Books of Blood ( 2020 )
প্রেক্ষাপট – ভৌতিক, ভয়, রহস্য
আই এম ডি বি – ৫.৬ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৬.৫ / ১০
ল্যাঙ্গুয়েজ – ইংরেজি
জাম্পস্কেয়ার দেখে ভয়
পেতে যদি চাও , তাহলে নিঃসন্দেহে এই ফিল্মটা তোমার জন্য নয়। ভয় কে ভয়ের
থেকেও গভীর ভাবে যদি অনুভব করতে চাও, যদি ভয়ের সাথে শিহরন কে অন্য ভাবে পেতে চাও, থ্রিল পেতে
চাও... তাহলে ফিল্মটা
একবার দেখা চলে। আমার কিন্তু বেশ লেগেছে ফিল্মে থাকা তিনটি গল্প, আর গল্পের
ভেতর আর একটা ছোট্ট গল্প ফুটতে দেখে।
প্রথম গল্প –
জিনা
বাবা হারা মেয়ে, জিনা
মানসিক ভাবে অসুস্থ।
নিজের ঘরে অসুখী হওয়ার জন্য, এক
রাতে পালিয়ে যায় অন্য কোথাও। পাশেই একটা শহরে, একটা
ঘর পেয়ে যায় রাত কাটানোর জন্য। আসলেই ওটা পেয়িং গেস্ট এর মত ব্যপার, যেখানে
মেয়েটির সাথে পরিচয় হয় একটি ছেলের, সেও
তার মতই ওখানে থাকতে আসে। প্রথম রাত অদ্ভুত ভাবে কাটলেও, সকালে
উঠে অনুভব করে সেটা স্বপ্ন।
আরও কিছু দিন সেই ঘরে নিজে থেকেই থাকতে চায়।
তবে সেই রাতে কাঠের সেই রুমে অদ্ভুত কিছু দেখতে শুরু
করে। দেওয়ালের ওপারে কে নিঃশ্বাস নেয় ?
দেওয়ালে হাত দিতেই একটা জায়গা খুলে বেড়িয়ে এসেছে, ভেতরে
আলো দিয়ে দেখা গেল, স্যালাইনের মত কি একটা ঝুলছে, এটাও
কি সম্ভব ? মাথা কাজ করছে না। এদিকে সেই ছেলেটি যার সাথে
গত রাতে দেখে হোল, আজ কই গেলো ?
মেসেজ করলে সাথে সাথে রিপ্লাই পাছে জিনা, অথচ
সেই নিজে কোথায় ?
গণ্ডগোলটা কি বাড়ির মধ্যেই আছে ? নাকি
কোনও ভাবে কিছু লুকানো হছে ?
গল্পের শেষটা কিন্তু প্রচণ্ড শিরশিরে অনুভুতি
দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে, যেটা দর্শক দারুণ উপভোগ করবে বলে আমার
ধারনা।
দ্বিতীয় গল্প –
মাইলস
ছোট্ট ছেলেটির নাম, মাইলস।
মারা গেছে মাস খানেক হোল। তার মা তাকে মিস করে, কষ্ট
পায়, কিন্তু তার সঙ্গে থাকা তার বালক বন্ধু সেই কষ্ট
যতটা সম্ভব লাঘব করে। সে আসলেই মৃত ব্যাক্তির সাথে কথা বলতে পারে। সেই সুত্রে
মহিলার সাথে ছেলেটির পরিচয়। বৈজ্ঞানিক দিক থেকে ছেলেটিকে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা
করার পর, বিভিন্ন বিনিয়োগকারীরা তার পেছনে টাকা ঢালতে
থাকে। লোকটির এই প্রতিভা সব্বাই চাক্ষুষ দেখতে আসে, সপ্তাহের
কোনও একটা দিনে, তাদেরই বাড়িতে। এই ভাবে ছেলে আর
মেয়রটির সংসার চলে যায়। কিন্তু একদিন, সম্পূর্ণ
উলটো একটা ঘটনা ঘটে। মাইলস সত্যি আসে তো ? নাকি
সমস্তটাই বুজরুকি ? মা হয়েও এমনটা কি আদেও কাম্য ?
রহস্যের পর্দা উন্মোচন হবে সেইরাতেই...
তৃতীয় গল্প –
বেন্নেট
বেন্নেট একটি লোকের নাম। পরিত্যাক্ত ও অভিশপ্ত
একটি জায়গায় যাবে একটি বহুমূল্য দামি বই খুঁজতে যাবে, যার
নাম ফিল্মের টাইটেল, “ বুকস অফ ব্লাড “। যাওয়ার সাথে সাথেই তার সঙ্গী নিজেকে
নিজেই গুলি মেরে সুইসাইড করে।
একা এই বই এর খোঁজে শেষমেশ একটা ঘরে পৌছায়, যেখানে
সে “ বুকস অফ ব্লাড “ পায়।
কিন্তু যেমনটা বই হিসেবে আসা করেছিল, এটা
অন্য, অনন্য। এটা কি করে সে নিয়ে যাবে ? বুকস
অফ ব্লাড আসলে কি ?
কাহিনীর পরবর্তী অংশ প্রথম দুটি কাহিনীর সাথে
সংঘর্ষে লিপ্ত হবে। কীভাবে হবে সেটাই একটা বিশেষ চমক আর দারুণ। আর
একটা কথা বলবো ? শুরু গল্পে জিনা ঠিক যে কারণে অঘটন
ঘটিয়ে ফেলবে, শেষে এসে... আর
বলা যাবে না। সিনেমার শেষাংশে সেটা স্পষ্টও। আর ওর মানসিক রোগের কারণটাও দেখানো
হবে, যেটা অত্যন্তই মর্মান্তিক।
সত্যি বলতে, আমার
কিন্তু প্রথম দুটো গল্প বেশী ভাল লেগেছে। বাকিটা গল্পের শেষাংশটা দারুণ ভাবে
সমাপ্ত করার জন্য। এমন গল্পের প্লট এর আগে অল্প বেশী দেখেছি, তাই
আলাদা ভাবে আমার মনে দাগ কাটেনি। তবে এই বইয়ে প্রত্যেকের স্ক্রিন আপিয়ারেন্স বেশ
বেশ বেশ। শব্দ পরিকল্পনায় ভাল কাজ হয়েছে। মোটের ওপর ফিল্মটা কিন্তু না দেখা মানেই
মিস হবে কিছু।
( শুধু একটাই কথা বলবো, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স , অ্যামাজন প্রাইম এ একটু কষ্ট করে খুঁজে দেখো। না পেলে অন্য পথ ধরে খুঁজতে হবে, যেটা সবার সামনে বলা মানা আছে। বাকিটা যারা বোঝার বুঝে নিয়েছে আশা রাখছি। কেও কমেন্ট করে লিঙ্ক চাইবে না, আবারও বলছি, আমার খুব খারাপ লাগে কমেন্ট করতে না পেরে। )
ভাল থাকবে সব্বাই।
Comments
Post a Comment