সিস্টারস ( ১৯৭২ ) - মুভি রিভিউ

 

মুভি রিভিউ

সিস্টারস ( ১৯৭২ )

প্লট সাইকোলজিক্যাল স্লাশার
ভাষা – ইংরেজি

আই এম ডি বি  রেটিং – ৬.৯ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৭.৫ / ১০

সাবটাইটেল -  ইংলিশ





সুন্দর একটা সন্ধ্যা।
মেয়েটির সাথে ছেলেটির পরিচয় হয়েছে কোনও এক ইভেন্ট এ। সেই দেখা, আর ভালোলাগা। তারপর মেয়েটির উষ্ণ আবেদনে সাড়া দেওয়া।
মেয়েটির যদিও প্রাক্তন স্বামী সেটা নজর রাখছিল। কোনক্রমে সেই নজর এড়িয়ে দুই নতুন শরীর একে ভালোলাগাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যায়।
রাত্রি কেটে যায়।
ছেলেটি ঘুম থেকে জেগে ওঠে। শুনতে পায়, বাইরে আরও একজন মেয়ের গলা, যে কিনা তার চেনা মেয়েটির সাথে ঝগড়া করছে।
পরে জানা যায়, সে তার যমজ বোন। একসাথে না থাকলেও তার সাথে অন্য কোনও পর পুরুষ থাকুক, সেটা সে সহ্য করতে পারে না। এই ভাবে তার স্বামী কেও বঞ্চিত করেছে।

আজ দুই বোনের জন্মদিন।
কিন্তু আজকের দিনে এই অপরিচিত লোক কে থাকতে দেওয়া যাবে না।

প্রাক্তন স্বামী ওদের ঘরে কিছুটা জোর করেই ঢোকে ইতিমধ্যে। আর দেখে, পরপুরুষ লোকটি খুন হয়েছে।
কে করলো খুন ?
বডি লোকাতে এত তাড়াহুড়ো কেন করছে প্রাক্তন স্বামী ? পুলিশ কে জানাতে চায় না কেন ?
পাশের বিল্ডিঙে থাকা একজন নিউজ রিপোর্টার এর চোখে কি করে সেই খুন ধরা পড়ল ?
খুনের সময় যমজ বোনটি এখানে ছিল। তাহলে পালাল কি করে ?

দারুণ গল্পের শুরুর অংশটা জাস্ট বললাম সরল ভাবে। জটিলতা তো এর পর থেকে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করবে। উহু মাথা খাটানোর দরকার নেই। যেটা দরকার সেটা হোল, একবার অন্তত এই ফিল্মটা দেখা।
ফিল্মটা দেখার সময় হিচককের “ সাইকো “ ফিল্মটা মনে পরে যাওয়ার মতই। আমি বলবো ব্যাক্তিগত ভাবে, “ সাইকো “ পরের ভয়াবহ ফিল্ম আমার মতে এটা। ততটা না হলেও, অনেকটাই।

১৯৭২ সালে তৈরি এই ফিল্মের কাহিনী যতটা শক্তিশালী, তার থেকেই জোরালো হোল প্রত্যেকের অভিনয়। একি শরীরে কখনও আসে সরলতা, কখনও কাঠিন্য, কখনও ক্রোধ আবার কখনও কাম।
ছোট্ট একটা প্লট কে ভিত্তি করে কতটা নিখুঁত পরিবেশনা করা যায়, এই ফিল্ম তারমধ্যে একটা।
সময়ের বিচারে শব্দ পরিচালনা, কালার টোন এসব নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা আমার নেই। আজকের দিনে এই গল্প নতুন করে পরিবেশন করা যায়, অত্যন্ত সহজ হবে সমস্ত কিছু। কিন্তু সে দিনের অভিনয় সেদিনেই রয়ে যাবে। সেই লেভেলের অভিনয়ের বড়ই অভাব বোধ করছি।

এবারে আসি সিনেমার একটা কি এলিমেন্ত নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
সিনেমার মেয়ে চরিত্রটি যমজ।
যমজ শব্দটা ভাবলে যে ছবি চোখে ভাসে, এটা তার থেকে আলাদা।
কনজয়েন্দ টুইন্স, অর্থাৎ জন্মগত ভাবে যাদের দুটি শরীর একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে। কারোর মাথার অংশ যুক্ত , কারোর ইউটেরাস, কারোর বা পশ্চাৎ অংশ। শরীর দুটি হলেও, একে অপরের সাথে যেহেতু এরা যুক্ত শারীরিক ভাবে, সেক্ষেত্রে একজনের চাহিদা অন্যের কাছে বিরক্তিকর হতেও পারে।
বাতিক্রমি একটি ঘটনার ওপর বেস করে আজকের রহস্যে ভরা ক্রাইম রিলেটেড সিনেমা। শুধু কি ক্রাইম ? নাকি...
ব্যাস, এখানেই থেকে যাই। বাকিটা পাঠক বন্ধুদের জন্য বাকি রাখলাম।




 

Comments