মিশন মেঘালয় - চতুর্থ রাত্রি

চেরাপুঞ্জি ছেড়ে বেড়িয়ে পড়লাম আজ। মওনলং গ্রামের উদ্দেশে।

কিন্তু তার আগে একটা নতুন ভিউ তো দেখতেই হবে, তাই চললাম গার্ডেন অফ কেভ এর উদ্দেশে।



বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ওখানে যেতে হয়, কারণ নামের সাথে এর যথেষ্ট মিল আছে।

বাগানে যেমন চারিদিকে গাছ, ফুল ফুটে থাকে, এটাও সেরকম। পুরো অনেকাংশ জুড়ে একটার পর একটা ফলস।



আর
প্রতিটি খুব মনোরম। সত্যি ফলসের বাগান। রাস্তা একটাই, সেটা ধরে ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে একটার পর একটা ফলসের কাছে।

  মস গোত্রের কিছু, রাস্তার আসে পাশে

জলাশয়ের কাছে কাঠে কিছু ছত্রাক জন্মে আছে, বেশ মানান সই জায়গা তে।

দুটো বিশেষ জিনিসের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

প্রথম টা,

ঠিক যেন, একটি শিশু মা এর পেটে থেকে অপেক্ষা করছে, বিকশিত হছে। পাথরের ওপর এমনি তৈরি হয়েছে এরকম আকৃতি, কীভাবে তা জানা নেই। তবে বেশ আকর্ষণীয়।



মাতৃ জঠরে পালিত শিশু 

দ্বিতীয়টা ,

পাথরের তৈরি লাভ আকৃতির তৈরি একটি পাথরের অংশ। ঠিক দেখতে একখানি হৃদয়ের টুকরোর মত, মাঝে জল জমে আছে।




হৃদয় শেপে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি পাথর 

চললাম এরপর সেখান থেকে।

মওনলং গ্রাম নিয়ে তেমন বলার কিছু নেই। এশিয়া এর সব থেকে পরিষ্কারতম গ্রাম হিসেবে পরিচিত, তাই এক রাত্রি থাকবো ঠিক করে নিয়েছিলাম। তবে সত্যি বলতে বিশেষ কিছু তেমন চোখে পড়েনি, যেটা দেখলে এই বিশেষ শিরনামের কারণ পাওয়া যায়। তবে যেখানে ছিলাম, সেটা বেশ। কাঠের বাড়ি ছিল, খারাপ নয়।


মলিনং গ্রামের একটি কাঠের বাড়ি

এরপর একটু দূরে গিয়েছিলাম ক্রাংসুরি জলপ্রপাতে। যাওয়ার পথটা যেমন সুন্দর, তেমন রঙ, জলের। 



যাওয়ার পথে 


ক্রাংসুরি ফলস


ছবিতে কেমন লাগছে জলের রঙ ? তাহলেই ভাবো, সামনা সামনি ঠিক কতটা ভাল লাগতে পারে।

 

পরের দিন, ডাউকি নদী, রাত্রিকালীন ক্যাম্প।

যাওয়ার পথে ক্রানসুরি ফলস দেখলাম। সেখানের জলের রঙ দেখে চোখে ধাধা লেগে গেল। এতটাই পরিষ্কার রঙ্গিন, ভাবতে পারিনা।


Comments