দা স্ট্রেঞ্জ হাউস ( ২০১৫ ) - ফিল্মি রিভিউ

 

৫৫তম ফিল্মি রিভিউ -

প্রেক্ষাপটভয়, রহস্য,থ্রিলার  

আই এম ডি বি. / ১০

পার্সোনাল রেটিং. / ১০

সাবটাইটেলইংরেজি

অরিজিনাল ল্যাঙ্গুয়েজমান্দারিন ( চীনের প্রচলিত ভাষা )



 

আই এম ডি বি এর আর একটা ভুল রেটিং এর ফিল্ম রিভিউ নিয়ে কথা বলতে চলেছি। মূলত আমি রেটিং দেখে না, কন্টেন্ট তার উপস্থাপনা দেখেই নিজস্ব মতামত দিয়ে থাকি।

সিনেমা এমন হওয়া উচিত।

ঠিক এমন হওয়া উচিত যেটা শেষ হবার পর মাথার ক্যারা আরো বেড়ে যায়, মনে হয় যাহ এটা কি হলো ? এমন ভাবে তো ভেবে দেখিনি, এটা কি করে সম্ভব ?

হুম, আজকের সিনেমা রিভিউ তেমন একটা টানটান উত্তেজনা মূলক গল্প নিয়ে। অনেকদিন পর এমন একটা গল্প পেলাম, এক কথায় পুরো মা এর হাতের লুচি আর মটন কষা।

আহা, বলছি বলছি কাহিনীর সূত্র।তার আগে আমায় কিছু উত্তর দাও।

 

হঠাৎ তুমি যদি মনে করো তোমায় কেও ফলো করছে কিছু দিন ধরে। আচমকাই সে এসে যখন বলে, তোমাকে তার নিজের ভাইঝির মত দেখতে, অবাক হবে না ?

তারপর যদি বলে, তার ভাইঝি মারা গেছে। তোমাকে তার জায়গাটা নিতে হবে, কিছু দিনের জন্য, জাস্ট একটা অভিনয়, পরিবর্তে তুমি টাকাও পাবে অবশ্য। 

তুমি কি করবে ? অজানা অচেনা পরিবারে যাবে ? শুধু মাত্র টাকার জন্য

 

সিনেমার মুখ্য ভূমিকায় একজন মেয়ের কাছে এমন প্রস্তাব আসবে, আর সে শেষমেশ যাবে সেই পরিবারে, অভিনয় করতে।

অভিনয়ের কারণটা খুব সামান্য আপাত দৃষ্টিতে। সেক্ষেত্রে দর্শক আন্দাজ করতেই পারে অনেক কিছু তাতে আমি মানা করবো না। ভেতরে ভেতরে চাপা টেনশন তৈরি হবে, এমনই উপস্থাপনা।

ঠিক পরের দিন থেকেই মেয়েটির সাথে পাল্টে যায় ব্যবহার। ব্যাপারটা যথেষ্ট অদ্ভুত হলেও মেয়েটি মেনে নিয়েছিল, কারন টাকাটা তার সত্যি দরকার।

কিন্তু সেদিন যখন জানতে পারে, যার নামে অভিনয় করে চলেছে, তার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তখন ? একটু হলেও ভয় ঢুকে যায় মনের মধ্যে। এমনকি তার মা বাবা পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে মারা যায়নি।

শুধু তাই না, সেই মেয়ের  একটা ভাই পর্যন্ত ছিল।
সেটা পর্যন্ত এই মেয়েটিকে জানানো হয়নি। কিন্তু কেন ? এই লুকোচুরির পেছনে কোনো রহস্য আছে এটা আন্দাজ করাই যায়, কিন্তু আসল কিসসা কি ?

এটুকু বলেই থামছি। এর পর বললে, মৃত মেয়েটির আত্মা যেমন ওকে দেখা দিয়ে কিছু বলতে চাইছে, তেমনি আমাকেও দেখা দিতে পারে।

আর একটা আসল কথায় আসি ?

এটুকু পড়ে আমার পাঠক বন্ধুদের একটা চিন্তার একটা পথ আমি দেখিয়ে দিলাম। সব্বাই ঠিকই ভাববে।
আছা, আমায় কি এতটা বিশ্বাস করতেই হবে ? আমি যেমন ভাবে গল্পটা বললাম তেমন ভাবে কি ভাবতেই হবে ? অন্য ভাবে ভাবা যায় না ব্যাপারটা ?
গুরুত্বপূর্ণ কথা হোল, তোমাদের যেখানে ভাবা শেষ হবে, বইটা শুরু হবে সেখান থেকে।
টুইস্ট শব্দটা আজকাল খুব চাও না তোমরা ? তাহলে দেখে নাও টুইস্ট কাকে বলে।

নয়তো ৫৭ মিনিটের মধ্যেই সমস্ত কিছু ফাস হওয়া সত্বেও কি করে গল্পের বাকি ২৮মিনিট আরো দ্বিগুণ টানটান তৈরি হয়।

 

এই সিনেমার কি পয়েন্ট হলো, এমন একটা দমদার গল্প। সত্যি বলতে এটা ভয় পাওয়ানোর গল্প না বলে ভয়ানক গল্প বলাই ভাল। শব্দ পরিচালনা, স্ক্রিন প্রেসেন্স চমৎকার। কোথায় ঠিক কতটা নুন দিলে রান্নাটা ভয়ানক সুন্দর হবে, ওনারা জানেন। ওনারা জানেন, কীভাবে দর্শককে বশ করে সীটের মধ্যে এক টানা বসিয়ে রাখতে হয়।
সত্যিই, আমাদের মাথা থেকে এমন গল্প বের হবে কি করে ? আমরা যে দেখা মাত্র কপি করার কাজে বসে যাই, কেও গল্পে কেও বা পর্দায়। নিজদের ভাবনায় ধুনো দেবার সময় কই আর।


ভাল থাকবে সব্বাই।

দেখা হবে পরের রিভিউতে, কারন আগামী সিনেমাগুলো আরও দারুণ হতে চলেছে। 

 

Comments