস্তায়।
সবই ভাল চলছিল, কিন্তু ফোনটা আসার পর থেকে শুরু হয় অঘটন।
নায়িকা যতক্ষণে জানতে পারে ফোনটাই যত ন্যস্তের মূল, ততক্ষণে ভয় তার শিকড় এর সন্ধান পেয়ে গেছে। তারপর চলে অশরীরী  আর টেকনোলজির মেলবন্ধনে ফিল্মের গোড়াপত্তন ও ভয়াবহ কিছু খুন।
ফিল্মে ভয় পাওয়ার মত তেমন দৃশ্য নেই বললেই চলে। তবে কালার গ্রেড মোটামুটি ভাল ব্যবহার হয়েছে। মাঝে মধ্যে জোরালো সাউন্দ পুরো আবহাওয়াকে পাল্টে রেখে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

তবে এই প্রথম হয়তো বেশ কিছু নেগেটিভ পয়েন্ট দেবো।
নায়িকার ভূমিকায় মাঞ্জু  ওয়ারীয়ের কে কিছু বলার নেই। প্রিসট ফিল্মেও এনার ছোঁয়া অসাধারণ। এই ফিল্মে একজন কম বয়সী যুবতীর ভূমিকায় উনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
তবে আমার মনে হয় ডিরেক্টর অন্য কাউকে নিলে হয়তো আরও ভাল হতো। অথবা এনার মেক আপ এর দিকে আরও অনেকটা ধ্যান দেওয়া উচিত ছিল। কারন ৪০ ঊর্ধ্ব এই অভিনেত্রী নিজের দিক থেকে সম্পূর্ণ চেষ্টা করলেও, ক্যামেরা কিন্তু সত্যিটাই প্রকাশ করেছে, যেটা এই ফিল্মের ক্ষেত্রে মোটেও ভাল নয়।

এটা একটা ফিল্ম না বলে একটা এক্সপেরিমেন্ট বলা যায়। কারন যে অর্থে ফিল্মটা বানানো হয়েছে, আমার কিন্তু কারন গুলো খুব একটা জুতসই লাগেনি। তাই বলে সাধারণ মানুষ খুন ? মটিভ মোটেও যথাযথ নয়। তবে সাধুবাদ জানাই এমন নতুন গল্পের প্লট বানানোর সাহস দেখে। এমন ভাবেই হয়তো আবার অন্য ভাল কিছু পেয়ে যাবো।

শেষটা শেষের মত করতে গিয়ে বিজ্ঞান এর সাহায্য নিতে হবে আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু “ ফারাডে কেজ “ দিয়ে এভাবে ?

ফারাডে কেজ – ১৮৩৬ সালে আবিষ্কারক মাইকেল ফারাডে এর নাম অনুসারে এটা হয়। এটি এক প্রকার শিল্ড বা বধ্য স্থান, যেখানে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ ঢুকতে পারে না।
এই একটা তথ্যের ওপর জোর দিয়ে ফিল্মটা শেষ করলো ঠিকই, কিন্তু কারনটা খুব জোরালো আমার অন্তত মনে হোল না। এত বড় একটা সিনেমা এর মধ্যে এত বড় বড় ক্ষতি হয়ে যাছে, সেটা এতো সিম্পেল ভাবে জোর করে শেষ করে দেওয়াটা ঠিক নিতে পারিনি।

শেষ দৃশ্যে অতি অভিনয় চরম ভাবে চোখে পড়েছে, লুপহোল তো আছেই, সঙ্গে একটু অবাক করা কিছু দৃশ্য।
মোটামুটি লাগলেও, মনে খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি এই ফিল্ম। তাও একবার অন্তত দেখা যায়, গ্রাফিক্স এর কাজে কতটা সাবলীল হলে এমন কাজ একটা টেকনো হররও ফিল্মে সম্ভব।
ফাইনাল ডেসটিনেশন এর কথা মাঝে মধ্যে মনে করিয়ে দিলেও দিতে পারে এই ফিল্ম।
শেষ অংশে গল্প শেষ করেও শেষ করেনি। পরবর্তী পার্ট আসবে কিনা জানিনা, তবে এলে আমি জানিনা সেটা দেখা সম্ভব হবে কিনা।



 

Comments