জেসি ( ২০১৯ )
প্লট – হরর, ভয়
ভাষা – তেলেগু
আই এম ডি বি রেটিং – ৬.৯ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৬ / ১০
সাবটাইটেল - ইংলিশ
ছোট বোন এমি, বড্ড অস্বাভাবিক আচরণ করছে নতুন বাড়িতে আসার পর থেকে। বড় বোন জেসি,
কিছুতেই বুঝতে পারছে না কি এমন ঘটলো যে এমি এমন করছে ?
আগে শারীরিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল, এখন
মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত জেসি। কি করে বোন কে ঠিক করবে...
বয়ফ্রেন্ড রাজীব এর সাথে একজন সাইকলজিসট এর কাছে যায়।
যে তথ্য জেসি দেয়,বড়ই অদ্ভুত।
এমি, জন্ম ১৯৮৭ সালে। হিসেব অনুযায়ী ওর বয়স এখন ২৫, কিন্তু এই মুহূর্তে সে ১৬। বয়স
যখন ১৮ ছিল এমির, তখন থেকে ৩টে বছর শুধু মাত্র ওর বয়স পেছাতে থাকে। বাকি ৪ বছর না
বেড়েছে, না কমেছে।
“ কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটান “ এর কথা মনে পড়লেও এই গল্প অন্য পথ ধরবে।
ডাক্তার সম্পূর্ণটাই অস্বীকার করে, আর
ব্যাপারটা ভাওয়াতা বলে উড়িয়ে দেয়।
এমি আর জেসি ঘরে তো আসে, কিন্তু এমি এর মধ্যে অনেকটা পরিবর্তন আসতে শুরু করে, আর
কিছুদিনের মধ্যেই আবিষ্কৃত হয় এমির শরীরে অন্য কেও বাসা বেঁধেছে।
ব্যাস ! এক্সরসিস্ম, আর...
রিভিউ শুরু করেছি ঠিকই, তবে শেষ থেকে। প্রথম অংশের দিকে একটু দেখা যাক।
একটা অভিশপ্ত বাড়ি, নাম ভিক্টোরিয়া হাউস।
চারজন গোস্ট হান্টার সেখানে আসে, যথাযথ ইনভেস্টিগেশনের চক্করে। পরিচয় হয় বাড়ির
মালকিনের সাথে। বাড়িটা সেও বিক্রি করে দিতে চায়, কিন্তু এই ধরণের রটানো গুজবের
জন্য সেটা সম্ভব হছে না। তার সহমতেই ইনভেস্টিগেশন শুরু হয়, তারপর ?
গল্পের আর একটু শুরুতে যাই ? অসুবিধে নেই আশা করি।
খুব সক্কাল, ভোর প্রায় ৬ টা।
রাস্তায় এক্সিডেন্ট হয় একটি গাড়ির, স্পট ডেড দুটি বডি।
শনাক্তকারীর বয়ান অনুযায়ী, ওরা জেসি আর এমি। অথচ পুলিশ স্টেশনে একটা জি ডি হয়, সকাল ৮টা ৩০ এ
ব্যাগ মিসিং এর ব্যাপারে। জি ডি করেন, এমি আর জেসি।
বড্ড অদ্ভুত না ?
ওদের নাম দুটো কি কাকতালীয় ভাবেই মিলছে নাকি ভেতরে ভেতরে কাহিনী অনেকটাই গণ্ডগোল
পাকিয়ে বসে আছে এরই মধ্যে...
এই তিনটি ঘটনা একে অপরকে কীভাবে ক্রস করছে, কীভাবে এরা সম্পর্কিত...এটাই দেখার
বিষয়।
শুরুতে গল্পটা যতটাই সাধারণ আর স্বাভাবিক লাগবে, এগবে যত, ততই নিজের জাল বিস্তার
শুরু করে দেবে। একটা সময় এমন মনে হতে পারে, তুমি ধরে ফেলেছ আসল ব্যাপারটা কি।
উহু, মনে হয় ভুল হছে তক্ষণই।
কাস্টিং এর দিক থেকে আমার চেনা দুইজন পরিচিত মুখ পাই।
পুলিশ অফিসার হিসেবে অতুল কুলকারনি। এমনিতেই জাত অভিনেতা হিসেবে টলি বলি
কাঁপিয়েছে। বিবেক অবেরয় এর “ দম “ সিনেমা তে ওনাকে প্রথম দেখেছি, অসাধারণ এক কথায়।
এক্সসরসিস্ত করতে আসা প্রিস্ত কবির দুহান সিং। সাউথ ইন্দিয়ান সিনেমায় নেগেটিভ
রোলের লিডে দেখা যায় প্রায়। এই রোলে ওনাকে দেখতে প্রথমে একটু বেগ পেতে হয়েছিলো,
তবে ওনার ভূমিকা উনি যতটা সম্ভব করার চেষ্টা করেছেন।
সিনেমার বাকি সদস্যদের অভিনয় মোটামুটি সাবলীল, তবে আরও পর্যাপ্ত হতে পারতো।
কাহিনী বেশ শক্তিশালী। বিশেষত শেষের দিকের মোচড় গুলো যখন প্রকাশিত হছে, উৎসাহ
বাড়বে বইকি।
ভয় দেখানোর কনসেপ্ট এ নতুনত্ব তেমন কিছু নেই। তবে জাম্প স্কেয়ারি কিছু মুহূর্ত
ভাব্বার আগেই ঘটে গেছে, যেটা বেশ লেগেছে আমার।
অভারল বেশ লেগেছে। টেকনিক্যালি কিছু খুঁত চোখে পড়লেও, সেটা এড়িয়ে যাওয়া চলে। পুরো
সিনেমা দেখার পরও কিছু কিছু ব্যাপার খুব মিসিং লাগছিলো, যেন এটা এমন হলে আরও জমতও।
একটু খাপছাড়া লেগেছে, তবে সেটা অত্যন্ত সামান্য।
শেষের ৬টা মিনিট কিন্তু সিনেমাটা না বাড়ালেও চলতো। ভিক্টোরিয়া হাউস এর রটনা আসলেই
ঘটনা, সেটা প্রমাণ করতে গিয়ে একটু বেশী কিছু দেখিয়ে ফেলেছেন। আমার মতে সেটা
অপ্রকাশিত রেখে একটা সিঙ্গেল সটেও দেখানো যেতে পারতো। সেজন্য আমার রেটিং নাম্বার
একটু কমে গেছে।
Comments
Post a Comment