পোলারয়েড ( ২০১৯ )
জেনার – ভয়, রহস্য
আই এম ডি বি – ৫.১ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৫.৫ / ১০
সাবটাইটেল - ইংরেজি
একই দিনে একই স্কুলের দুটি স্টুডেন্ট মারা গেলো। একজন নিজের শপে, আর একজন নিজের বাড়িতে। বড্ড অদ্ভুত শুনতে লাগছে স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রীদের।
দুজনের মৃত্যুর আগে একটা ব্যাপার কমন, ওরা একটা ক্যামেরায় ছবি তুলেছে।
এই মুহূর্তে ক্যামেরাটা যার কাছে আছে, সে কিছুটা আঁচ করতে চেষ্টা করছে, কিন্তু বুঝতে পারছেনা আসলেই কোনটা সত্যি। যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে তো ইতিমধ্যে আরও কটা ছবি তুলে ফেলেছে। তাহলে ?
আসলেই ক্যামেরার পেছনে কোনও গোপন সত্যি লুকিয়ে আছে ? নাকি সেই সত্যের পেছনে অন্য কোনও ভয় লুকিয়ে ?
এর থেকে বেশী আমি গল্প নিয়ে বলতে পারবো না। কারন সম্পূর্ণ গল্পটাই অনেক অল্প সময়ে অনেকটা প্লট কে কভার করে তৈরি করা হয়েছে। তাতে না আছে বাড়াবাড়ি না আছে অতিরিক্ত কিছু।
এখন অনেক সিনেমায় অশরীরীকে নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি দেখা যায়। এই “ অশরীরী “ ব্যাপারটা কে হাতে নেওয়া মাত্রই যেমন ইছে তেমন ভাবে দেখানো শুরু করে দেয়। যেটা বাস্তবে কেন, গল্পেও সম্ভব নয়, এমন কিছু কেও অশরীরীর দ্বারা দেখানো হয়ে থাকে। খুব বিরক্তিকর লাগে এমন সিনেমা।
একটা ভাল ভয়ের বা ভূতের সিনেমা কখন সেরা হয় ? যখন তার ভয় টা জিয়িয়ে রাখা সম্ভব হয়। যতক্ষণ সেই ভয়ের কারণটা স্ক্রিনে না আসছে, ভয়ের পারদ ততক্ষণই তুঙ্গে থাকে।
আজকের সিনেমা তার একটা দারুণ উদাহরণ বলা যায়। অন স্ক্রিনে অশরীরী কে তেমন ভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি, কিন্তু তার পাশে সেই ভয়াবহ আবহাওয়া খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। স্ক্রিনে ভয় আসা মাত্রই তার যথাযথ ব্যাবহার করা হয়েছে, যেটা দেখে আমি মুগ্ধ।
“ এই এলো এই এলো “ এমন চিন্তা মাথায় আসার আগেই যদি পিলে চমকে দেয়, তবেই না নতুনত্ব।
সিনেমায় পোলারয়েড ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।
ক্যামেরা মানেই ডার্ক রুম, ফিল্ম, ওয়াস। অনেক হ্যাপা ছিল এক কথায়। সেটাকে যদি এক জায়গায় আনা যায় ? যদি ছবি তোলা মাত্র সেটা মুহূর্তেই ডেভেলপ হয়ে যায় ? ইনস্ট্যান্ট ক্যামেরা সেই থেকে তৈরির ঝোঁক শুরু হয়।
১৯২৩ সালে ব্যাপারটা নিয়ে অল্প বিস্তর ফলাফল বেরলেও ১৯৪৮ এ ল্যান্ড ক্যামেরা প্রথম তাক লাগিয়ে দেয়, যেখানে ফটো তোলার কিছু সময়ের মধ্যেই সেটা হাতে পাওয়া যায়। মডেলের নাম পোলারয়েড ৯৫ ।
পোলারয়েড ৬৩৫ সুপার কালার, পোলারয়েড অটোমেটিক ৩৫০ এই সময়ে আসতে আসতে বাজার ধরতে শুরু করে।
পোলারয়েড SX – 70
এটা প্রথম ফলডিং মডেল। সিনেমায় সম্ভবত এই মডেল টা নিয়েই কাজ হয়েছে। আমার বেশ লেগেছে এই ভিন্তেজ জিনিসটা কে সামনে এনে সুন্দর একটা উপস্থাপনা।
Comments
Post a Comment