দ্যা ক্যাট ( ২০১১ )
প্রেক্ষাপট – হরর
আই এম ডি বি – ৫.৮ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৬.৫ / ১০
ল্যাঙ্গুয়েজ – কোরিয়ান ( ইংরেজি সাবটাইটেল )
মিউ, মিউ ,মিউ...
এই সিনেমার নাম শুনলে এই আওয়াজটাই মনে পড়ে তাই না ?
আজকের সিনেমাকে হরর শুধু না বলে স্যাড হরর বলা যায়, কারন... পরে আসছি সেটা নিয়ে।
গল্পতে একটু মিউ মিউ করে ফেলি আগে।
যুবতী একটি মেয়েকে প্রথমে স্ক্রিনে দেখতে পাই, যে অ্যানিম্যাল লাভার। একটি পেট শপে
কাজ করে। মোটামুটি সব ধরণের প্রাণী ওখানে থাকলেও, বিড়ালটা একটু বেশী।
কোনও প্রাণীর যেকোনো রকম সমস্যার দেখভাল ছাড়াও স্নান, ওয়াশ বা গায়ে নতুন রঙ সমস্ত
কিছুই করা হয়, যদিও ব্যাপারটা ক্ষতিকর।
রিসেন্টলি একটা অঘটন ঘটে।
মালকিন গোছের একটি মহিলা তার বিড়ালের মুখে দুটি পিঙ্ক দাগ করে দিতে বলে, যাতে তাকে
ভাল লাগে। যেদিন বিড়ালটি ঐ শপ থেকে নিয়ে চলে যায়, নিজের এপার্টমেন্ট ঢোকার সময় তার
মৃত্যু হয় লিফটের ভেতরেই। পুলিশ তদন্তে নামেলেও ফুটেজ দেখে কিছু বুঝতে পারেনি।
ওদিকে ঐ বেড়ালটাকে মেয়েটির কাছে আপাতত রাখা হয়।
এই ভাবে হঠাৎ আরও একজন মারা যায়। ছেলেটিও কিন্তু অ্যানিম্যাল লাভার ছিল। কুকুর
বেড়াল বিক্রি করত শুধু। আর যারা বাঁচত না, তাদের বয়লার রুমে গিয়ে পুড়িয়ে দিত। এই
বয়লার রুমেই ছেলেটার বীভৎস মৃত্যু হয়। কিন্তু কেন ?
দুটো মৃত্যুর সাথে কোনও রকম যোগ সাদৃশ্য আছে কি ? পুলিশ সেটা খুঁজলেও বুঝতে
পারেনি। একটা কমন ব্যাপার মেয়েটি খেয়াল করেছে, দুজনের মৃত্যুই চারদেওয়াল বন্ধ,এমন
জায়গায় হয়েছে। যেখানে ঠিক করে বাতাস চলাচল বন্ধ, এমন জায়গায় মৃত্যুর কারন কি ?
ঘটনা চলতে চলতে পেট শপের মালিক টাও মারা যায়, এবার চার দেওয়ালের মধ্যে। নিজের
দোকানেই। কিন্তু কেন ?
এদিকে যুবতী মেয়েটি আর একটি ছোট্ট মেয়েকে হঠাৎ করে দেখতে শুরু করে, যার চোখের মনি
একদম বেড়ালের মত। মতিগতি দেখে বোঝাই যাছে, এই ছোট্ট মেয়েটি স্বাভাবিক নয়। বড়সড়
একটা কানেকশন আছে এই সব ঘটনার সাথে।
কিন্তু ছোট্ট মেয়েটির কি পরের শিকার পেট শপের এই যুবতী ?
কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ?
কিসের প্রতিশোধ ? বন্ধ ঘরেই কেন ?
ঐ বয়স্কা মহিলাটি কে, যে বার বার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। আর যুবতী মেয়েটির সাথে দেখা
হয়ে গেলে, তাকে পুলিশ স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে আসে। কোনও সম্পর্ক নেই তো বর্তমান
পরিস্থিতির সাথে ?
সমস্ত রহস্য কোথায় শুরু ? আর শেষ বা কোথায় ?
বেশ দারুণ একটা চাপা টেনশন, উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে গল্প শেষ হবে। তবে শেষটা বড়ই
বেদনাদায়ক। প্রকৃত যারা অ্যানিম্যাল লাভার, তাদের চোখ একটু হলেও ভেজা ভেজা লাগতে
পারে,কিছু দৃশ্য দেখে।
মিলানো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অ্যাওয়ার্ডস ২০১২ এ নমিনেশন পাওয়া এই
সিনেমা, যেমন বুনন তেমনই কন্টেন্ট। গল্পের সাবজেক্ট ম্যাটার বেশ যথাযথ, এমন টপিকে
আরও সিনেমা করা উচিত বলে আমার মনে হয়।
সিনেমা শুরু থেকেই অল্প অল্প জাম্প স্ক্যারি দৃশ্য, লোম খাঁড়া করে দেবে। প্রতিটা
দৃশ্যে কালারটোন খুব ভয়াবহ মানাসয়ি। “এই আছি এই নেই “ ভয়ের
এই সাঙ্ঘাতিক কৌশলটা আর একটা ধাপ এগিয়ে নিয়েছে এই সিনেমা। তবে একটা কথা ঠিক,
প্রতিটি মুহূর্তে বেশ শিরশির করবে সারা শরীর। ভয় পাওয়া কন্টেন্ট খুব কম, কিন্তু
তাই বলে চা এ লিকার কিন্তু ভালই কড়া।
মিউ লাভারদের জন্য বলি, দেখো সিনেমাটা। ভাল না লাগলে, বলও আমায় কমেন্টে।
Comments
Post a Comment