দা ডল মাস্টার ( ২০০৪ )
প্রেক্ষাপট - ভয়,
রহস্য,থ্রিলার
পার্সোনাল রেটিং – ৬.২ / ১০
সাবটাইটেল - ইংরেজি
অরিজিনাল ল্যাঙ্গুয়েজ – কোরিয়ান
ছোটো বেলার স্মৃতি হিসেবে কমবেশি সবার, বিশেষত মেয়েদের
ক্ষেত্রে পুতুল খেলা দারুন একটা ব্যাপার ছিল। তার মধ্যে হয়তো কোন একটা পুতুল বেস্ট
থাকতো, যেটা সবার থেকে বেশি প্রিয়।
খাওয়া বা স্নান করা বা ঘুমানো সবই তারসাথে চলতো। স্পেশাল ব্যাপার
হলো, পছন্দের পুতুলটাকে কেও কেও নাম দিয়ে দিত, আর সেই নামে তাকে বারবার ডাকতো।
সবই তো ঠিক আছে, কিন্তু সেই পুতুলটা কি সত্যিই শুধু
একটা জড় বস্তু ? তার মধ্যে কি কোনো অনুভূতি সত্যি নেই ?
আজকের সিনেমা রিভিউ এমন একটা ফিল্ম নিয়ে, যেটা ছোটবেলার স্মৃতিতে
নিয়ে তো যাবেই, সঙ্গে নিয়ে আসবে আগামী কালের জন্য না বলা
ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ।
এতটুকু পড়ে অনেকেই মাথা খাটাতে শুরু করবে যে আসল গল্প কি, তাদের
জন্য বলি, থেমে যাও। বেকার ভাবতে যেওনা, আমি এখনও কিছু শুরু করিনি।
গল্পের শুরু একজন প্রেমিক ও প্রেমিকা কে নিয়ে। তারা একসাথে জীবনযাপন করতে
থাকে। ভালোবাসার বশবর্তী হয়ে প্রেমিকটি তার প্রেমিকার মত একটা নিখুঁত পুতুল বানায়
যাকে হুবহু তার মত দেখতে, এবং তাকে গিফট করে। সেই
পুতুল তাদের ঘরেই রয়ে গেল। কিন্তু কে জানত সেই পুতুলের মধ্যেও অনুভূতি ছিল,
যে ওই ছেলেটিকে ভালোবাসতো ঠিক মেয়েটার মত। কিন্তু প্রকাশ করার কোনো
উপায় খুঁজে পায়নি।
একদিন হঠাৎ করে মারা গেলো ওই প্রেমিকা, গলায়
দড়ি দিয়ে। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব ? তাদের মধ্যে তো সমস্ত
কিছুই ঠিক ছিল তাহলে ?
গ্রামের সব্বাই ছেলেটাকে সন্দেহ করলো, এবং তাকে পিটিয়ে মেরে
ফেললো। তারপর ?
পুতুলটার চোখের সামনে সমস্ত ঘটনাই ঘটলো, নিজের
চোখে সবই দেখল, কিন্তু ? খুনি কে ?
আসলেই কি ঘটেছে ? পুতুলটা কি নিজের ভালোবাসা
পাবে না ?
বন্ধুরা, এখনও বলছি, মাথা খাটিয়ে কিছু লাভ
নেই। কারণ কাহিনী এখনও আমি শুরুই করিনি। এটা শুধু মাত্র একটা ছোট্ট অংশ মাত্র।
ঘটনার ৬০ বছর পর, কাহিনী নতুন ভাবে শুরু হবে।
একটা বড় কটেজ এ থাকেন এক ভাই এক বোন। বোনটি নিজে হাতে পুতুল
বানায়।
আগমন হয় ৫জন আগন্তুকের, ফটোশুটের জন্য। এই পাঁচজনের কেও আছে মডেল, কেউ বা
ফটো তুলতে পারে।
আমন্ত্রণ জানানোর আসল কারন কি সত্যিই ফটোশুট ? ওই
ঘরে এতো গুলো পুতুল এরকম অদ্ভুত ভাবে রয়েছে কেন ?
ঘটনা এবার অশরীরী আবহাওয়াতে মোড়
নিল। আসতে আসতে খুন হতে থাকলো আগন্তুকের দল থেকে একজন একজন করে।
কিন্তু কেন ? কে খুন করছে ?
এবার গুলিয়ে যাচ্ছে তো ?
আগের গল্পের সাথে কোনও মিল পাওয়া যাছে না তাই না ?
আছে আছে, যোগসূত্র আছে।
দেখে ফেলো ফিল্মটা।
১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের এই ফিল্ম বেশ ভালো
ভাবেই তৈরি হয়েছে কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রি তে।
ভালোলাগার বিষয় হলো, গল্পের প্লটের ওপর জোর
দেওয়া। খুব সুন্দর ভাবে গল্প লিখন ও সঙ্গে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ গড়ে তোলা,
দর্শককে মাঝে মধ্যেই দীর্ঘশ্বাসের মাঝে ব্যাঘাত ঘটিয়ে দেবে। এক
ঘন্টা কেটে গেলেও, মাথা চুলকাতে হবে, কে
কোথায় কি করে , লিংক কি এসব ভেবে। চাপা একটা টেনশন কাজ করবে,
আসলেই কি ঘটছে সেটা জানার আগ্রহে।
কাহিনী যেই প্রান্তে আসবে, সল্যুশন চলে আসবে চোখের
সামনে।
ভালোলাগার আর একটা বিষয়, গল্পে বেশ সাঙ্ঘাতিক
পরিমাণে ভয় আছে, কিন্তু শেষে এসে চোখে জল অনেকেরই চলে আসতে
পারে, মনে হতে পারে ছোটবেলায় এমন কাজ কণা করলেই কি হতো না ?
ইউটিউবএ ফিল্মটি আছে। লিঙ্ক আমি দিতে পারবো না কিছু কারণে। তবে একটাই কথা, শেষ ৯
মিনিট কিন্তু ওখানে মিসিং করে রেখেছে, কেন তা আমার জানা নেই।
ভাল থাকবে সব্বাই।
Comments
Post a Comment