কামিং সুন ( ২০০৮ ) - মুভি রিভিউ

প্লট – ভয় , রহস্য
imdb : ৬.১  
সাবটাইটেল -  ইংলিশ










আমি খুব নিশ্চিত, এই মুহূর্তে যেসব পাঠক / পাঠিকা লেখাটি পড়ছে, তাদের মধ্যে অনেকেই সিনেমা হলে বসে ভূতের সিনেমা দেখার মজাটা মিস করছে।
বড় স্ক্রিনে হঠাৎ ভূত এসে ধাক্কা মারে, বন্ধ দরজার ত্রিকোন থেকে বেড়িয়ে আসে চুল, ছাদে কেও না থাকা সত্ত্বেও কারোর হেটে যাবার শব্দ, সারা শরীর শিউরে ওঠে সাউন্ড এফেক্ট এর তকমায়। তাহলে আমি বলবো, আজকের রিভিউ কিন্তু সিনেমা হল এ মুভি দেখার বিষয়ের ওপর আলোচিত হতে চলেছে, কারণ এই মুভি টি মূলত সিনেমা হল কেন্দ্রিক।
 
সিনেমা টা নিয়ে একটু বলি।
দুই বন্ধু একটি সিনেমা হলে কাজ করে।
কোন কোন সিনেমা রিলিস হবার আগেই, নিজেরা চালিয়ে দেখে নেয়, আর সাথে রেকর্ড করে একটা হ্যান্ডিক্যামে, এবং চড়া দামে কোন এক বড়লোকের ছেলেকে বেচে দেয়।
এবারের সিনেমা ছিল, “ প্রতিশোধের খোঁজে আত্মা “
সেই সিনেমার কাহিনী কিছুটা এরকম।

ডাইনি অপবাদে কোনও এক মহিলা গ্রাম ছাড়া হয়। তাকে দেখতে যেমন কদাকার, তেমনি ভয়ঙ্কর তার মুখ। হঠাৎ করে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হতে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেই মহিলা তাদের আঁটকে রেখেছে। শুধু তাই না, ছেলে মেয়ে গুলোকে নিজের মনে করে, তাদের চোখের কোটর থেকে অক্ষিবল দুটো খুবলে ফেলে রেখেছে, তারা যাতে আর কোথায় যেতে না পারে।
গ্রামের লোক দলবল নিয়ে আসে, এসে এরকম বীভৎস দৃশ্য দেখে, ডাইনি টাকে মারে। তারপর দড়িতে সাথে সাথে ঝুলিয়েই মেরে ফেলে।
মৃত্যুর পর সেই ডাইনি শুরু করে প্রতিশোধের নারকীয় খেলা।


এক বন্ধু এই সিনেমা রেকর্ড করে। কিন্তু তার পর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আর এক বন্ধু, রাতে হলে আসে, দেখে হলে তার বন্ধু নেই, কিন্তু হ্যান্ডিক্যাম টি পড়ে আছে। সেই হ্যান্ডিক্যামে সে অদ্ভুত কিছু ফুটেজ পায়।
বন্ধুর খোঁজে তার বাড়ি যায়, কিন্তু সেখানেও সে নেই, কিন্তু এমন কিছু ছিল যেটা তার ভাবনার বাইরে।
পরদিন আবার গভীর রাতে সে যায় সিনেমা হলে। সেখানে ফোন করে বুঝতে পারে ফোন টা বাজছে একদম হলের ভেতর থেকেই।
হলে ঢোকামাত্র স্ক্রীন প্লে হতে শুরু করে।
সেই দৃশ্য দেখানো হছে, যেখানে ঝুলে মরছে ডাইনি।

এদিকে বন্ধুর ফোন বেজেই যাছে। কিন্তু হঠাৎ এবারে সেটা হলের সাউন্ড সিস্টেম থেকে জোরে জোরে সোনা যেতে থাকে। অবাক হয়ে যেই স্ক্রিনের দিকে ঘোরে বন্ধুটি, দেখে তার ঐ এক বন্ধু মরে পড়ে আছে, কিন্তু সেটা সিনেমার একটি অংশে। স্ক্রিনের ভেতরে ঢুকল কি করে সে ?
এরকম তো হবার কথা না। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে এটাই।

সিনেমার কাহিনী তার রঙ দেখানো শুরু করে।

বন্ধুরা, শাটার ফিল্ম টা মনে আছে তো ? সেই শেষের চমক টা ?  এই ফিল্মে ৩৩ মিনিটের মাথায় আর একবার সেটা মনে করিয়ে দেবে আমাদের ( কারণ প্রডিউসার তো সেই একই ব্যাক্তি )

এদিকে বন্ধুটা নিজেও দেখতে শুরু করে সেই ডাইনি কে, বাস্তবে। শুধু সে নয়, তার স্ত্রীও।
কৌতূহল বশত,তারা জানতে পারে আসলে এই কাহিনী টি সত্যি।কোনও এক গ্রামে সত্যি ঘটেছে এই নির্মম কাণ্ড।
তারমানে সেই ডাইনি এখনও আছে ? জীবিত না মৃত ?
ডাইনি রা তো মরে না, তাহলে সত্যি কি তার প্রতিশোধ নিছে ?

কিন্তু এরা কি দোষ করলো ? এরা তো থাকে শহরে । তাহলে ? আসলে কি ঘটেছে ?

দমবন্ধ করা কিছু সিন, হৃদ স্পন্দন  উথাল পাথাল করবে। কাহিনীর মোচড় বেশ কিছু জায়গায় যথাযত, যা দর্শকের তেষ্টা আবারও বাড়াবে। শেষ ৬ টা মিনিট খুব সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে। আর হ্যাঁ, ক্লাইম্যাক্স দেখে দর্শকের তেষ্টা আশা করছি পুরো মিটে যাবে, মনে মনে এটাই ভাববে ,নাহ সিনেমা ঘরেই দেখবো, আর হলে গিয়ে কাজ নেই।

কেন বললাম এই কথা ?
তার জন্য দেখে ফেলো এই ফিল্ম।
 
ইউটিউব লিঙ্ক দেওয়া রইল -
https://www.youtube.com/watch?v=ue9W0l_LzQc  

Comments