ফেব্রুয়ারি ২৯ ( ২০০৬ )
প্রেক্ষাপট - ভয়, রহস্য,থ্রিলার
আই এম ডি বি – ৫.৭ / ১০
পার্সোনাল রেটিং – ৫.৫ / ১০
সাবটাইটেল - ইংরেজি
অরিজিনাল ল্যাঙ্গুয়েজ – কোরিয়ান
বড্ড গন্ডগোল তারিখ বাপু। দেখলেই একটা কথা মনে হয়, এক বছরে না, চার বছরে আসে একবার। কারোর যদি সেদিন জন্ম হয়, তাহলে তো… সেইদিনে যদি এমন নৃশংস ঘটনা ঘটে থাকে, যেটা চার বছরে একবার করে… থাক সে কথা, কাহিনীর গল্পে একটু নজর রাখি।
অভিশপ্ত ছায়াতে চলতে থাকে একটি টোল,যেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্যাক্স কাটা হয়, রসিদ দিয়ে ।
অনেক বছর আগে একটা ভয়ংকর বাস দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু মানুষ জ্বলতে থাকা বাসে মারা যায়। ঘটনার পরে একটা মহিলার বডি খুজে পাওয়া যায়নি, আজ পর্যন্ত। ঘটনাটি এই নিখুঁত দিনেই ঘটে, আর প্রতি চার বছরের মাথায় এই দিনে টোল এ থাকা কোনও একজন কর্মচারী, নৃশংস ভাবে মারা যায়, কোনো কারণ ছাড়াই। এটা ঘটে আসছে বছরের পর বছর, এভাবেই।
এই ঘটনা একজন কর্মচারীর চোখের সামনেই ঘটে, ফিল্মের শুরুতে আমরা যাকে দেখতে পাই।
ঘটনার শিকার হওয়া সত্ত্বেও, কোনো ভাবে সে বেচে আছে, একটা মেন্টাল আসাইলামে। গলায় গভীর একটু ক্ষত চিহ্ন অর্ধবৃত্তাকার ভাবে বসে রয়েছে।
একজন নিউজ পেপার সম্পাদক ভয়ানক গল্পের খোঁজে সেই মহিলার এই গল্প শুনতে আগ্রহী হয়। তারপর ? আসলেই কি ঘটেছিল ওনার সাথে যে উনি বেছে গেলেন ?
মহিলার ঘটনা আর অতীতের ঘটনার মধ্যে কি কোনও সাদৃশ্য আছে ?
কথায় কথায় বেড়িয়ে এলো যে, অশরীরী সেই নিখোঁজ মহিলা এই কর্মচারীটিকে আজও জ্বালাতন করে, কিন্তু কেন ? আসল কারন ঠিক কি ?
কাহিনীতে এন্ট্রি হয় দুইজন ডিটেকটিভ এর, যারা প্রতিটা খুনের শেষে সেই মহিলার কাছেই যেতে বাধ্য হয়।
ঘটনার সময় টোল এর আলো বন্ধ হয়ে যায়। ইনভেস্টিগেশনে জানা যায়, টোল এর আলো কখনই বন্ধ হয়নি। স্বাভাবিক ভাবে সন্দেহের তীর ছুটে যায় এই কর্মচারীর দিকে।
কিন্তু আসল খুনি কে ? বছরের পর বছর এভাবেই কি চলতে থাকবে ? নাকি গল্পের মোড় কোনও জায়গায় পাল্টে গেছে, আর সেটা ধরা সম্ভব হোল না আমার পাঠক বন্ধুদের জন্য ?
ঝকঝকে চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে দারুন একটি সিনেমা আমাদের উপহার দিয়েছেন। সামান্য একটা গল্পকে নিজস্ব রূপ, বর্ণনা আর উপলব্ধির মাধ্যমে জীবন্ত করে তুলেছেন, নতুন ভাবনার মধ্য দিয়ে।
শব্দ পরিচালনা আলাদা ভাবে নজরে আসে। জাম্প স্কেয়ার বেশ ভালো ভাবেই উপভোগ্য।
রাত্রি কালীন কিছু দৃশ্য আরো ভালো করে করা যেতে পারতো, কারণ সেই দৃশ্য গুলোই আসল ভ্যালু রাখে।
বিশেষ করে একটা জায়গা মলতেই হয়, একটা গল্প কে এতটা টেনে বড় করা যথেষ্ট ঘাম ঝরানো ব্যাপার। দর্শক যাতে বোর ফিল না করে সেই দিকে ভাবনা রাখাটাই কিন্তু আসল ব্যাপার। সেক্ষেত্রে আমি বলবো, একদম ঠিকঠাক। কোথাও একটুও বোর অনুভব হয়নি।
ভাল থাকবে সব্বাই।
Comments
Post a Comment