নরই – দ্যা কার্স
( ২০০৫ )
প্লট
– ভয়, ভৌতিক, ফুটেজ ফিল্ম
imdb
: ৭ / ১০
পার্সোনাল – ৭ / ১০
ভাষা - জাপানী
সাবটাইটেল - ইংলিশ
খুব যদি ভুল না করি, আজকের ফিল্মটা অনেকের
কাছেই অজানা হবে, কারণ ঠিকমত প্রচার সঠিক সময়ে পায়নি।
মূলত এটি একটি ফাউনড ফুটেজ ফিল্ম।
প্যারানরমাল একটিভিটি, ক্লাভারফিলদ বা ব্লায়ের হুইচ এর হাত ধরে আমরা মূলত ফাউনড
ফুটেজ ফিল্ম এর স্বাদ পেতে শুরু করি। ২০০৫ সালের এই জাপানী হরর মুভিটিও কিন্তু বেশ
ভালই খেলা জমিয়েছে।
কাহিনী শুরুর আগে বলে দিয়, এটা একটা ফিল্ম। কোনও রকম সত্য ঘটনা অবলম্বনে না, বা
কোনও রকম অভিশপ্ত ব্যাপার নেই। তাই ভূত প্রেমীরা, তৈরি তো ?
কাহিনীর শুরুটা একটু ধরিয়ে দিয় তাহলে।
একজন জার্নালিস্ট সর্বদা প্যারানরমাল ব্যাপার সাপার গুলো নিয়ে পড়ে থাকেন। যেখানেই
এমন ঘটনা ঘটে, উনি ছুটে যান সত্যি টা জানার জন্য। তার জন্য কোনভাবেই উনি পিছুপা হননি,
হবেনও না কখনও।
এই সিনেমাটি সেই রহস্যের কাহিনীকে কেন্দ্র কে, যেটার সত্যতা খুঁজতে গিয়ে সেই
জার্নালিস্ট নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
কাহিনীতে “ কাবুতাবা “ নামে একটা
শয়তানের নাম পাই, মূলত যার জন্য সমস্ত কিছু ঘটবে।
“ কাবুতাবা “ এর ব্যাপারে একটু ব্যাখ্যা করছি।
জাপানের কোনও এক শহরে কোনও এক সময়ে কিছু যাদুগর এসেছিলেন। নিজদের ইছে পূরণ ও
গ্রামের রক্ষার জন্য তারা একটি ধার্মিক অনুষ্ঠান করে একটি শয়তান কে ডাকেন, যার নাম
কাবুতাবা। ডাকার নিজস্ব একটি ধরন আছে।
এর জন্য একটা মিডিয়াম দরকার, সেটা হয় একটা বাচা মেয়ে। সময় অনুসারে তাকে হনুমান এর
মাংস খায়ান হত, এবং কুকুর উৎসর্গ করা হত। এরকম চলতে চলতে এক সময় আসে, যেখানে
কাবুতাবা নিজের শক্তি নিয়ন্ত্রণের থেকেও বেশী বাড়িয়ে ফেলে। যাদুগর রা কোনরকমে অশুভ
শক্তি কে আঁটকে রাখে মাটির নিচে।
পরবর্তী সময়ে সেই গ্রামে সেই স্থানে একটি ড্যাম বানানো হয়, যেখান থেকে কাবুতাবা
আবার শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করে। তার পরবর্তী ঘটনা হোল, এই ফিল্মের আধার।
দেখতে গিয়ে প্রথমে একটু স্লো মনে হতেই পারে। কিন্তু আস্তে আস্তে যত জট খুলবে,
কাহিনী নিজের গতি বাড়াবে। কিছু স্থানে অবশ্যই চমক আছে, বলাই বাহুল্য।
এখানে বলে রাখি, কাহিনী শেষ হবার পর ফিল্ম বন্ধ করে কেও উঠে যাবে না, কারণ, ঐ যে
আগেও বলেছি, শেষ টা শেষ নাও হতে পারে। আসল রহস্য হয়ত শেষেই খিদে মেটাবে...
ভূতের দৃশ্য নেহাত খুব কম, তবে উত্তেজনা কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় টানটান।
Comments
Post a Comment