টেল মি সামথিং - ( ১৯৯৯ ) মুভি রিভিউ

 

মুভি রিভিউ

টেল মি সামথিং  - ( ১৯৯৯ )
জেনার – রহস্য, ভয়, খুন, নৃশংস

imdb : ৬.৫
সাবটাইটেল -  ইংলিশ




( সতর্কীকরণ – দুর্বল হৃদয়ের জন্য এই ফিল্ম নয়, আর আমি ধরেই নেব যারা দেখবে তারা মূলত ১৮+ বয়সের )

সিনেমা শুরু হতে না হতেই একটি দৃশ্য, যেখানে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে শুইয়ে রাখা হয়েছে অজ্ঞান করে। হাত, পা কেটে আলাদা করা হছে নিপুণ দক্ষতা সহকারে, সেটাও জীবিত অবস্থায়, সেই সিনেমা কতটা নৃশংস হতে পারে, সেটা ভাবলেই কেমন লাগে, তাই না ?
আজ থেকে প্রায় বছর কুড়ি আগের এই ফিল্ম, কোরিয়া তে ভয়ঙ্কর ভাবে সারা ফেলে দিয়েছিল। ২০০১ সালে নিউ ইয়র্ক এর কোরিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালে নির্বাচিত হয়।

কাহিনীর প্লটটা কিছুটা এরকম।

একজন ক্ষুরধার ডিটেকটিভ কাজে যোগ দেবে, তার মায়ের মৃত্যুর পর।মায়ের মেডিকেল বিল এর ব্যাপারে টাকা তছরুপে অভিযুক্ত সেই ডিটেকটিভ মন মেজাজ ঠিক করে ডিপার্টমেন্ট এর সাথে একটি চুক্তির বিনিময়ে তদন্তে নামবে।

একটু ছোট ছিচকে চোরের মৃত্যুর তদন্ত হবে তার কামব্যাক মিশন।
কিন্তু এদিকে শহরে একটি স্থান থেকে প্যাকেট অবস্থায় কেটে ফেলা হাত, মুণ্ড, পা পাওয়া যাবে।
কাহিনী ভয়ঙ্কর তখন হবে, যখন ফরেন্সিক রিপোর্ট বলবে, দেহের এই খণ্ড অংশ গুলো একে ওপরের নয়।
তারমানে খুন একটা বডির হয়নি, হয়েছে একাধিক।
বিভিন্ন পাবলিক প্লেস যেমন, লিফট অথবা রাস্তার মাঝে এইসব অংশ গুলো ফেলে চলে যাবে খুনি । কিন্তু মোটিভ কি ?
বডির সব পার্ট থাকলেও, হৃদয় টা কথায় ? সেটা খুনি ফেলে দিছে না কেন ?

কাহিনীতে এই মুহূর্তে এসে পড়ে একটি মেয়ে। যার সাথে ডিটেকটিভের আগে পরিচয় ছিল, সেটাও কিছুটা প্রেম মূলক।
সমস্যা হল, যারা মারা যায় তাদের তিন জনকেই এই মেয়েটি চিনত। পরবর্তী ভিকটিম এই মেয়েটি নয়তো ?
তাই নজরে রাখা হয়, এবং এক পর্যায়ে ডিটেকটিভ নিজের ঘরেই তাকে থাকতে বলে।

এদিকে কাটা মুণ্ডু পাওয়া বন্ধ হয়না। এই কেসটাতে লিডের বড্ড অভাব, যাকে সামনে রেখে এগোনো যেতে পারে।
কোনরকমে এটুকু বুঝতে পারে, যার কাছে এই খণ্ডিত জিনিস গুলো আসছে, পরবর্তী নিশানা সেই। এই ব্যাপারটা বুঝতে বুঝতেই কয়েকটা খুন হয়েই গেল।
ডিপার্টমেন্ট এর চাপে পরেও যখন কিছু হছে না, তখন ডিটেকটিভ নিজে বেরোল একাকী তদন্তে। কি হল তারপর ?


তার প্রাক্তন প্রেমিকা একজন বিখ্যাত পেইন্টার এর মেয়ে।
সেই পেইন্টার এর ব্যবহার করা প্লাস্টিক পাওয়া যায় মৃত দেহের সাথে, তারমানে সেই পেইন্টার অর্থাৎ তার বাবা কোনও না কোনও ভাবে জড়িত ? নাকি সেই আসল খুনি ?

এদিকে বাবার নাম শুনে মেয়েটির ছোটবেলার দুঃস্বপ্ন তারা করে বেড়াতে থাকে। বাবার সাথে সম্পর্ক আসলে কেমন ছিল তার ?
এই সমস্ত খুন আসলে করছে কে ? কেন ? কিসের প্রতিশোধে এত নৃশংস আচরণ, শরীরের ওপর ?
ডিটেকটিভের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেই ঘর খুঁজে পায়, যেখানে দেহ গুলো নিয়ে কাটা ছেড়া করে খেলা হয়, এবং সাথে সাথেই সে মৃত্যুর দেশে পারি দেয়, খুনির নৃশংসতায়। কে সে ? মরে যাবার আগে কোনভাবে সে কি কোনও রকম ক্লু রাখতে পারে ? 

ছিচকে চোর টার মৃত্যু কোনভাবে কি এর সাথে যুক্ত ?
এও কিছু ডামাডোলের আসল সমাধান কোথায় ?


যারা সাউথ সিনেমা নিয়ে মাতামাতি করে ( আমি নিজেও ) , তাদের জন্য এটা একটা দারুণ সুযোগ মাথা খাটিয়ে নেবার। কাহিনীর আদ্য প্রান্ত টানটান উত্তেজনা ধরে রেখেছেন গল্পকার। চেসিং এর কিছু দৃশ্য বেশ লাগবে, যেখানে খুনি আর ডিটেকটিভ থাকবে মুখোমুখি, কিন্তু অপরিচিত ভাবে।

সিনেমার একটা জায়গায় আমার আপত্তি।
কিছু স্থানে আসলে ব্যাপার গুলো স্পষ্ট করে বলা হয়নি। শেষে কাহিনীর মোচড় তো থাকবেই, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক গুলো কেন এর উত্তর আমি পায়নি।
কিছুটা হলেও, ব্যাপারটা অসম্পূর্ণ লাগলো আমার মতে।

নয়তো সিনেমাটা কিন্তু দারুণ বলা চলে।




Comments

  1. Ha Amaro mone holo kemon khapchara. Khuni r Baba kothay gelo? Ghore r body parts gulo Kar Kar khun kore assemble kora ? Kintu khub nrisongso...emni te bhaloi

    ReplyDelete
    Replies
    1. সত্যি তাই। খিদে রয়ে গেলেও, অনেক কিছু বেশ এঞ্জয় করা গেছে।

      Delete

Post a Comment